মা–বাবাকে বই পড়তে দেখে দেখে বড় হয়েছি। একসময় তাঁদের অভ্যাসটাই আমার মধ্যে জেঁকে বসে। স্কুলে পড়ার সময় বাবা নানা ধরনের বই উপহার দিতেন। ক্লাস সেভেনে যখন, তখন একদিন সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে দিলেন। আমার কাছে অবশ্য এই বই বিশেষ আগ্রহ তৈরি করল না। কারণ, তখন আমি রোমেনা আফাজের ‘দস্যু বনহুর’সহ বিভিন্ন লেখকের ‘দস্যু সিরিজ’–এর বইয়ে ডুবে আছি। তারপর ‘বেতাল বাহাদুর’, ‘ম্যানড্রেক’, ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাটুল দি গ্রেট’, ‘টিনটিন’, ‘টারজান’সহ নানা কমিকস বইয়ে বুঁদ হলাম। আর ভ্রমণের বইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ হলো কলেজে পড়ার সময়।

১৯৮৭ কি ১৯৮৮ সাল। আমি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। কাছেই বাংলাবাজার। আমার কলেজের সামনে ফুটপাতেও পুরোনো বই বিক্রি হতো। সেসব সংগ্রহ করতাম। ব্যক্তিগত সংগ্রহটা এভাবে গড়ে উঠতে থাকে। বাসায় যখন বইয়ের সংগ্রহ বেড়ে গেল, মনে হলো, একটা বুকশেলফ দরকার। কিন্তু বুকশেলফ কেনার মতো টাকা আমার নেই। বাসার সবার কাছে চাঁদা ধার্য করলাম। সেই চাঁদার টাকায় একটি বুকশেলফ কিনে ফেললাম।

আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল সাইকেলে ঘুরেছেন বহু দেশ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ