ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের ভেতরে থাকা এক রোগীকে নিশানা করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়েছে।

হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে এ কথা বলেছেন।

মুনির আল-বুরশ বলেন, হাসপাতালটিতে থাকা এক রোগীকে নিশানা করে ইসরায়েলি একটি যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে। হাসপাতালের আইসিইউতেও গুলি চালানো হয়েছে। হামলার আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কোনো ধরনের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।

এর আগে হাসপাতালটির পরিচালক বলেছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটি ঘিরে ফেলেছে। তারা হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেছে।

আল-জাজিরার প্রতিনিধি জানান, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটির ফটকে হামলা করেছে। বুলডোজার দিয়ে হাসপাতালটির উত্তর দিকের দেয়াল গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি অভিযানের সময় হাসপাতালটির ভেতরে অন্তত ৫৫ জন আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪ জন চিকিৎসক ও ৮ জন নার্স।

আরও পড়ুনযুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলা, শুধু ভোর থেকে শতাধিক নিহত১৯ ঘণ্টা আগে

এ ঘটনায় একটি বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধের অর্থ হলো, জাবালিয়া, বেইত লাহিয়া, বেইত হানুনসহ গাজার উত্তরাঞ্চলে আর কোনো সরকারি হাসপাতালই চালু রইল না।

এর আগে গাজার কামাল আদওয়ান ও বেইত হানুন হাসপাতালে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।

আরও পড়ুননাকবা দিবসে গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলা, নিহত অন্তত ১১৫১৫ মে ২০২৫আরও পড়ুনলাখো গাজাবাসীকে লিবিয়ায় সরিয়ে নিতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার খবর সত্য নয়: ত্রিপোলির মার্কিন দূতাবাস১৮ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীসহ বিজিবির সাবেক ডিজির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সোমা ইসলামের নামে আট ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার এবং তার স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের নামে থাকা অস্থাবর সম্পদসমূহ (বিও অ্যাকাউন্ট ও শেয়ার) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

সাফিনুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। তাদের নামে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। অনুসন্ধানকালে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, তাদের নামীয় ব্যাংক স্থিতি নগদায়ন করে অন্যত্র হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন। এসব হিসাবের অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। 

ছিদ্দিকুর রহমানের অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার পরিচালক আবুল হাসনাত। আবেদনে বলা হয়, ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে পাওয়া রেকর্ডপত্র মোতাবেক জানা যায়, ছিদ্দিকুর রহমান ও  রেবেকা রওশনের নামীয় সর্বমোট ১৩টি বিও অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রে বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তাদের নামীয় অস্থাবর সম্পদসমূহ হতে টাকা উত্তোলন করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন মর্মে গোপন সূত্রে জানা গেছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

ঢাকা/এম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ