জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রশিক্ষণ-কর্মসংস্থান কার্যক্রম শুরু
Published: 16th, April 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০ জনকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টায় রাজধানীর বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকায় মাল্টিক্রাফট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
ইকুয়ালিএবল ও বিদেশ ফাউন্ডেশন ইউএসএ নামের দুটি সংগঠনের আর্থিক সহায়তায় অ্যাসোসিয়েশন ফর ইকোনমিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অব বাংলাদেশ, মাল্টিক্রাফট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন এই কার্যক্রম শুরু করেছে।
আয়োজকরা জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আন্দোলনে আহতদের শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনায় তাদের জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা, থাকা খাওয়ার পাশাপাশি ও প্রশিক্ষণ পরবর্তী তাদের কর্মসংস্থান পেতে সহায়তা দেওয়া হবে।
শুরুতে যে ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তারা হলেন- পাবনার মিরাজুল ইসলাম, নেত্রকোনার আকাশ মিয়া, কিশোরগঞ্জের জুনায়েদ আহমেদ, টাঙ্গাইলের মানিক মিয়া, মাদারীপুরের নেসার উদ্দিন, বরিশালের আবির হোসেন, ঢাকার উত্তরার আশরাফউদ্দিন ইমন, ঢাকার মহাখালীর রানা মিয়া, বরিশালের হানিফ মিয়া ও সিলেটের জুবেল মিয়া। তাদের কেউ পা হারিয়েছেন, কেউ গুলি ও অন্যান্য আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নেসার উদ্দিন তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য সংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিদেশ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শাহুদ আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০ জনকে নিয়ে শুরু পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে আরও প্রকল্প হাতে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মুস্তাফিজ সরকারকেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আসিয়াব প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম, সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয় ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।