ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দর্শকদের কাছে খেলোয়াড়দের দৌড়ানো ইতিবাচক বিষয়। এমন একটা ধারণা প্রচলিত, বেশি দৌড়ানো ও দ্রুত দৌড়ানো খেলোয়াড়েরা প্রিমিয়ার লিগে খেলার ধাঁচের সঙ্গে মানানসই এবং জয়েও বেশ বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু এমন খেলোয়াড়ও আছেন, যাঁরা তেমন একটা দৌড়ান না। কিংবা খুব ধীরে দৌড়ানো খেলোয়াড়ও আছে, যাঁরা হয়তো সারাক্ষণই দৌড়ান, কিন্তু অতটা দ্রুতগামীও নন।
ফুটবলের তথ্যপঞ্জি বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান অপ্টা কিছুদিন আগে প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের দৌড় নিয়ে একটি বিশ্লেষণ করেছে। এ মৌসুমে কে সবচেয়ে গতিময়, কে সবচেয়ে ধীরে দৌড়ান, সবচেয়ে বেশি দৌড়ানইবা কে, সবচেয়ে বেশি হাঁটায় কে এগিয়ে—এসব তথ্য-উপাত্ত নিয়েই এই বিশ্লেষণ। মার্চের আন্তর্জাতিক বিরতির আগের তথ্য–উপাত্তই ব্যবহার করা হয়েছে।সবচেয়ে বেশি হেঁটেছেন

গোলকিপারদের এমনিতেই দৌড়াতে হয় সবচেয়ে কম। সেভ করার মুহূর্ত ছাড়া পোস্টের মাঝে পায়চারি করতেই তাঁদের সময় যায়। প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে অন্তত ২০০ মিনিট মাঠে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় হেঁটেই কাটিয়েছেন নটিংহাম ফরেস্টের গোলকিপার ম্যাটজ সেলস। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন তার মধ্যে ৯৫.

৫ শতাংশ সময়ই হেঁটে কাটিয়েছেন।

এ তালিকায় শীর্ষ ৩৫ জনই গোলকিপার। কিন্তু যদি বলা হয় আউটফিল্ড খেলোয়াড়দের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি হেঁটেছেন। উলভারহ্যাম্পটনের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাথিয়াস কুনিয়া। এ মৌসুমে  যতক্ষণ মাঠে ছিলেন তার মধ্যে ৭৭.৬ শতাংশ সময়ই হেঁটেছেন। তবে সময়মতো ঠিকই কার্যকর কুনিয়া। লিগে এ পর্যন্ত করেছেন ১৩ গোল, গোলে সহায়তা ৪টি। হেঁটে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছেন আর্সেনালের গোলকিপার দাভিদ রায়া। ১১৪.৯ কিলোমিটার হেঁটেছেন রায়া।

আরও পড়ুনগোল করে ভাইকে স্মরণ দুঃখ পুষে রাখা গ্রিলিশের৪ ঘণ্টা আগেসবচেয়ে বেশি সময় স্প্রিন্ট

জোরে দৌড়ানো খেলোয়াড়কে কে পছন্দ করেন না? এই জোরে দৌড়ানোটাই স্প্রিন্ট। ঘণ্টায় অন্তত ২৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে নিয়মিতই দৌড়ান, এমন খেলোয়াড়দের বিবেচনায় নিয়ে হিসাবটি করা হয়েছে।

ফুলহাম লেফটব্যাক অ্যান্টনি রবিনসন এবারের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি (৭০২) স্প্রিন্ট দিয়েছেন। কিন্তু মাঠে সবচেয়ে বেশি সময় স্প্রিন্ট দেওয়ার হিসাবে সবার ওপরে নটিংহাম ফরেস্টের উইঙ্গার অ্যান্থনি এলাঙ্গা। মাঠে থাকা মোট সময়ের ১.১৭ শতাংশ সময়ই স্প্রিন্ট দিয়েছেন এলাঙ্গা।

আরও পড়ুনফ্রি কিকে ‘ফ্লপ’ মেসি, মায়ামির হার৫ ঘণ্টা আগেসবচেয়ে গতিময়

প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ঘণ্টায় ৩৭ কিলোমিটারের বেশি গতিতে দৌড়েছেন টটেনহামের সেন্টারব্যাক মিকি ফন দে ফেন। ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার মাথেউস নুনেস ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৬.৭ কিলোমিটার গতিতে দৌড়েছেন।

প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে গতিময় গোলকিপার আর্সেনালের রায়া। ওয়েস্টহামের বিপক্ষে ম্যাচে গোল বাঁচাতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২.৭ কিলোমিটার গতি তুলেছেন।

সবচেয়ে ধীর গতির খেলোয়াড়

প্রিমিয়ার লিগে এ মৌসুমে খেলা সব খেলোয়াড়ের মধ্যে ফুলহাম গোলকিপার বার্নদ লেনোর গতি সবচেয়ে দ্রুততমদের মধ্যে সবচেয়ে কম। ঘণ্টায় ২৩.৬ কিলোমিটার। অর্থাৎ স্প্রিন্টারের বিবেচনায় আসার যে শর্ত দেওয়া হয়েছে (ঘণ্টায় অন্তত ২৫ কিলোমিটার), সেই তালিকায় জায়গা হয় না লেনোর।

গোলকিপারদের বাইরে আউটফিল্ডের খেলোয়াড়দের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটির বের্নার্দো সিলভার গতি সবচেয়ে দ্রুততমদের তালিকায় সবচেয়ে কম—ঘণ্টায় ২৯.৪ কিলোমিটার। তবে গতিই যে সবকিছুই নয়, তার প্রমাণ তো সিলভা নেই। সিটির হয়ে ছয়বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন!

সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন

নিউক্যাসলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেস এবারের লিগে সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন। তবে এই তালিকার শীর্ষে থাকা খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই সব ম্যাচ খেলেছেন। অন্তত ৬০০ মিনিট খেলা ফুটবলারদের মধ্যে ব্রেন্টফোর্ডের ইয়েহোর ইয়ারমুলিউ ম্যাচ প্রতি সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন। প্রতি ৯০ মিনিটে ১২.৯ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন ইয়ারমুলিউ।

তবে নিয়মিত একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে, যাঁরা অন্তত ১৫০০ মিনিট মাঠে ছিলেন, সেই তালিকায় টটেনহামের মিডফিল্ডার দেয়ান কুলুসভস্কি সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন। প্রতি ৯০ মিনিটে ১২.৩ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন কুলুসভস্কি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ