টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) বিকেলে এমবিএসটিইউ রিডার জোন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্কের যৌথ উদ্যোগে ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও স্বীকৃতি অনুষ্ঠানের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক আলোচনা’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সেমিনার হলে আয়োজির এ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে দেশবন্ধু গ্রুপ।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.

আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। প্রধান আলোচক ছিলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মেজর (অব.) আবদুল ওহাব।

আরো পড়ুন:

‘আমি যে তাদের স্বার্থপর ছেলে’ লিখে যুবকের আত্মহত্যা

যবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি

বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম এবং দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মো. ইদ্রিসুর রহমান।

রিডার জোনের সাধারণ সম্পাদক রাহাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার-টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশের ট্রমা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট বিভাগের সুমাইয়া তামান্না এবং সুমাইয়া তাসনিম বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য দেন।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, “আত্মহত্যা একটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা, যা শুধু একটি ব্যক্তির জীবনকেই নিভিয়ে দেয় না, তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং পুরো সমাজকেই এক গভীর বেদনার সাগরে ভাসিয়ে দেয়। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই কোনো না কোনো সময়ে হতাশা, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ আসে। তবে মনে রাখতে হবে, এই কঠিন সময়ও পার হয়ে যায়।”

তিনি বলেন, “জীবনের কোনো সমস্যাই আত্মহত্যার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে না। তাই আমাদের দায়িত্ব— পরিবার, বন্ধু, সহপাঠী ও সহকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো। সহানুভূতি, সহযোগিতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে আমরা এই ভয়াবহ প্রবণতা প্রতিরোধ করতে পারি।”

ঢাকা/কাওছার/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অভিযানে আটকের পর হ্যান্ডকাপসহ পালাল ২ যুবক 

বরিশাল নগরীতে আটকের পর হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় পালিয়েছেন দুই যুবক। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে নগরের ভাটিখানা সাহাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে পুলিশ পলাতকদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু করে। তবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তাদের আটক করা যায়নি। 

পলাতক যুবকরা হলেন- মিরাজ ইসলাম ও রাসেল। 

কাউনিয়া থানার সহকারী কমিশনার মো. মশিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদক বিরোধী অভিযানে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুজন হ্যান্ডকাপসহ পালিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হবে। 

জানা গেছে, নগরীর সাহাপাড়া তালুকদার বাড়ি এলাকা থেকে মাদকসহ নাসির, মামুন, আল-আমিন, মিরাজ ও রাসেল নামক পাঁচজনকে আটক করা হয়। দুজনকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে পুলিশের মোবাইল টিমের হাতে দেওয়া হয়। অভিযানকারী দল অপর তিনজনকে নিয়ে সামনের দিকে যাচ্ছিল। পেছনে মোবাইল টিমের সঙ্গে থাকা হ্যান্ডকাপ পরা মিরাজ ও রাসেল কৌশলে পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ