শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সহধর্মিণী জাহানারা আবেদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি দুই ছেলে, নাতি–নাতনি, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে সাইফুল আবেদিন আগেই ইন্তেকাল করেছেন।

শিল্পাচার্যের ছোট ছেলে ময়নুল আবেদিন বলেন, গতকাল বেলা ২টায় তাঁর মা তাঁদের রাজধানীর শান্তিনগরের বাড়িতেই মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিস্মৃতিসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন এবং অনেক দিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ময়নুল আবেদিনের মেজ ভাই খায়রুল আবেদিন অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। তিনি ঢাকায় আসার পর আগামী রোববার তাঁর মাকে দাফন করা হবে।

ময়নুল আবেদিন আরও জানান, রোববার বেলা ১১টায় তাঁর মা জাহানারা আবেদিনের মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আনা হবে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা হবে। এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

না ফেরার দেশে সাংবাদিক সামাদ মতিনের সহধর্মিণী এড. সুরাইয়া মতিন

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জের সদস্য এম. সামাদ মতিনের সহধর্মিণী প্রবীন  সাংবাদিক ও স্বনামধন্য আইনজীবী সুরাইয়া মতিন (৫৪) আর নেই। ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি  রাজিউন)। 

বুধবার (৩০ জুলাই) ভোর রাতে ফতুল্লার নিজ বাস ভবনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সকলের মাঝ থেকে চীর বিদায় নেন। মরহুমার যানাযার নামাজ  বাদ জোহর ফতুল্লা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে  অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী কবরস্থানে তার মৃতদেহ দাফন করা হয়। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা রেল-স্টেশনে এর স্থায়ী বাসিন্দা মৃত হাজী নূরুল ইসলাম এর তৃতীয় কণ্যা সুরাইয়া মতিন এর সহিত ১৯৮৭ সালে ইসলামি বিধান মতে এম সামাদ মতিন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। 

জীবদ্দশায় তিনি দৈনিক খবর, চিত্র বাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সততা ও সাহসিকতার সহিত  সাংবাদিকতা করেছেন। এ ছাড়াও তিনি ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং  নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় দক্ষতা ও  সুনামের সহিত উকালতি করেছেন। 

মৃত্যুকালে স্বামী, তিন কণ্যাসহ অনেক আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী  রেখে যান। মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা  করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না ফেরার দেশে সাংবাদিক সামাদ মতিনের সহধর্মিণী এড. সুরাইয়া মতিন