নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খান সড়কে অবস্থিত জনতা ব্যাংক বিবি রোড কর্পোরেট শাখার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহককে হয়রাণির অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী গ্রাহক খুরশিদা জানান, বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে ডিপিএসের টাকা তুলতে গেলে নানা টালবাহানা করেন ওই কর্মকর্তা। এর আগে বড় বোনের ডিপিএস ভাঙ্গানোর সময়ে টাকা চেয়ে না পেয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন তিনি। গুণধর ওই কর্মকর্তার নাম আশরাফ। তিনি ওই শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জনতা ব্যাংকের ভিজিল্যান্স ডিপার্টমেন্টের উপ মহাব্যবস্থাপক বরাবর ইমেইলে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে খুরশিদা জানান, গত ১৪-০৯-২০২৫ তারিখে আমি আমার ডিপিএস ৮৩০০০০৯৯ নম্বর এর টাকা আমার বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে উত্তোলন করতে যাই। আমার বোনকে দেখে একজন কর্মকর্তা আমাকে পরে আসতে বলে। অনেকক্ষন পর আমার বোন জামাই এসে ওই কর্মকর্তাকে বললে তিনি বলেন, দরখাস্ত করতে হবে। জবাবে আমার বোন জামাই বলেন, দরখাস্ত দেন, সবতো আপনাদের কাছে। এরও কিছুক্ষন পর তিনি একটি কাগজ দিয়ে বলেন আমি পূরণ করতে পারবো না। পরে আমি অন্য একজনকে দিয়ে পূরণ করে তার কাছে জমা দিলে তিনি খুব ধীরলয়ে কাগজটি নাড়াচাড়া করতে থাকেন। বিভিন্ন কিছু গুছাতে থাকেন।

এরপর বলেন, কাকে দিয়ে ফিলাপ করিয়েছেন। আমি একজনের নাম বলি। ওই সময়ে আমার বোন জামাই বলে, কে ফিলাপ করলো এটা জানার কি খুব দরকার। সঠিক হয়েছে কি-না তা দেখেন।

এ নিয়ে আমার বোন জামাইয়ের সঙ্গে তার তর্ক হলে তিনি এক পর্যায়ে কাগজ নিয়ে ম্যানেজার সাহেবের রুমে ঢুকেন। তখন ম্যানেজার সাহেব আমাদের ডেকে নেন, ঘটনা শুনেন। পরে তিনি বলেন, আজ হিসেব করে আপনার সেভিংস একাউন্টে টাকা জমা হবে আপনারা চলে যান।

ম্যানেজার সাহেবের কাছে ওই কর্মকর্তার পরিচয় জানতে পারি, ওনার নাম আশরাফ উনি ওই ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার।

এখানে উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১০ জুলাই আমার বড় বোন পারভীন ডিপিএসের টাকা তুলতে গেলে ওই কর্মকর্তা আশরাফ সাহেব তার কাছে টাকা চান। বিষয়টি আমার বোন জামাই শুনতে পেয়ে তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি (আশরাফ সাহেব) তখন বলেন, টাকা চাই নাই পেয়ারা খেতে চেয়েছি। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার কারনেই তিনি আমার বোনকে দেখে সেদিন আমাকে নূন্যতম সহযোগীতা না করে হয়রাণি করতে চেয়েছেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আম র ব ন জ ম ই বড় ব ন ড প এস আশর ফ

এছাড়াও পড়ুন:

যেমন পেশা তেমন কফিন

কোনোটি দেখতে উজ্জ্বল গোলাপি রঙের মাছের মতো, কোনোটি সিংহের মতো। একটি দেখে মনে হবে আস্ত এক উড়োজাহাজ, যেটিতে জাতীয় পতাকা আঁকা। ভাবছেন এসব আবার কী; এগুলোর সবই কফিন।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় এমন রংবেরঙের কফিনে করে মৃতদেহ সমাহিত করা হয়। স্থানীয় ভাষায় এগুলোর নাম ‘আবেবুও’।

এই কফিনগুলো কেবল মৃতদেহ সমাহিত করার জন্য নয়, বরং তাঁদের জীবনকে এককথায় ফুটিয়ে তুলতে তৈরি করা হয়। এ কারণে একজন কৃষকের কফিন কখনো গাড়ির মতো দেখতে হবে না; বরং তাঁর কফিন হতে পারে তিনি যেসব যন্ত্র দিয়ে চাষ করতেন বা যে ফসল ফলাতেন, সেটির মতো। কফিনটি নিজেই হয়ে ওঠে একটি রূপক, যেটি মৃত ব্যক্তির ফেলে যাওয়া জীবনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

এসব কফিন সাধারণত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। ঘানার আদিবাসী গা সম্প্রদায়ের মধ্যে এভাবে মৃতদেহ সমাহিত করার প্রচলন রয়েছে। ঘানার দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল, বিশেষ করে রাজধানী আক্রা এবং এর আশপাশে এ সম্প্রদায়ের বসবাস।

গা সম্প্রদায়ের এই প্রথা এখন দেশজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কেউ মারা গেলে প্রথমে পরিবারের সদস্যরা এক জায়গায় জড়ো হয়ে মৃত প্রিয়জনের সম্মানে কেমন কফিন তৈরি করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেন। তারপর তাঁরা কাঠমিস্ত্রির কাছে যান।

কফিন কেমন হবে, সেটা নির্ভর করে মৃত ব্যক্তির ওপর। যদি তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী হন, তবে তাঁর কফিন হবে মাছের আকৃতির। সিংহের আকারের কফিন কেবল সম্প্রদায়প্রধানদের জন্য সংরক্ষিত, কারণ সিংহ শক্তির প্রতীক।

একটি কফিন তৈরি করতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগে। খরচ শুরু হয় প্রায় ৭০০ ডলার থেকে। তবে কাঠের ধরন এবং নকশার সূক্ষ্মতার ভিত্তিতে খরচ কমে–বাড়ে।

ঘানায় শবযাত্রা একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান। পরিবার একে মৃত ব্যক্তিকে শেষবার সম্মান জানানোর সুযোগ হিসেবে দেখে। যে কারণে শবযাত্রায় থাকে গান, নাচ এবং সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
  • সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
  • ৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
  • যেমন পেশা তেমন কফিন