চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ২ জনের
Published: 23rd, May 2025 GMT
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার পুরান বাজার দুই নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম জাফরাবাদ গ্রামে ঢালী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই বাড়ির মৃত আব্দুল ঢালীর ছেলে মো. মন্টু ঢালী (৭০) এবং একই এলাকার খান বাড়ির আমিন খানের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন খান (৫৫)।
মন্টু ঢালীর ছেলে আল-আমিন বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিংয়ের সমস্যা থেকে বসতঘর আগেই বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। সকালে আনোয়ার খান আমাদের বাড়িতে নতুন আত্মীয়তার বিষয়ে কথা বলে এসেছিলেন। চলে যাওয়ার সময় তিনি ঘরের বেড়ার টিনে হাত দিলে বিদ্যুতায়িত হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবাও বিদ্যুতায়িত হন। দুজনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
আরো পড়ুন:
লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, মরদেহে হামলা
হাইমচরে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘‘নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় দুটি পৃথক অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
ঢাকা/অমরেশ/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?