বন্দরে বিভিন্ন মামলার ৪ ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ ৫ জনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার (১৮ মে) দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এর আগে গত শনিবার (১৭ মে) বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার দক্ষিন  ঘারমোড়া এলাকার সফর উদ্দিন মিয়ার ছেলে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী হাসান (৩৫) একই উপজেলার  পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এলাকার আব্দুল মোতালেব মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইউনুছ (৩৫) একই উপজেলার কামতাল মালিভিটা এলাকার আক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী আবু সিদ্দিক (২৮) ও চিড়াইপাড়া এলাকার মৃত সাহাজউদ্দিন মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রণী (২৪)।

 এ ছাড়াও বন্দর থানার দায়েরকৃত  নবীগঞ্জ অলেম্পিয়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সেলিম হোসেন (৩৮)কে গ্রেপ্তার করা হয়।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

শিকলে বেঁধে ইজিবাইক চালককে নির্যাতন

ঢাকার সাভারে ইজিবাইকের এক চালককে শেকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার হেমায়েতপুরের মধুরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিন ঘণ্টা ধরে ওই চালককে নির্যাতনের পর এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গ্যারেজ মালিক রফিক আহমেদ গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। 
ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলাম জামালপুর সদরের বাসিন্দা। তিনি হেমায়েতপুরের মধুরচর এলাকার ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন। আজিজুল জানিয়েছেন, গত রমজানে তিনি পাশের যাদুরচরের গ্যারেজ মালিক রফিক আহমেদ ওরফে রংপুরের রফিকের একটি ইজিবাইক ভাড়ায় চালাতে শুরু করেন। ঈদুল ফিতরের কয়েক দিন আগেই ছিনতাইকারীরা সেটি ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশ বৈঠক করেন। সেখানে আজিজুলকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁকে জানানো হয়, প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে কিস্তিতে ওই টাকা শোধ করতে হবে। এভাবে কিস্তি দিতে দিতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন।
তাঁর স্বজনরা জানায়, মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় শনিবার আজিজুল ইজিবাইক নিয়ে বাইরে যেতে পারেননি। এ কারণে এদিন কিস্তির ৫০০ টাকাও পরিশোধ করতে পারেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্যারেজ মালিক রফিক রোববার সকালে আজিজুলের বাসায় আসেন। সকাল ৮টার দিকে তাঁর কোমরে তালা দিয়ে শেকলে বেঁধে মারধর করেন রফিক। বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতিবেশী কেউ আজিজুলকে সহায়তা করতে আসেননি। এ সময় বিষয়টি জানাজানি হলে কয়েকজন এলাকাবাসী দুপুর ১২টার দিকে তালা ভেঙে তাঁকে মুক্ত করেন। 
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইজিবাইক ব্যবসায়ী রফিক আহমেদের খোঁজ করে এলাকায় পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন। কয়েক দফায় ফোন নম্বরে কল দিয়েও সংযোগ মেলেনি। মেসেজ দিলেও রাত পর্যন্ত উত্তর মেলেনি। 
সাভার থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিঞার ভাষ্য, এ ঘটনায় রাত পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত 
ব্যবস্থা নেবেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ