রোনান সুলিভানের গায়ে বাফুফের লোগো ছাপানো জ্যাকেট
Published: 5th, April 2025 GMT
নব্বইয়ের দশকের পর আবারও বাংলাদেশের ফুটবলে লেগেছে হাওয়া। যার শুরুটা হয়েছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশে জাতীয় দলে নাম লেখানোর মাধ্যমে। একই সাথে ফাহামিদুল ইসলাম ও সমিত সোমকে নিয়েও ফুটবল আড্ডায় আলোচনার শেষ নেই। আলোচনা ছিল ‘সুলিভান’ ভাইদের নিয়েও।
তবে সুলিভানদের বড় দুই ভাই কুইন ও কাভান যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের হয়ে খেলার দ্বারপ্রান্তে। তাই এই দুজনের নাম আপাতত আলোচনায় নেই। তবে তাদের আরো দুইভাই আছেন, রোনান ও ডেকলান সুলিভান। ফিলাডেলফিয়া একাডেমির এই দুই প্রতিভাবান মিডফিল্ডারের দিকেই এখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নজর। দিন কয়েক আগে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টা নিশ্চিত করেন বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম। তবে সেই আলোচনা ভিন্ন মাত্রা পায় শুক্রবার (৪ মার্চ)। রোনান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায় বাফুফের লোগো ছাপানো জ্যাকেট পরে আছেন তিনি।
ফাহাদ দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রডকাস্ট চ্যানেলে বলেন, “কুইন ও কাভানকে আপাতত বিবেচনায় রাখছি না। ওরা মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) শীর্ষ ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলেও ডাক পেতে পারে।” তবে সুলিভানদের অন্য দুই ভাই রোনান ও ডেকলানকে নিয়ে আশার জাল বুনছে বাফুফে। ফাহাদ বলেন, “ফিলাডেলফিয়ার একাডেমিতে থাকা দুই ভাইয়ের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বেশ স্বস্তিবোধ করেছেন বলেই মনে হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই আশাবাদী। ওরা আগ্রহী। যদি সময়টা মিলে যায়, তাহলে ওরা বাংলাদেশের হয়ে খেলতে প্রস্তুত। এতে কোনো সন্দেহ নেই।”
ফাহাদের কথায় আর কাজে যে মিল আছে তার প্রমাণ মিলে রোনানের পোস্ট করা ছবিতে। ফিলাডেলফিয়া একাডেমির প্রতিভাবান এই মিডফিল্ডার শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেন কিনা, সেটা দেখার অপেক্ষায় এখন ফুটবলপ্রেমীরা।
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।