ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দেড় ঘণ্টা ধরে অবরোধের পর শাহবাগ ছেড়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা দাবি আদায়ে আরো বড় কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন।

রবিবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহবাগ মোড় ছাড়ার ঘোষণা দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। এর পর শাহবাগ মোড়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, এখনো পর্যন্ত ভিসি স্যার ও প্রক্টর স্যার সাম্যের বিচারের বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করতে পারেনি। যারা খুনি, তাদেরকে আটক করতেই হবে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এখনো সাম্যের পরিবারকে কেউ সহানুভূতি জানায়নি। যারা নিজেকে জুলাই আন্দোলনের শক্তি মনে করেন, তারাও সাম্য হত্যাকে কেন্দ্র করে কোনো সহানুভূতি জানায়নি। এখনো ড.

ইউনূসকে আমরা সামান্যতম সহানুভূতি দেখাতে দেখিনি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ছাত্রদলের পারভেজ, সাম্যরা খুন হয়; আমরা কোনো বিচার পাই না। আগামীতে যদি আমরা এমন পরিস্থিতি দেখতে পাই, তাহলে আমাদের গন্তব্য হবে যমুনা। সাম্যকে নিয়ে গুপ্ত সংগঠনের বট বাহিনী নোংরামি করছে। তাদের দ্বারা দেশে ইসলাম কায়েম হবে না। যদি সাম্য হত্যার বিচার না পাই, যদি খুনিদের আটক করা না হয়, তাহলে আমরা বৃহৎ কর্মসূচিতে যাব। আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র শ হব গ

এছাড়াও পড়ুন:

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর প্রয়োজনীয় তথ্য

 

ডায়াবেটিসের সঙ্গে পরিচিত নন, এমন কাউকে বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে এখনও ডায়াবেটিস সম্পর্কে অনেক তথ্যই আমাদের অজানা। আসুন একনজরে দেখে নিই:
কারও কারও ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস খুব ছোট বয়সেই ধরা পড়ে। আবার কারও ক্ষেত্রে মাঝবয়সে কিংবা তারও পরে ডায়াবেটিস হতে পারে। ছোট বয়সে যে ডায়াবেটিস হয়, তা সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিস (ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস) টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা সাধারণত রোগা এবং অল্পবয়সী হন। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা অন্যদিকে মোটা হন। তবে কোনো কোনো টাইপ ২ ডায়াবেটিক রোগী রোগা-পাতলা হতেই পারেন।
আপনার ডাক্তার যদি মনে করেন আপনার ইনসুলিনের প্রয়োজন আছে, তা নির্দ্বিধায় মেনে চলুন।
রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত হাঁটুন।
মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সাবধান। কারণ এতে আপনার প্যানক্রিয়াস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্যানক্রিয়াস বিটা সেল (যেখান থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ হয়) বেশি মিষ্টি খেলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
উচ্চতা কম হলে অল্প ওজন বাড়াও ক্ষতিকর। উচ্চতা তো আপনি বাড়াতে পারবেন না, সে ক্ষেত্রে ওজন কমানোর দিকে নজর দিন।
ওজন কমানোর জন্য জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ফুড হ্যাবিটসে পরিবর্তন আনুন।
প্রসেসেড খাবাব যেমন– নুডলস, বিস্কুট, চিপস এড়িয়ে চলাই উচিত। দিনে ১০০০০ স্টেপস হাঁটুন। যে কোনো ফিটনেস ট্র্যাকার দিয়ে দিনে কতটা হাঁটলেন তার ওপর নজর রাখতে পারবেন।
ডায়াবেটিসকে বলা হয় সাইলেন্ট ডিজিজ। অন্য কোনো কারণে রক্ত পরীক্ষা করার সময় হঠাৎই ধরা পড়ে। বা ডাক্তারের কাছে হয়তো আপনি অন্য কোনো কারণে গেছেন, তার সন্দেহের কারণে রক্ত পরীক্ষা করাতে হলে হয়তো জানতে পারবেন আপনার ডায়াবেটিস আছে। যেহেতু ডায়াবেটিস সাইলেন্ট ডিজিজ, তাই চুপচাপ, শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করতে পারে। চোখ, নার্ভ, কিডনি সবই এই অসুখে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ