সেলিব্রিটি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন রাজ-সিয়াম-মেহজাবীনরা
Published: 14th, May 2025 GMT
তারকাদের অংশগ্রহণে ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিয়াম আহমেদ ও মেহজাবীন চৌধুরীর দল গিগাবাইট টাইটানস। এই দলের মেন্টর ছিলেন নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ফাইনাল ম্যাচ শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৪টায় বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। রাত ১০টায় খেলা শেষে ৯ উইকেটে জয়ী হয় গিগাবাইট টাইটানস। এর আগে স্বপ্নধরা স্পারটান্স ১৩৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল।
সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় রুবেল হোসেনসহ এক ঝাঁক তারকা।
প্রথম রাউন্ড শেষে ফাইনালে উঠেছিল গিগাবাইট টাইটানস ও স্বপ্নধরা স্পারটান্স। দল দুটির মেন্টর হিসেবে ছিলেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
টাইটানসের হয়ে মাঠে খেলেছেন মোস্তফা কামাল রাজ, সিয়াম আহমেদ, মেহজাবীন চৌধুরী, শরিফুল রাজ, রাফসান সাবাব, সাইদুল রহমান পাভেল, আরফিন রুমি প্রমুখ।
‘স্বপ্নধরা স্পার্টানস’-দলে ছিলেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, পিন্টু ঘোষ, শ্যামল মাওলা, দীপা খন্দকার, নাবিলা বিনতে ইসলাম, জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া, আয়েশা মনিকা, তন্ময়, প্রত্যয় খান, জয় চৌধুরী, সাজ্জাদ খান শান প্রমুখ।
টি-২০ ফরম্যাটে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে চারটি দল। সেগুলো হলো- গিগাবাইট টাইটানস, নাইট রাইডার্স, জেভিকো কিংস এবং স্বপ্নধরা স্পারটানস।
গত ৫ মে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র স য় ম আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের প্রজ্ঞাপনে কী লেখা আছে
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার রাতে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এসআরও নম্বর ১৩৭-আইন/২০২৫, তারিখ ১২ মে ২০২৫ মূলে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেহেতু, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন (নম্বর-০০৬ তারিখ: ০৩/১১/২০০৮) এতদ্দ্বারা স্থগিত করল।’
এদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসি সচিবালয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার অঙ্গ সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হলো।
কীসের ওপর ভিত্তি করে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো জানতে চাইলে ইসি সচিব আকতার আহমেদ বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটা করেছি।
ইসি সচিবের সংবাদ সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
এরআগে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর দলটির নিবন্ধন ইস্যুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বৈঠকে বসেন।