প্রিমিয়ার লিগে হাঁটায়, দৌড়ে ও গতিতে কারা এগিয়ে
Published: 3rd, April 2025 GMT
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দর্শকদের কাছে খেলোয়াড়দের দৌড়ানো ইতিবাচক বিষয়। এমন একটা ধারণা প্রচলিত, বেশি দৌড়ানো ও দ্রুত দৌড়ানো খেলোয়াড়েরা প্রিমিয়ার লিগে খেলার ধাঁচের সঙ্গে মানানসই এবং জয়েও বেশ বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু এমন খেলোয়াড়ও আছেন, যাঁরা তেমন একটা দৌড়ান না। কিংবা খুব ধীরে দৌড়ানো খেলোয়াড়ও আছে, যাঁরা হয়তো সারাক্ষণই দৌড়ান, কিন্তু অতটা দ্রুতগামীও নন।
ফুটবলের তথ্যপঞ্জি বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান অপ্টা কিছুদিন আগে প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের দৌড় নিয়ে একটি বিশ্লেষণ করেছে। এ মৌসুমে কে সবচেয়ে গতিময়, কে সবচেয়ে ধীরে দৌড়ান, সবচেয়ে বেশি দৌড়ানইবা কে, সবচেয়ে বেশি হাঁটায় কে এগিয়ে—এসব তথ্য-উপাত্ত নিয়েই এই বিশ্লেষণ। মার্চের আন্তর্জাতিক বিরতির আগের তথ্য–উপাত্তই ব্যবহার করা হয়েছে।সবচেয়ে বেশি হেঁটেছেন
গোলকিপারদের এমনিতেই দৌড়াতে হয় সবচেয়ে কম। সেভ করার মুহূর্ত ছাড়া পোস্টের মাঝে পায়চারি করতেই তাঁদের সময় যায়। প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে অন্তত ২০০ মিনিট মাঠে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় হেঁটেই কাটিয়েছেন নটিংহাম ফরেস্টের গোলকিপার ম্যাটজ সেলস। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন তার মধ্যে ৯৫.
এ তালিকায় শীর্ষ ৩৫ জনই গোলকিপার। কিন্তু যদি বলা হয় আউটফিল্ড খেলোয়াড়দের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি হেঁটেছেন। উলভারহ্যাম্পটনের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাথিয়াস কুনিয়া। এ মৌসুমে যতক্ষণ মাঠে ছিলেন তার মধ্যে ৭৭.৬ শতাংশ সময়ই হেঁটেছেন। তবে সময়মতো ঠিকই কার্যকর কুনিয়া। লিগে এ পর্যন্ত করেছেন ১৩ গোল, গোলে সহায়তা ৪টি। হেঁটে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছেন আর্সেনালের গোলকিপার দাভিদ রায়া। ১১৪.৯ কিলোমিটার হেঁটেছেন রায়া।
আরও পড়ুনগোল করে ভাইকে স্মরণ দুঃখ পুষে রাখা গ্রিলিশের৪ ঘণ্টা আগেসবচেয়ে বেশি সময় স্প্রিন্টজোরে দৌড়ানো খেলোয়াড়কে কে পছন্দ করেন না? এই জোরে দৌড়ানোটাই স্প্রিন্ট। ঘণ্টায় অন্তত ২৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে নিয়মিতই দৌড়ান, এমন খেলোয়াড়দের বিবেচনায় নিয়ে হিসাবটি করা হয়েছে।
ফুলহাম লেফটব্যাক অ্যান্টনি রবিনসন এবারের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি (৭০২) স্প্রিন্ট দিয়েছেন। কিন্তু মাঠে সবচেয়ে বেশি সময় স্প্রিন্ট দেওয়ার হিসাবে সবার ওপরে নটিংহাম ফরেস্টের উইঙ্গার অ্যান্থনি এলাঙ্গা। মাঠে থাকা মোট সময়ের ১.১৭ শতাংশ সময়ই স্প্রিন্ট দিয়েছেন এলাঙ্গা।
আরও পড়ুনফ্রি কিকে ‘ফ্লপ’ মেসি, মায়ামির হার৫ ঘণ্টা আগেসবচেয়ে গতিময়প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ঘণ্টায় ৩৭ কিলোমিটারের বেশি গতিতে দৌড়েছেন টটেনহামের সেন্টারব্যাক মিকি ফন দে ফেন। ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার মাথেউস নুনেস ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৬.৭ কিলোমিটার গতিতে দৌড়েছেন।
প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে গতিময় গোলকিপার আর্সেনালের রায়া। ওয়েস্টহামের বিপক্ষে ম্যাচে গোল বাঁচাতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২.৭ কিলোমিটার গতি তুলেছেন।
সবচেয়ে ধীর গতির খেলোয়াড়প্রিমিয়ার লিগে এ মৌসুমে খেলা সব খেলোয়াড়ের মধ্যে ফুলহাম গোলকিপার বার্নদ লেনোর গতি সবচেয়ে দ্রুততমদের মধ্যে সবচেয়ে কম। ঘণ্টায় ২৩.৬ কিলোমিটার। অর্থাৎ স্প্রিন্টারের বিবেচনায় আসার যে শর্ত দেওয়া হয়েছে (ঘণ্টায় অন্তত ২৫ কিলোমিটার), সেই তালিকায় জায়গা হয় না লেনোর।
গোলকিপারদের বাইরে আউটফিল্ডের খেলোয়াড়দের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটির বের্নার্দো সিলভার গতি সবচেয়ে দ্রুততমদের তালিকায় সবচেয়ে কম—ঘণ্টায় ২৯.৪ কিলোমিটার। তবে গতিই যে সবকিছুই নয়, তার প্রমাণ তো সিলভা নেই। সিটির হয়ে ছয়বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন!
সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে দৌড়েছেননিউক্যাসলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেস এবারের লিগে সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন। তবে এই তালিকার শীর্ষে থাকা খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই সব ম্যাচ খেলেছেন। অন্তত ৬০০ মিনিট খেলা ফুটবলারদের মধ্যে ব্রেন্টফোর্ডের ইয়েহোর ইয়ারমুলিউ ম্যাচ প্রতি সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন। প্রতি ৯০ মিনিটে ১২.৯ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন ইয়ারমুলিউ।
তবে নিয়মিত একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে, যাঁরা অন্তত ১৫০০ মিনিট মাঠে ছিলেন, সেই তালিকায় টটেনহামের মিডফিল্ডার দেয়ান কুলুসভস্কি সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন। প্রতি ৯০ মিনিটে ১২.৩ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে দৌড়েছেন কুলুসভস্কি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই উপযুক্ত: সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই সবচেয়ে উপযুক্ত হবে। এর পরে দেশের আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে। তা ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা হয়। নির্বাচনের জন্য এর পরের সময়টা উপযুক্ত নয়।
আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।
বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জনজীবনের সংকট দূর হবে। আমরা আগেই প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলাম, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করতে। কিন্তু এত দিন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সরকার এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল, যে সময়টা যথাযথ ছিল না।’
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে রাজনীতিতে আস্থাপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি দেশের জন্য এই পরিবেশ বজায় থাকা জরুরি। সংস্কারের জন্য এই পরিবেশ সহায়ক হবে। এত দিন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে উদ্বেগ থাকায় সংস্কার নিয়ে তেমন অগ্রগতি ছিল না। এখন সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করা যাবে।’
সংস্কার কার্যক্রমকে জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে মীমাংসা করবে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করছি। সর্বোচ্চ মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, তার ওপর জুলাই সনদ তৈরি হবে। এসব বিষয়ে আরও আলাপ–আলোচনা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই হত্যার বিচার শুরু হয়েছে, এটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে হবে।’