বেনফিকা অধ্যায়ের সমাপ্তি, ডি মারিয়ার পরবর্তী গন্তব্য মাতৃভূমি নাক
Published: 18th, May 2025 GMT
দীর্ঘ দুই দশকের ফুটবল ক্যারিয়ারের এক একটি পাতা যখন বন্ধ হচ্ছে, তখন আরেকটি প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে— কোথায় শেষ হবে অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়ার ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়? পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার জার্সিতে দ্বিতীয় দফায় খেলতে নেমে আবারও ক্লাবটির সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানলেন আর্জেন্টাইন এই অভিজ্ঞ উইঙ্গার।
শনিবার (১৭ মে) রাতে ব্রাগার বিপক্ষে বেনফিকার হয়ে মাঠে নামেন ৩৭ বছর বয়সী ডি মারিয়া। লিসবনের ক্লাবটির হয়ে সেটিই ছিল লিগে তার শেষ ম্যাচ। যদিও ম্যাচটি বেনফিকার জন্য স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি। শেষ বাঁশি বাজার সময় স্কোরলাইন ছিল ১-১। সেই ড্রয়ের কারণে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বর স্থানেই থেকে মৌসুম শেষ করতে হয়েছে বেনফিকাকে। মাত্র দুই পয়েন্টের ব্যবধানে শিরোপা গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পোর্টিং সিপির হাতে।
ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক আবেগঘন বার্তায় ডি মারিয়া জানান, “এটা ছিল এমন একটি ফলাফল, যা আমরা চাইনি। শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আমরা সবটুকু দিয়েছি। কিন্তু বছরের শেষে এমন ফলাফল হতাশাজনক। বেনফিকার জার্সিতে এটি ছিল আমার শেষ লিগ ম্যাচ। এই ক্লাবে ফিরতে পেরে আমি গর্বিত।’’
আরো পড়ুন:
ফয়সাল-আশিকুরের গোলে ফাইনালে বাংলাদেশ
সৌদি প্রো লিগে চ্যাম্পিয়ন বেনজেমার ইত্তিহাদ, রোনালদোরা কোথায়?
বেনফিকার সঙ্গে ডি মারিয়ার সম্পর্ক অবশ্য নতুন নয়। ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল থেকে সরাসরি ইউরোপে পা রেখে প্রথম এসেছিলেন এই পর্তুগিজ ক্লাবেই। তিন বছর পর সেখান থেকে যাত্রা শুরু হয় রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি এবং জুভেন্টাসের মতো ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে।
২০২৩ সালে আবারও বেনফিকায় ফিরে আসেন তিনি। যেন শুরু যেখানে হয়েছিল সেখানেই শেষ করার প্রস্তুতি। তবে এখানেই শেষ নয়— আগামী ২৫ মে পর্তুগাল কাপের ফাইনালে স্পোর্টিং সিপির বিপক্ষে ম্যাচে শেষবারের মতো মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে ডি মারিয়াকে। এরপর জুনে সম্ভাব্যভাবে তিনি অংশ নিতে পারেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে, যা হয়তো তার ইউরোপীয় ক্যারিয়ারের শেষ মঞ্চ হতে যাচ্ছে।
তবে ডি মারিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। আবার ইউরোপীয় গণমাধ্যমে দাবি উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। যেখানে অপেক্ষায় আছেন লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ।
এক যুগের সমাপ্তি হতে চলেছে ডি মারিয়ার ফুটবল অধ্যায়ে। প্রশ্ন একটাই—এই কিংবদন্তির শেষ চ্যাপ্টারটি লেখা হবে কি দেশের মাটিতে, নাকি বন্ধুদের সঙ্গে অন্য মহাদেশে?
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।