নব্বইয়ের দশকের পর আবারও বাংলাদেশের ফুটবলে লেগেছে হাওয়া। যার শুরুটা হয়েছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশে জাতীয় দলে নাম লেখানোর মাধ্যমে। একই সাথে ফাহামিদুল ইসলাম ও সমিত সোমকে নিয়েও ফুটবল আড্ডায় আলোচনার শেষ নেই। আলোচনা ছিল ‘সুলিভান’ ভাইদের নিয়েও।

তবে সুলিভানদের বড় দুই ভাই কুইন ও কাভান যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের হয়ে খেলার দ্বারপ্রান্তে। তাই এই দুজনের নাম আপাতত আলোচনায় নেই। তবে তাদের আরো দুইভাই আছেন, রোনান ও ডেকলান সুলিভান। ফিলাডেলফিয়া একাডেমির এই দুই প্রতিভাবান মিডফিল্ডারের দিকেই এখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নজর। দিন কয়েক আগে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টা নিশ্চিত করেন বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম। তবে সেই আলোচনা ভিন্ন মাত্রা পায় শুক্রবার (৪ মার্চ)। রোনান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায় বাফুফের লোগো ছাপানো জ্যাকেট পরে আছেন তিনি।

ফাহাদ দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রডকাস্ট চ্যানেলে বলেন, “কুইন ও কাভানকে আপাতত বিবেচনায় রাখছি না। ওরা মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) শীর্ষ ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলেও ডাক পেতে পারে।” তবে সুলিভানদের অন্য দুই ভাই রোনান ও ডেকলানকে নিয়ে আশার জাল বুনছে বাফুফে। ফাহাদ বলেন, “ফিলাডেলফিয়ার একাডেমিতে থাকা দুই ভাইয়ের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বেশ স্বস্তিবোধ করেছেন বলেই মনে হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই আশাবাদী। ওরা আগ্রহী। যদি সময়টা মিলে যায়, তাহলে ওরা বাংলাদেশের হয়ে খেলতে প্রস্তুত। এতে কোনো সন্দেহ নেই।”

ফাহাদের কথায় আর কাজে যে মিল আছে তার প্রমাণ মিলে রোনানের পোস্ট করা ছবিতে। ফিলাডেলফিয়া একাডেমির প্রতিভাবান এই মিডফিল্ডার শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেন কিনা, সেটা দেখার অপেক্ষায় এখন ফুটবলপ্রেমীরা।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ