খালেদা জিয়ার সুস্থতায় জাকির খানের দোয়া
Published: 2nd, May 2025 GMT
জামি’আ আরাবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ মাদরাসা মসজিদে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) বাদ জুমআ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খানের উদ্যোগে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মসজিদটিতে জুমআর নামাজও আদায় করেন জাকির খান। পরে জামি’আ আরাবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন তিনি।
এসময় জাকির খান বলেন, এ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাথে দুপুরের খাবার খেয়ে আমার বুকটা ভরে গেছে। আমি আল্লাহ্’র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি।
এ বিষয়ে মাদরাসাটির আহ্বায়ক আলহাজ¦ হেদায়েত উল্লাহ্ খোকন বলেন, আজকে মাদরাসার আনন্দের দিন। কারণে, আজ আমাদের মাঝে জাকির খান সাহেব এসেছেন। তার আসাকে কেন্দ্র করে আজ মাদরাসায় সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়েছেন।
জাকির খান সাহেব আমাকে বলেছেন, মাদরাসার এতিমদের সাথে আজকে আমি ডাল-ভাত খাবো। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যা খাবার খেয়েছে জাকির খান একই খাবার খেয়েছেন। এজন্য মাদরাসার আহ্বায়ক হিসেবে আমি জাকির খানকে আনন্দিক ধন্যবাদ জানাই।
এদিকে জাকির খান মসজিদ ও মাদরাসায় আসাকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও প্রায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে মাদরাসা এলাকায়। জুমআর নামাজের পর তারা জাকির খানকে একবার দেখার জন্য পাগলের মত ছুটাছুটি শুরু করে।
সবাই জাকির খানের সাথে হাত মেলানো জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। জাকির খান মাদরাসায় প্রবেশের সময় হাজার হাজার মানুষও তার সাথে মাদরাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অনেকটা হিমশিম খান। পরে জাকির খানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ বদিউজ্জামান বদু, জাকির খানের বড় ভাই দেওভোগ পোশাক প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক কবির হোসেন খান, জেলা প্রজন্মদলের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক নাজির আহমেদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা হালিম, বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ও সাবেক যুবদল নেতা পারভেজ মল্লিক, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচ এম হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সদর থানা জাসসের যুগ্ম আহ্বায়ক সনেট আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজন প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ম দর স র ম দর স য় দল র স
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস