বউয়ের কাছে বাজিতে হেরে গিয়ে ৫০ টাকা না দেওয়ায় বউ রাগ করে ফেসবুকে ‘নারী জাগরণ’ নামক একটি গ্রুপে স্ট্যাটাস দিয়েছে, ‘আমার হাজবেন্ড বাজিতে আমার কাছে হেরে যাওয়ার পরেও আমাকে আমার প্রাপ্য টাকা দেয়নি।
এখন আমার কী করা উচিত? সবার মতামত আশা করছি।’
স্ট্যাটাসটি দিয়ে আমার বউ তার মোবাইলটি বালিশের পাশে রেখে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল। এদিকে আমি একা একা বোরিং ফিল করছিলাম বিধায় আমার লক্ষ্মী বউটার মোবাইল থেকে কয়েকটা গান শেয়ার করতে এসে দেখি, কয়েক মিনিটের মধ্যে এই পোস্টটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।
নাঈমা নামে একজন কমেন্ট করেছে, ‘এমন পুরুষ সমাজের জন্য অভিশাপ। এরা নারীকে তাদের প্রাপ্য অধিকার দিতে জানে না। ডিভোর্স দিয়ে দেন আপু, অনেক শান্তিতে থাকবেন।’
শান্তা লিখেছে, ‘এদের ছাড় দেবেন না আপু। পরে দেখা যাবে সম্পত্তির অধিকার থেকেও আপনাকে বঞ্চিত করবে। তাই বলছি, আগে থেকেই টাইট দিতে শিখুন।’
আশা লিখেছে, ‘সব পুরুষই এক রকম।
এদের কাজই নারীদের ঠকানো। ডিভোর্স দিয়ে দেন আপু।’
তামান্না লিখেছে, ‘নারী বলে কি আমাদের
কোনো অধিকার নেই? আর কত নির্যাতিত হব আমরা? একটা অবলা নারীর বাজির টাকা মেরে দিল কীভাবে?’
তানজিনা লিখেছে, ‘নিশ্চয়ই মোহরের টাকাও পরিশোধ করেনি, তাই না?
সাদিয়া কমেন্ট করেছে, ‘আপু আমি একজন আইনজীবী। আপনি চাইলে এই ঘাতকের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশনে যেতে পারবেন। আমাকে ইনবক্সে নক করুন আপু।’
সাদিয়ার কমেন্ট পড়তে পড়তে সামনে তাকিয়ে দেখি আমার বউ রান্নাঘর থেকে নুডলস রান্না করে এনে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে, ‘এই নাও তোমার প্রিয় নুডলস। আমাকে বাজির টাকা না দেওয়ার কারণে এটাই তোমার শাস্তি। আসো এখন লুডু খেলতে বসি। তুমি হারলে আমাকে খাইয়ে দিবা, আর আমি হারলে তোমাকে খাইয়ে দেব।’
এ কথা শুনে আমি একবার আমার বউয়ের দিকে তাকাই, আরেকবার মোবাইলের দিকে তাকাই। এরপর কাঁপতে কাঁপতে তাড়াতাড়ি
পোস্ট ডিলেট করে, ঘামতে ঘামতে আস্তে করে টান দিয়ে তার কানের কাছে গিয়ে বললাম, ‘অতিরিক্ত কেয়ার করার জন্যে তোমার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।’
সুহৃদ ঢাকা
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মদিবসের শেষ দিনে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবসে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ফজলুর রহমান (৬০) নামের এক প্রধান শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) উপজেলার ব্রহ্মগাছা ক্লাস্টারের হামিন দামিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
জাবি অধ্যাপককে হুমকি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি: ইউট্যাব
টুঙ্গিপাড়ায় সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন
ফজলুল করিম ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মীরের দেউলমুরা এলাকার বাসিন্দা। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে-মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার নিহত ফজলুর করিমের শেষ কর্মদিবস ছিল। বিকেলের দিকে বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে রাস্তার মাঝেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “চাকরি জীবনে তিনি একজন সৎ, শান্ত ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমাদের জন্য গভীর শোকের।”
রায়গঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, “একজন দায়িত্বশীল ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ছিলেন। চাকরির শেষ দিনে তার এমন মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। শিক্ষা পরিবার একজন ভালো মানুষকে হারাল। তার মৃত্যুতে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। একইসঙ্গে শিক্ষকবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।”
ঢাকা/রাসেল/মেহেদী