Prothomalo:
2025-07-30@17:25:23 GMT

সৌরজগতের শেষ সীমানা কোথায়

Published: 24th, May 2025 GMT

বিভিন্ন দেশের শেষ সীমানা রয়েছে। আমাদের সৌরজগতের শেষ সীমানা কোথায়, তা আমরা অনেকেই জানি না। সৌরজগতের শেষ সীমানা নির্ধারণ করা মোটেও সহজ কাজ নয়। আসলে সৌরজগতের কোনো সুস্পষ্ট প্রাচীর নেই, যা নির্দেশ করে সৌরজগৎ সেখানেই শেষ। তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য সৌরজগতের শেষ সীমা হিসেবে বেশ কিছু বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।

ঐতিহাসিকভাবে সৌরজগতের শেষ সীমানা ধরা হয় নেপচুন গ্রহের কক্ষপথকে। সূর্য থেকে প্রায় ৩০ জ্যোতির্বিদ্যা একক (এইউ) দূরে অবস্থিত নেপচুন গ্রহের কক্ষপথ। এর পরেই কুইপার বেল্ট শুরু হয়। নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে ৩০ থেকে ৫৫ এআই পর্যন্ত বিস্তৃত বরফ ও পাথরের ছোট ছোট বস্তুর একটি চাকতি কুইপার বেল্ট। প্লুটো ও অন্যান্য বামন গ্রহ যেমন হাউমিয়া ও মেকমেক এই অঞ্চলে অবস্থান করছে। অনেক স্বল্প পর্যায়ের ধূমকেতুর বাস এই কুইপার বেল্ট। বিজ্ঞানীদের অনেকেই মনে করেন, এখানেই সৌরজগতের মূল অংশ শেষ হয়েছে।

কুইপার বেল্টের পরের এলাকাকে হেলিয়োপজ বলে। সূর্যের প্রভাব কুইপার বেল্ট থেকে আরও বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সূর্য ক্রমাগত চার্জিত কণা, যাকে সৌরবায়ু বলে চারদিকে বিকিরণ করে, যা হেলিয়োস্ফিয়ার নামের একটি বিশাল বুদ্‌বুদের মতো অঞ্চল তৈরি করেছে। এটি সূর্য থেকে প্রায় ১২০ এইউ দূরে অবস্থিত। এই এলাকা সৌরজগতের চুম্বকীয় প্রভাবের শেষ সীমা হিসেবে বিবেচিত হয়। ভয়েজার–১ ও ভয়েজার–২ মহাকাশযান এই সীমা অতিক্রম করে আন্তনাক্ষত্রিক স্থানে প্রবেশ করেছে। হেলিয়োপজের ভেতরের অঞ্চল যেখানে সৌরবায়ু ধীর ও উত্তপ্ত হয়, তাকে হেলিয়োশিথ বলা হয়। এর ভেতরের দিকে রয়েছে টার্মিনেশন শক। যেখানে সৌরবায়ু সুপারসনিক গতি থেকে সাবসনিক গতিতে ধীর হতে শুরু করে।

সৌরজগতের একেবারে বাইরের দিকে এক বিশাল গোলাকার মেঘের মতো অঞ্চল রয়েছে, যা ওর্ট মেঘ নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এলাকাটি সূর্য থেকে প্রায় দুই হাজার থেকে দুই লাখ এইউ পর্যন্ত বিস্তৃত। সূর্যের মহাকর্ষীয় প্রভাব এখানে বেশ দুর্বল। নিকটবর্তী নক্ষত্রের মহাকর্ষীয় টানে এখানকার অনেক বস্তুর কক্ষপথ পরিবর্তিত হতে পারে। ওর্ট মেঘকে সৌরজগতের সর্বশেষ মহাকর্ষীয় সীমানা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানকার বস্তু সূর্যের দুর্বল বন্ধন ছেড়ে আন্তনাক্ষত্রিক স্থানে চলে যেতে পারে। কোনো মহাকাশযান যদি আলোর গতিতে ভ্রমণ করে তাহলে হেলিয়োপজে পৌঁছাতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা লাগবে। আর ওর্ট মেঘের ভেতরের প্রান্তে পৌঁছাতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। ওর্ট মেঘের বাইরের প্রান্তে পৌঁছাতে কয়েক হাজার বছর লেগে যাবে।

সূত্র: নাসা

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স রজগত র শ ষ স ম ন ওর ট ম ঘ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি

ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লি বলেছে, তারা ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রভাব খতিয়ে দেখছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। আগামী ১ আগস্ট (শুক্রবার) থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও জ্বালানি কেনায় দেশটির বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

পরে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যে মন্তব্য করেছেন, তা সরকারের নজরে এসেছে। সরকার এই পদক্ষেপের প্রভাব খতিয়ে দেখছে। কয়েক মাস ধরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ এবং পরস্পর উপকৃত হয়, এমন একটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছে। আমরা সেই লক্ষ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।’

বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের ‘কৃষক, উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) খাতের কল্যাণ ও উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।’ পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্প্রতি করা মুক্তবাণিজ্য চুক্তির কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্প্রতি করা পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তিসহ অন্যান্য বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে যেমনটি নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘ভারত যদিও আমাদের বন্ধু, তবে বিগত বছরগুলোতে তাদের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে আমরা কম ব্যবসা করেছি। কারণ, তাদের শুল্ক অনেক বেশি, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। তারা বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে কঠোর ও জঘন্য অশুল্ক বাধা ব্যবহার করে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তারা (ভারত) সব সময় সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি অংশ রাশিয়ার কাছ থেকে কিনে থাকে। সবাই যখন চায় রাশিয়া যেন ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ করে, ঠিক সে সময়ে চীনের মতো তারাও রাশিয়ার জ্বালানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা—এসব মোটেও ভালো কিছু নয়!’

গত এপ্রিলে নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করার সময় ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন। অবশ্য চীনের ওপর আরোপিত মোট ১০৪ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ওপর ৪৯ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্কের তুলনায় এটি কমই ছিল।

আরও পড়ুনভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য আলাদা ‘দণ্ড’৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ