লোহাগাড়ায় দুর্ঘটনা: আহত তিনজনের অবস্থা গুরুতর
Published: 2nd, April 2025 GMT
দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচলেও ঝুঁকিমুক্ত নন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত তিনজনের কেউই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন যুবক ও একজন তরুণী।
বুধবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আঘাত পান তারা। ঘটনার পর উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হয় তাদের।
পরে তাদের মধ্যে শিশু ও তরুণীকে হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি বিভাগে ও যুবককে ২৬ নম্বর অর্থপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তবে দুপুরের পর যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি দুইজনকে আইসিইউতে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আহতদের মধ্যে তরুণীর এখনও জ্ঞান ফেরেনি। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন নারী, দুই জন শিশু ও পাঁচজন পুরুষ।
হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় বুধবার হাসপাতালে পাঁচজনকে আনা হয়। এরমধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে বাকি তিনজনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সব ধরণের প্রস্তুতি রেখেছি আমরা। এরইমধ্যে পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন আহত র অবস থ দ র ঘটন ত নজন
এছাড়াও পড়ুন:
ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, ১০ জন হাসপাতালে
পাবনার ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গত রোববার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার এক পক্ষ থানায় মামলা করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে সেলিম মণ্ডল ও আলম মাঝির সমর্থকদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। কয়েক দিন আগে ওই মামলায় সেলিম মণ্ডলের পক্ষে রায় হয়। রোববার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সেলিম মণ্ডল প্রতিপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে লোকজন নিয়ে জমি চাষ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে আহত হন রাসেল হোসেনের স্ত্রী মনিরা খাতুন, শাহিন হোসেনের ছেলে সিয়াম হোসেন, মিনারুল ইসলামের ছেলে পারভেজ, নাছির মণ্ডলের ছেলে রায়হান মণ্ডল, সজীব হোসেনের স্ত্রী স্বর্ণা খাতুন, সাইদুল মণ্ডলের মেয়ে তুবা খাতুন, মৃত মন্টু মণ্ডলের ছেলে শাহিন মণ্ডলসহ ১০ জন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মনিরা, স্বর্ণা, রায়হানসহ চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সোমবার আহতদের মধ্যে সেলিম মণ্ডল বাদী হয়ে ২০-২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।