অভিনয়-রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি: সোহেল রানা
Published: 17th, April 2025 GMT
ঢাকাই চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় নাম সোহেল রানা। তার প্রকৃত নাম মাসুদ পারভেজ। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ’৭০ ও ’৮০-এর দশকে পর্দা কাঁপানো নায়ক সোহেল রানার চলচ্চিত্রে আগমন প্রযোজক হিসেবে। একাধারে প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা। পর্দায় তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। তবে দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন তিনি।
গত বছর তার নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রাথমিকভাবে দলটির নাম রাখা হয় ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’ (বিআইপি), যাদের লোগোতে শোভা পেয়েছিল শান্তির প্রতীক পায়রা। তবে অনিবার্য কারণবশত সংশোধন করে নতুন দলটির নাম রাখা হয়েছে— ‘বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি’।
এবার অভিনয় ও রাজনীতিকে বিদায় জানালেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, “১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনো বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না। তবে এখনো একটা সিনেমা পরিচালনা করার শখ আছে, কিন্তু মনে হচ্ছে বয়সে আর কুলাবে না।”
আরো পড়ুন:
শাকিবের জন্য এলাহি আয়োজন
আমরা এমনিতেই ফর্সা-সুন্দর, উর্বশীর বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা
অভিনয় ও রাজনীতি ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সোহেল রানা বলেন, “অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন আমার ৭৯ বছর। অভিনয় ও রাজনীতি দুটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে হলে অনেক অ্যাক্টিভিটি করা প্রয়োজন, প্রচুর পড়াশোনার প্রয়োজন। শারীরিক অবস্থার কারণে এগুলো তো করতে পারছি না। এখন থাকা মানে জোর করে থাকা।”
মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনার মাধ্যমে পথচলা শুরু সোহেল রানার। এর বছর দুয়েক পর ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক ও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
সোহেল রানাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায়। যদিও এক দশক ধরে সিনেমায় অনেকটা অনিয়মিত তিনি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে
হঠাৎ মনে হতে পারে, কথাবার্তায় লোকটা এখন তো বেশ সাদামাটা। তা-ই কি?
মোটেও না। চেনা সেই ক্যারিশমা যে চলে যায়নি, সেটা বোঝা গেল ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উসাইন বোল্ট যখন সোজা বলে দিলেন, কেন তাঁর রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। মনে হবে, এই তো সেই বোল্ট। আবার একটু ধাক্কাও লাগবে পরের কথাগুলো শুনলে। একসময়ের সুপারম্যান এখন তাহলে এমন আটপৌরে জীবন কাটাচ্ছেন! যে জীবনে নাকি সিঁড়ি ভেঙে ওঠার সময় তাঁর দম ফুরিয়ে আসে! অথচ এই লোকটাই একসময় ১০০ মিটার দৌড়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে।
আরও পড়ুনআকাশছোঁয়ার অভিযানে ডুপ্লান্টিসের আবারও বিশ্ব রেকর্ড১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটা বোল্ট দিয়েছেন টোকিওতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে গেছেন সেখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২০১৭ সালে অবসরের পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসর দেখতে গেলেন আটবারের এই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। জাপানি দর্শকেরা অবশ্য তাঁকে দেখে ঠিকই উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তবে বোল্ট এখন বদলে গেছেন অনেকটাই। জ্যামাইকায় এখন তাঁর ঘরোয়া জীবনটা আলোয় থাকার সময়ের সেই জীবনের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।
অবসর নেওয়ার পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসরে এলেন বোল্ট। টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে