2025-05-24@09:12:09 GMT
إجمالي نتائج البحث: 22
«স রজগত র শ ষ স ম ন»:
বিভিন্ন দেশের শেষ সীমানা রয়েছে। আমাদের সৌরজগতের শেষ সীমানা কোথায়, তা আমরা অনেকেই জানি না। সৌরজগতের শেষ সীমানা নির্ধারণ করা মোটেও সহজ কাজ নয়। আসলে সৌরজগতের কোনো সুস্পষ্ট প্রাচীর নেই, যা নির্দেশ করে সৌরজগৎ সেখানেই শেষ। তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য সৌরজগতের শেষ সীমা হিসেবে বেশ কিছু বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।ঐতিহাসিকভাবে সৌরজগতের শেষ সীমানা ধরা হয় নেপচুন গ্রহের কক্ষপথকে। সূর্য থেকে প্রায় ৩০ জ্যোতির্বিদ্যা একক (এইউ) দূরে অবস্থিত নেপচুন গ্রহের কক্ষপথ। এর পরেই কুইপার বেল্ট শুরু হয়। নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে ৩০ থেকে ৫৫ এআই পর্যন্ত বিস্তৃত বরফ ও পাথরের ছোট ছোট বস্তুর একটি চাকতি কুইপার বেল্ট। প্লুটো ও অন্যান্য বামন গ্রহ যেমন হাউমিয়া ও মেকমেক এই অঞ্চলে অবস্থান করছে। অনেক স্বল্প পর্যায়ের ধূমকেতুর বাস এই কুইপার বেল্ট। বিজ্ঞানীদের অনেকেই মনে করেন,...
দূর থেকে বিশাল লোহার লাল বলের মতো দেখতে মঙ্গল গ্রহ আমাদের সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ সংস্থা মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানের তথ্য কাজে লাগিয়ে মঙ্গল গ্রহকে প্রাণধারণের উপযোগী করতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তা–ই নয়, মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য কাজ করছেন স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্কও। ২০৩০ সালের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে বসতি গড়ার জন্য ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে যেতে চান তিনি। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের চমক রয়েছে।মঙ্গল গ্রহের বিষুবরেখার কাছেই রয়েছে বিশাল এক আগ্নেয়গিরি অঞ্চল ‘থরসিস বুলজ’। এই অঞ্চলে সৌরজগতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মন্স অবস্থিত। আগ্নেয়গিরিটি প্রায় ২২ কিলোমিটার উঁচু এবং প্রায় ৬০০ কিলোমিটার চওড়া। থরসিস বুলজ অঞ্চলে আস্ক্রিয়াস মন্স, পাভোনাস মন্স ও আরসিয়া...
সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছে। একই সঙ্গে এসব গ্রহ নিজ অক্ষের ওপরও ঘূর্ণায়মান। বিভিন্ন গ্রহ ঘূর্ণনের দিক, অক্ষের ওপরে হেলানো অবস্থানসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে বেশ আলাদা।ঘূর্ণনের দিক থেকে বুধ গ্রহ খুব ধীরে ঘুরে থাকে। বুধ গ্রহের ঘূর্ণনের দিক অন্যান্য বেশির ভাগ গ্রহের মতোই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে, যা আসলে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত। বুধ গ্রহের একটি দিন পৃথিবীর প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ দিনের সমান। গ্রহটির অক্ষ তার কক্ষপথের সঙ্গে প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৩ ডিগ্রি হেলে থাকায় তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ঋতু পরিবর্তন হয় না।বুধের পরেই শুক্র গ্রহের অবস্থান। সৌরজগতের একমাত্র শুক্র গ্রহ, যা পূর্ব থেকে পশ্চিমে বা ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন অতীতে কোনো বড় সংঘর্ষের কারণে শুক্র গ্রহ এমন করে ঘুরছে। শুক্রের একটি দিন...
আমাদের সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা আটটি। তবে আমাদের সৌরজগতে আর কোনো গ্রহ আছে কি না, তা জানতে প্রায় এক দশক ধরে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সৌরজগতে নতুন গ্রহ থাকার বিষয়ে শক্তিশালী পরিসংখ্যানগত প্রমাণ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা।সৌরজগতে থাকা নতুন গ্রহের বিষয়ে তাইওয়ানের ন্যাশনাল তসিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী টেরি লং ফান বলেন, ‘আমি খুব উত্তেজিত বোধ করছি। বেশ অনুপ্রাণিত আমরা। নতুন গ্রহের তথ্য নিয়ে একটি গবেষণাপত্র পাবলিকেশনস অব দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব অস্ট্রেলিয়া সাময়িকীতে প্রকাশ করা হবে।বিজ্ঞানীরা দুটি ইনফ্রারেড স্পেস টেলিস্কোপে ধারণ করা মহাকাশের ছবি কাজে লাগিয়ে সম্ভাব্য নতুন গ্রহের দীর্ঘ কক্ষপথের অবস্থান বিশ্লেষণ করছেন। তাঁদের দাবি, ১৩ জোড়া বিন্দু খুঁজে পাওয়া গেছে যা প্ল্যানেট নাইনের মতো চলমান গ্রহের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। বিন্দুর একেকটি সেটের রং ও...
প্রথমবারের মতো দূরবর্তী একটি নক্ষত্রে বরফের সন্ধান পেয়েছে নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। নাসার তথ্যমতে, সূর্যের চেয়ে সামান্য বড় ও উষ্ণ এইচডি ১৮১৩২৭ নামের নক্ষত্রের ধুলোময় ধ্বংসাবশেষ বা ডিস্কে বরফের স্ফটিক পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বরফগুলো প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ বছরের পুরোনো। পৃথিবী থেকে ১৫৫ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে ডিস্কটি। নেচার সাময়িকীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।জেমস ওয়েবের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নক্ষত্র ও ডিস্কের মধ্যে বেশ দূরত্ব রয়েছে, যা আমাদের সৌরজগতের কুইপার বেল্টের মতো। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী চেন শি বলেন, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ শুধু বরফ নয়, স্ফটিকের মতো বরফ আবিষ্কার করেছে। আমাদের সৌরজগতের কুইপার বেল্টের শনির বলয় ও বরফযুক্ত বস্তু বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। এইচডি ১৮১৩২৭ একটি অত্যন্ত সক্রিয় নক্ষত্র। এর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে এখনো নিয়মিত...
মৃত এক নক্ষত্রের কক্ষপথে শীতলতম এক্সোপ্ল্যানেটের (সৌরজগতের বাইরে থাকা গ্রহ) সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহটি এখন পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া শীতলতম এক্সোপ্ল্যানেট বলে দাবি করেছেন তাঁরা। নতুন এই গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ডাব্লিউডি ১৮৫৬বি। এটি একটি দৈত্যকার গ্রহ। প্রতিদিন গ্রহটি মাত্র দেড় ঘণ্টায় সাদা বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৮১ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্রহটির তাপমাত্রা মাইনাস ১২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মিড-ইনফ্রারেড প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গ্রহটির সন্ধান পাওয়া গেছে। সাদা বামন ধরনের একটি মৃত নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে গ্রহটি। পৃথিবী থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা সবচেয়ে ঠান্ডা গ্রহ এটি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী মেরি অ্যান লিম্বাচ বলেন, আমরা সবাই কিছুটা অবাক হয়েছি। এই গ্রহ বেশ ঠান্ডা।এত দিন সবচেয়ে ঠান্ডা এক্সোপ্ল্যানেট হিসেবে পরিচিত...
তারা যেন পৃথিবীর নাড়ি-ছেঁড়া ধন। না ফেরার দেশে যতই ছুটে চলেছে, পৃথিবী উপলব্ধি করছে নাড়ির টান। কষ্টসাধ্য হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। এসবের মধ্যেই তাদের নিরন্তর পথচলা অব্যাহত। ক্রমেই তারা সৌরজগৎ ছেড়ে অনন্ত-অসীমে হারিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর বার্তা, যদি কোনো দূর-গ্রহের কারও সাক্ষাৎ মেলে! তবে একটি প্রশ্ন এখন জোরালোভাবে সামনে আসছে, এভাবে আর কতকাল তারা পথ চলতে পারবে? কথা হচ্ছিল দুই ‘ভয়েজার বোন’কে নিয়ে। এখন তারা পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে যাওয়া মনুষ্যসৃষ্ট বস্তু। প্লুটোনিয়াম পুড়িয়ে উৎপন্ন হচ্ছে তাপবিদ্যুৎ, যা তাদের চালিকাশক্তি। অসীমের যাত্রাপথে প্রতিবছর তারা প্রত্যেকে চার ওয়াট শক্তি হারায়। বিজ্ঞানীরা চান তাদের যাত্রা যেন না থামে। এ জন্য জ্বালানি যাতে দ্রুত ফুরিয়ে না যায়, পৃথিবী থেকে নাসার বিজ্ঞানীরা সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে তারা...
কয়েক দশক ধরে আমাদের সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীসদৃশ গ্রহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর মতো এসব গ্রহ অনেক ছোট হওয়ায় শনাক্ত করা বেশ কঠিন। এবার বিশেষ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ব্যবহার করে পৃথিবীসদৃশ ৪৪টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।জার্মানির বার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইজারল্যান্ডের ন্যাশনাল সেন্টার অব কম্পিটেন্স ইন রিসার্চ প্ল্যানেটএসের বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি মডেলকে গ্রহ শনাক্ত করার কাজে প্রশিক্ষিত করেছেন। তবে এআই মডেলটি রাতের আকাশ দেখে গ্রহের খোঁজ দিতে পারে না। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে অজানা পৃথিবীসদৃশ গ্রহ কোথায় লুকিয়ে থাকতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। নতুন এই মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ৯৯ ভাগ নির্ভুলভাবে পৃথিবীসদৃশ গ্রহগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারছে।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমাদের সৌরজগতের বাইরে গ্রহের সন্ধান করা অনেক কঠিন। অনেক তারার একাধিক গ্রহ রয়েছে। লুকানো গ্রহগুলোর পূর্বাভাস...
নাসার লুসি মহাকাশযান বৃহস্পতি গ্রহের কাছাকাছি অচিহ্নিত গ্রহাণুদের ঝাঁকের দিকে যাত্রা করছে। যাত্রার সময় এই সপ্তাহে একটি ছোট গ্রহাণুর খুব কাছাকাছি দিয়ে উড়ে যাবে যানটি। ১১টি মহাজাগতিক পাথর পরিদর্শনের লক্ষ্যে ২০২১ সালে যাত্রা করে লুসি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো গ্রহাণুর কাছাকাছি যাচ্ছে লুসি। গ্রহাণুর কাছ থেকে যাওয়ার সময় বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক সৌরজগৎকে জানতে গ্রহাণুর তথ্য সংগ্রহ করবেন। এসব গ্রহাণু সুদূর অতীতে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের অংশ ছিল বলে মনে করা হয়।২০২৭ সালে লুসি বৃহস্পতি গ্রহের কাছে ট্রোজান গ্রহাণুর এলাকায় পৌঁছাবে। মহাকাশযানটি এবারের গ্রহাণু দর্শনে তিনটি সরঞ্জামের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবে। ডোনাল্ড জোয়ানসন নামের গ্রহাণু থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা। লুসির সঙ্গে গ্রহাণুর দেখা–সাক্ষাৎ পৃথিবী থেকে ১৩ কোটি ৯০ লাখ মাইল দূরে মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী প্রধান গ্রহাণু বেল্টে ঘটবে।গ্রহাণুটির...
সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের অন্ত নেই। এবার সেই জিজ্ঞাসার উত্তরের পথে এক বড় অগ্রগতি দেখিয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। আমাদের সৌরজগৎ থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্রহ ‘কে টু-এইটিন বি’-এর বায়ুমণ্ডলে পাওয়া গেছে এমন দুটি রাসায়নিক যৌগ, যেগুলো পৃথিবীতে শুধু জীবিত প্রাণের মাধ্যমেই তৈরি হয়। যৌগ দুটি হলো, ডাইমিথাইল সালফাইড (ডিএমএস) এবং ডাইমিথাইল ডিসালফাইড (ডিএমডিএস)। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে এই যৌগগুলো সাধারণত সামুদ্রিক এক ধরনের ক্ষুদ্র জীবকণা ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের মাধ্যমে তৈরি হয়। ওই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এগুলোর উপস্থিতি সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার বিষয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিক্কু মধুসূদনের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে গবেষণাটি। তিনি বলেন, এটি এখন পর্যন্ত সৌরজগতের বাইরে প্রাণের সম্ভাব্য কার্যকলাপের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ। কিন্তু আমরা খুব সাবধানে এগোচ্ছি। সংকেতটি সত্যিই বাস্তব...
সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে বিজ্ঞানীরা এমন গ্যাসের রাসায়নিক চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন, যা কেবল পৃথিবীতে জৈবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে করা এক পর্যবেক্ষণে এমন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটিকে বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের বাইরের কোনো গ্রহে সম্ভাব্য প্রাণের অস্তিত্বের সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ বলে উল্লেখ করেছেন।ওয়েব টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণে কে২-১৮ বি নামের একটি গ্রহে দুটি গ্যাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এগুলো হলো ডাইমিথাইল সালফাইড (ডিএমএস) এবং ডাইমিথাইল ডিসালফাইড (ডিএমডিএস)। এসব গ্যাস পৃথিবীতে জীবন্ত প্রাণী, বিশেষ করে সামুদ্রিক ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের (একধরনের শৈবাল) মতো জীবন্ত অণুজীব থেকে উৎপন্ন হয়। এসব গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়ার কারণে ধারণা করা হচ্ছে, গ্রহটিতে বিপুল পরিমাণে অণুজীব থাকতে পারে।ওয়েব টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণে কে২-১৮ বি নামের একটি গ্রহে দুটি গ্যাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এগুলো হলো ডাইমিথাইল সালফাইড...
সৌরজগতের বেশ রহস্যময় গ্রহ ইউরেনাস। সৌরজগতের সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইডসমৃদ্ধ কিছু লক্ষণ ইউরেনাসের চাঁদে খুঁজে পাওয়া গেলেও দূরে থাকার কারণে গ্রহটির বিষয়ে এখন পর্যন্ত খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। এবার হাবল স্পেস টেলিস্কোপের সংগ্রহ করা প্রায় এক দশকের তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউরেনাস গ্রহে কত ঘণ্টায় দিন হয়, তা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ইউরেনাস গ্রহের একটি পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ১৭ ঘণ্টা, ১৪ মিনিট এবং ৫২ সেকেন্ড সময় প্রয়োজন হয়। এই হিসাবে গ্রহের অরোরা থেকে আসা চৌম্বক ক্ষেত্র ও রেডিও তরঙ্গ পরিমাপ করে জানা গেছে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপের সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী ইউরেনাস গ্রহে ১৭ ঘণ্টা, ১৪ মিনিট এবং ৫২ সেকেন্ডে এক দিন হয়। নিজ অক্ষে এই সময়ে একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করে গ্রহটি। এই তথ্য নাসার ভয়েজার ২ মহাকাশযানের সংগ্রহ করা তথ্যের...
মিল্কিওয়ে ছায়াপথে পৃথিবী থেকে প্রায় ১২ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অ্যাকুইলা নক্ষত্রমণ্ডল অবস্থিত। সেখানকার দারুণ এক ঘটনার খোঁজ মিলেছে। ২০২০ সালের মে মাসে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো একটি গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করেন। সেই গ্রহকে তার নক্ষত্র খেয়ে ফেলছে। নক্ষত্রটি আসলে তার জীবদ্দশার শেষ দিকে ফুলেফেঁপে লাল দানবে পরিণত হওয়ার সময় গ্রহটিকে গ্রাস করতে শুরু করে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের নতুন পর্যবেক্ষণ সেই ঘটনার ময়নাতদন্ত করছে। দেখা যাচ্ছে, গ্রহটির পতন প্রাথমিকভাবে যা ভাবা হয়েছিল, তার থেকে ভিন্নভাবে ঘটেছে। গবেষকেরা বলেছেন, নক্ষত্র গ্রহের কাছে আসার পরিবর্তে গ্রহটি নক্ষত্রের কাছে ধেয়ে আসতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা গ্রহকে কক্ষপথ থেকে গ্রাস করতে থাকে।নক্ষত্রের চারপাশে একটি বলয় তৈরি করা উত্তপ্ত গ্যাসের মাধ্যমে গ্রহটিকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলতে দেখা যায়। বিজ্ঞানী রায়ান লাউ বলেন, গ্রহকে যখন গ্রাস...
নতুন একটি টেলিস্কোপ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা, যার মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে, কোনো গ্রহে এলিয়েন জীবন আছে কি না। এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ (ইএলটি) নামের এই টেলিস্কোপ আমাদের সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের জৈব প্রমাণ বা বায়োসিগনেচার শনাক্ত করতে পারে। শুধু তা–ই নয়, আমাদের সৌরজগতের নিকটতম তারা প্রক্সিমা সেন্টোরির তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ও নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষকেরা এই টেলিস্কোপের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছেন। নতুন এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, চিলিতে বর্তমানে নির্মাণাধীন এই টেলিস্কোপ শুধু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীর বাইরে এলিয়েন জীবনের সন্ধান করতে পারবে।বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ‘ইএলটি টেলিস্কোপ আমাদের সৌরজগতের গ্রহের বায়োসিগনেচার দ্রুত শনাক্ত করতে পারে। সৌরজগতের সীমানায় থাকা বিভিন্ন গ্রহের বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণ করে দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট দিতে কাজ করবে এই টেলিস্কোপ।’এই টেলিস্কোপ প্রাণহীন বিশ্বকে আলাদা...
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে দিন ও রাতে বেশ গরম অনুভূত হলেও সিলেটসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাচ্ছে। তাপমাত্রার এমন বৈচিত্র্য শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তে দেখা যায়। আর তাই কোনো দেশে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও পৃথিবীর অন্য প্রান্তের দেশগুলো বরফে ঢাকা থাকে। সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ ও চাঁদের তাপমাত্রায়ও এ ধরনের বৈচিত্র্য দেখা যায়।বুধ গ্রহের দিনের তাপমাত্রা ৪৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্র গ্রহের গড় তাপমাত্রা ৪৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডল খুবই ঘন, তাই তাপমাত্রা এত বেশি। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও আমাদের চাঁদের দিনের তাপমাত্রা ১২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ১৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চাঁদের তাপমাত্রা দিন ও রাতের মধ্যে খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে...
পৃথিবী থেকে ২ হাজার কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে খেয়াযান ভয়েজার। ভয়েজার ১ পৃথিবী থেকে ২ হাজার ৪১৪ কোটি কিলোমিটারের বেশি দূরে আর ভয়েজার ২ এখন ২ হাজার ৯২০ কোটি কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থান করছে। শক্তি-সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণে সবচেয়ে দূরবর্তী মানব-নির্মিত বস্তু হিসেবে ভয়েজার ১ ও ২ অনন্য সব রেকর্ড করছে। মহাকাশ সংস্থা নাসার ভাষ্যে, ভয়েজারের চার্জযুক্ত কণা ও মহাজাগতিক রশ্মি পরিমাপ করার যন্ত্র এই মাসের শেষের দিকে বন্ধ হয়ে যাবে। নাসা মহাজাগতিক রশ্মি অধ্যয়নের জন্য ডিজাইন করা ভয়েজার ১ যানে একটি যন্ত্র চালু করেছে। ভয়েজার ২ যানের কম-শক্তির চার্জযুক্ত কণা পরীক্ষার যন্ত্র আমাদের সৌরজগৎ ও ছায়াপথ থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন আয়ন, ইলেকট্রন ও মহাজাগতিক রশ্মি পরিমাপ করে। এই মাসের শেষের দিকে তা নিষ্ক্রিয় করা হবে। নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ভয়েজার...
আমাদের সূর্যকে ঘিরে থাকা বিভিন্ন চাঁদ আর গ্রহ প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে একটি প্রোটো-প্ল্যানেটারি ডিস্ক থেকে বিভিন্ন রূপান্তরের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। সেই সময়কার কোনো মহাজাগতিক বস্তু বর্তমানে আর টিকে নেই। কিন্তু একটি উল্কাপিণ্ড সেই সময়কার কথা বিজ্ঞানীদের মনে করিয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এনডব্লিউএ ১৫৯১৫ নামের উল্কাপিণ্ডটি সম্ভবত বুধ গ্রহের মতো অন্য কোনো গ্রহ থেকে এসেছে। এই বিরল উল্কাপিণ্ডটি সৌরজগতের প্রাথমিক সময়কার বিশৃঙ্খল অবস্থা সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।বিরল উল্কাপিণ্ডটির পুরো নাম নর্থওয়েস্ট আফ্রিকা ১৫৯১৫। ২০২৩ সালে আলজেরিয়ায় আবিষ্কৃত উল্কাপিণ্ডটির বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২.৮৪ কিলোগ্রাম ওজনের এই শিলা সম্ভবত অন্য কোনো গ্রহের অংশ ছিল। উল্কাপিণ্ডটি পাথুরে অ্যাকনড্রাইট দিয়ে তৈরি, যা অন্য কোনো উল্কাপিণ্ড বা গ্রহের মধ্যে দেখা যায়নি।সাধারণত বেশির ভাগ উল্কাপিণ্ডের উৎপত্তি সম্পর্কেই তথ্য জানা যায়।...
চারপাশ নীরব-নিস্তব্ধ। এরই মাঝে রাতের আকাশে তাক করে রাখা টেলিস্কোপ। সেখানে চোখ রেখে কিছু মানুষ দেখছে ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এ আয়োজন ছিল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিন্দুবাড়ী এলাকার বেনুভিটা মানমন্দিরে। সেখানে বিরল মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখতে সমবেত হয়েছিল কিছু বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। তাদের কেউ পর্বতারোহী, কেউ আবার সংস্কৃতি চর্চায় জড়িত। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ছিল খুদে শিক্ষার্থীরাও। আয়োজকরা জানান, পৃথিবী থেকে একসঙ্গে মঙ্গল, বৃহস্পতি, ইউরেনাস, শুক্র, নেপচুন, বুধ ও শনি গ্রহ দেখার জন্য তাদের এ আয়োজন। সৌরজগতের এই সাত গ্রহ এদিন এক কাতারে চলে আসে; যা জোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ বা গ্রহের কুচকাওয়াজ হিসেবে পরিচিত। আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী কাবেরী জান্নাত বলেন, অভূতপূর্ব মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পৃথিবীর মানুষ। সৌরজগতের সাতটি গ্রহ একসঙ্গে দেখতে পাওয়া গেল। এই...
বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে বিশ্ববাসী। পৃথিবী থেকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে সৌরজগতের সাতটি গ্রহ। জোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ বা গ্রহের কুচকাওয়াজ। গতকাল মঙ্গলবার, আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর এই দৃশ্য দেখা যাওয়ার কথা। এরপর ২০৪০ সাল পর্যন্ত এমন দৃশ্য অবলোকনের সুযোগ পাবেন না এ গ্রহের বাসিন্দারা।সৌরজগতের যে সাত গ্রহ এককাতারে এসেছে সেগুলো হলো মঙ্গল, বৃহস্পতি, ইউরেনাস, শুক্র, নেপচুন, বুধ ও শনি। এর মধ্যে বুধ, শুক্র, বৃহস্পতি ও মঙ্গল গ্রহ দেখা যাবে খালি চোখে। দিগন্তের নিম্নরেখায় অবস্থান করার কারণে খালি চোখে শনি গ্রহ দেখা হবে কঠিন। আর ইউরেনাস ও নেপচুনকে দেখতে হলে প্রয়োজন হবে টেলিস্কোপের।মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে এ দৃশ্য ভালোভাবে দেখা যাবে। তবে এককাতারে সাত গ্রহের দেখা মিলবে খুবই অল্প সময়ের জন্য। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে...
ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির ভেরি লার্জ টেলিস্কোপের সংগ্রহ করা তথ্য কাজে লাগিয়ে প্রথমবারের মতো সৌরজগতের বাইরে থাকা টাইলোস বা ওয়াসপ-১২১বি নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলের ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, টাইলোস একটি বড় গ্যাসীয় গ্রহ, যা নক্ষত্রের বেশ কাছাকাছি প্রদক্ষিণ করছে। উত্তপ্ত গ্রহটির বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম দিয়ে তৈরি হয়েছে। আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল এভাবেই বিকশিত হয়েছে। আর তাই গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের ত্রিমাত্রিক কাঠামো নতুন তথ্য জানার সুযোগ করে দিয়েছে।টাইলোস গ্রহের বায়ুমণ্ডলে তিনটি স্তর রয়েছে। অবিশ্বাস্য তাপের কারণে গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের একেবারে নিচের স্তরে গ্যাসীয় আকারে লোহা ও মাঝের স্তরে সোডিয়াম রয়েছে। শুধু তা–ই নয়, গ্রহটির চারপাশে সোডিয়ামের একটি স্রোত বৃত্তাকারভাবে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭০ হাজার কিলোমিটার গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তাই আমাদের সৌরজগতের যেকোনো গ্রহের তুলনায় টাইলোস গ্রহে...
বৃহস্পতি গ্রহের একাধিক চাঁদ রয়েছে, যার মধ্যে ‘আইও’ অন্যতম। বৃহস্পতি গ্রহের চতুর্থ বৃহত্তম চাঁদ হিসেবে পরিচিত আইওতে সন্ধান মিলেছে সৌরজগতের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির। শুধু তা–ই নয়, সম্প্রতি প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণের পর আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পাঠানো ‘জুনো’ মহাকাশযান বৃহস্পতি গ্রহের আইও চাঁদে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা শনাক্ত করেছে। মহাকাশযানটির পাঠানো তথ্য পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আশপাশে প্রায় ৮০ ট্রিলিয়ন ওয়াটের তাপশক্তি উৎপন্ন হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই তাপশক্তি পৃথিবীর সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতার চেয়ে ছয় গুণ বেশি।নাসার তথ্যমতে, জুনো মহাকাশযানের জোভিয়ান ইনফ্রারেড অরোরাল ম্যাপার (জির্যাম) যন্ত্রের মাধ্যমে নতুন এক আগ্নেয়গিরির সন্ধান পাওয়া গেছে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের স্থানটি আকারে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার। আর তাই এটিকে আইও চাঁদের...
পৃথিবীতে শুরু থেকে পানি ছিল, নাকি বাইরের কোনো উৎস থেকে পানি এসেছে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। কোনো কোনো বিজ্ঞানীর ধারণা, পৃথিবীতে প্রথম জীবের আবির্ভাব হওয়ার আগেই পানির উপস্থিতি ছিল। আবার কারও ধারণা, সৌরজগতে থাকা গ্রহাণুর মাধ্যমে পানি এসেছে পৃথিবীতে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রুটজার্স বিশ্ববিদ্যালয় নিউ ব্রান্সউইকের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, পৃথিবীতে পানি আগের ধারণার চেয়ে অনেক পরে এসেছে। পৃথিবী তার গঠনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পানি পেয়েছে। নতুন এই আবিষ্কার পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশের ক্ষেত্রে নতুন তথ্য দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।পৃথিবীতে পানির উৎসের সময় বিষয়ে বিজ্ঞানী ক্যাথরিন বার্মিংহাম বলেন, ‘পৃথিবীতে কখন পানি এসেছে, তা গ্রহবিজ্ঞানের জন্য একটি উত্তরহীন প্রশ্ন। যদি আমরা উত্তরটি জানি, তাহলে জীবন কখন ও কীভাবে বিকশিত হয়েছিল, তা আমরা আরও ভালোভাবে জানতে পারব। নতুন গবেষণা বলছে, পৃথিবী গঠনের...