Samakal:
2025-06-16@14:29:20 GMT

মায়রা-মায়রন ও বেড়ালছানা

Published: 11th, April 2025 GMT

মায়রা-মায়রন ও বেড়ালছানা

মায়রা-মায়রনের একটি বেড়াল ছিলো। গত ঈদে যেটি হারিয়ে গিয়েছে। সেদিন মায়রা খেয়াল করলো বেড়ালটি জানালা দিয়ে ফিরে এসেছে। মিউ মিউ করে সারা ঘর মাতিয়ে রেখেছে। মায়রন বেড়ালটিকে আদর করে কোলে নিয়ে মায়রাকে ডেকে তুললো। মায়রা ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখলো বেড়ালছানাটি মায়রনের কোলে। মায়রা তো দারুণ অবাক হলো। 
বেড়াল ফিরে এসেছে! 
মায়রা আবার চোখ কচলে তাকালো। নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছে না সে। বেড়ালের নরম তুলতুলে শরীর ছুঁয়ে দিলো মায়রা। বেড়ালটিও পিটপিট করে তাকালো মায়রার দিকে। মিউ মিউ করে ডাক দিলো। জানান দিলো সে ফিরে এসেছে। মায়রা বেড়ালটিকে কোলে তুলে নিলো। বেড়ালটিও আদুরে ভঙ্গিতে মায়রার মুখের সঙ্গে মুখ মিশিয়ে আদর নিলো। মায়রা বেড়ালের শরীরটায় হাত বুলিয়ে দিলো। চোখ বুজে বেড়ালটি আদর অনুভব করলো। 
বুবাই পাশের ঘরে মায়রা-মায়রনের জন্য খাবার তৈরি করছেন। মায়রা-মায়রনের আনন্দ উল্লাসে ছুটে এলেন তিনি। বেড়ালটিকে দেখে বুবাইও অবাক হলেন। সামনে বৈশাখ। বৈশাখের কেনাকাটা করতে হবে। মায়রা-মায়রনের জন্য জামা কিনতে হবে। বুবাইকে মায়রা-মায়রন বলল, বুবাই বেড়ালের জন্য কিন্তু জামা কিনতে হবে। বুবাই মার্কেট থেকে মায়রা-মায়রন এবং বেড়ালের জন্য সুন্দর জামা কিনে আনলেন। মায়রা-মায়রন তাদের আদরের বেড়ালটিকে জামা পরিয়ে দিলো। সুন্দর লাল রঙের একটি জামা। অসাধারণ সুন্দর লাগছে বেড়ালটিকে। জামা পরে বেড়ালটি সারা ঘর দৌড়ে বেড়াচ্ছে। মায়রা-মায়রন বেড়ালের সঙ্গে খেলা করছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ালটি খেলা করছে মায়রা-মায়রনের সঙ্গে। মায়রা ছড়া কাটছে-
আমার বেড়াল লক্ষ্মী বেড়াল
আমার বেড়াল লাল বেড়াল
আমার বেড়াল খেলা করে
আমার বেড়াল জামা পরে। 
বেড়ালছানা বেড়ালছানা
ঘরের বাহির যেতে মানা। 
বুবাই যাবে ব্যাংককে। মায়রা-মায়রনও যাবে সাথে। বেড়ালকে কি করবে? কোথায় থাকবে? কার কাছে থাকবে? বেড়ালের শরীর ছুঁয়ে আদর করে দিচ্ছে মায়রা-মায়রন। মায়রা-মায়রন বুবাইয়ের সাথে ব্যাংকক যাচ্ছে। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তারা বিমানে উঠেছে। বিমান উড়ছে আকাশে। মেঘের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে বিমান। বিমানের জানালা দিয়ে মেঘ দেখছে মায়রা-মায়রন। সাদা সাদা মেঘ। তুলোর মতো মেঘ। হঠাৎ মায়রা-মায়রন খেয়াল করলো, বিমানের জানালার পাশে কি যেন উড়ে আসছে। আরও কাছে আসতেই তাদের চোখ ছানাবড়া। তাদের সেই বেড়াল! বিমানের সাথে উড়ছে! বেড়ালটি ডাকছে মিউ মিউ.

..। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ব ড় ল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বছরে ৬ লাখ অপরিণত শিশুর জন্ম

দেশে বছরে গড়ে জন্ম নিচ্ছে প্রায় ৬ লাখ অপরিণত (প্রিম্যাচিওর) শিশু। জন্মের সময় গর্ভকাল পূর্ণ না হওয়ায় এসব নবজাতকের ঝুঁকি থাকে নানা জটিলতায় পড়ার, এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে বেশি। তাই নবজাতকদের মৃত্যু হ্রাসে অপরিণত নবজাতক জন্ম প্রতিরোধে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। 

সোমবার শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওন্যাটোলজি বিভাগ ও সেভ দ্যা চিলড্রেন আয়োজিত সভায় এই তথ্য জানানো হয়। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাদেকা চৌধুরী মনি। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইসমত জাহান। তিনি বলেন, মা ও অপরিণত নবজাতকদের জীবন রক্ষাকারী প্রকল্প সেভিং উইমেন এন্ড প্রিমেচিউর বেবিজ বা সোয়াপের মাধ্যমে দেশের পাচঁটি হাসপাতাল  মা ও নবজাতক সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৬৫ হাজার গর্ভবতী মা ও ৮৭ হাজার নবজাতককে সেবা পেয়েছে। দেড় হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো ভায়ু বাবল সিপ্যাপ, ফ্যামিলি সেন্টার কেয়ার, ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার, নিওনেটালি লাইভ ইত্যাদিকে সফলভাবে প্রয়োগ করে নবজাতকদের জীবন রক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে।

বিএমইউর নিওনাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশে বছরে ৩০ লাখ নবজাতকের জন্ম হয়। যার মধ্যে শতকরা ২০ শতাংশই অপরিণত নবজাতক এবং বিশ্বের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ। সেই হিসেবে বছরে অপরিণত ৬ লাখ শিশু জন্মায়। নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস পেলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে বর্তমানে নবজাতকের মৃত্যুহার ২০ জন থেকে ১২ জনে কমিয়ে আনা। যদিও এই প্রকল্পের কার্যক্রমসহ সামগ্রিক প্রচেষ্টায় নবজাতকের মৃত্যুহার ২০ জনে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

বিএমইউর ফিটোম্যাটার্নাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তাবাসসুম বলেন, নবজাতকের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো অপরিণত নবজাতকের জন্ম দান। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ লাখ নবজাতকের জন্ম হয়। যার মধ্যে শতকরা ২০ শতাংশই অপরিণত নবজাতক এবং বিশ্বের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ। গত ১০ বছর ধরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়। এটি প্রতিরোধে আমাদের উদ্যোগ নেই। কেনো কমানো যাচ্ছে না এবিষয়েও কোনো গবেষণা হয় না। তবে সচেতনতা, প্রসূতি সেবা এবং মাতৃস্বাস্থ্য কার্যক্রম জোরদার করলে এ সমস্যা অনেকাংশে কমানো সম্ভব। অপরিণত শিশুর জন্মের পেছনে রয়েছে মাতৃস্বাস্থ্যের অবনতি, অপুষ্টি, সময়মতো প্রসবপরিচর্যার অভাব, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও প্রসবকালীন জটিলতা। এ ছাড়া ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ সেবন এবং অল্প বয়সে গর্ভধারণও অন্যতম কারণ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, সোয়াপের মাধ্যমে নবজাতকদের পরিবার কেন্দ্রিক চিকিৎসা (ফ্যামিলি সেন্টারড কেয়ার-এফসিসি) মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় বিরাট অবদান রাখছে। এই পদ্ধতিকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বৃহৎ আকারে কাজে লাগাতে পারলে সমগ্র স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর  অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর গবেষণা ও উন্নয়ন অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ