ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) লাগাতার বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এই নিন্দা জানানো হয়।

প্রতিবাদলিপিতে এনসিপি বলেছে, বুধবার দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় হাসিবুল আলম নামের একজন বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে বিএসএফ। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে তারা তুলে নিয়ে যায়। রাতে ভারতের কোচবিহারের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে ১১ এপ্রিল ঝিনাইদহের পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম হোসেন নামের এক বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করে তাঁর লাশ নদীতে ফেলে দেন বিএসএফ সদস্যরা।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, আন্তর্জাতিক আইন ও দ্বিপক্ষীয় সমঝোতাকে সরাসরি ভঙ্গ করে অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে সীমান্তে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশি যুবকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে এবং তাদের লাশের সাথেও অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। চলতি মাসেই অন্তত তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের হাতে শহীদ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্রনীতি এখন পর্যন্ত সীমান্ত হত্যা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী সব জেলার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে প্রতিবাদলিপিতে। এতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ আগামীর সব সরকারকে আহ্বান জানাই, ঢাকাকেন্দ্রিকতার বাইরে গিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কর্মসূচি হাতে নিন।’ সীমান্ত হত্যার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আদালতে উত্থাপন করার দাবিও জানিয়েছে এনসিপি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ