মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট আনতে বন্ধুকে নিয়ে যশোর অফিসে যান কলেজছাত্র আসিফ হোসেন। ফেরার পথে ট্রাকচাপায় তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন তার বন্ধু রাকিবুল ইসলাম শুভ। তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যশোরের খয়েরতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনেরা সড়কে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

নিহত আসিফ সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। আসিফ ও রাকিব পালবাড়ির টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। 

নিহতের স্বজনরা ও পুলিশ জানিয়েছে, আগামী জুন মানে আসিফের মালয়েশিয়াতে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য যশোর অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন তিনি। আজ তার পাসপোর্ট দেওয়ার দিন ছিল। দুপুরে বন্ধু রাকিবকে নিয়ে পাসর্পোট আনতে যান তিনি। ফেরার পথে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যশোরের খয়েরতলা এলাকায় পৌঁছালে ঝিনাইদহ থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসিফ ছিটকে ট্রাকের নিচে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত রাকিবকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ও নিহতের স্বজনরা সড়কে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করেন। 

নিহত আসিফের বাবা মেহের আলী ভাইকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘আমার কি হয়ে গেল। আমার তো সব শেষ! ছেলেটারে বিদেশে পাঠাতে চাইছিলাম। কাগজপত্রও এসেছিল। আজ পাসপোর্ট দেবে বলে খুব খুশি ছিল। পাসপোর্ট আনতে গিয়ে ছেলেটার প্রাণটা চলে গেল। আমি কি নিয়ে বাঁচব? বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাবধানে গাড়ি চালাতে বলেছিলাম। ছেলেটা ট্রাকের চাকায় চাপা পড়ে গেল। আমার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল।’ 

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র সড়ক দ র ঘটন ন হত ন হত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণী

প্রেমের টানে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি তরুণী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে অনুপ্রবেশে সহায়তা করার অভিযোগে তার প্রেমিক ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সেপাহিজলা জেলায়। অভিযুক্তরা বর্তমানে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

গ্রেপ্তার ওই বাংলাদেশি তরুণীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে। আর তার প্রেমিকের নাম দত্ত যাদব। তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দা। 

পুলিশ জানায়, ওই বাংলাদেশি তরুণী একসময় মুম্বাইয়ের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায়  যোগ দেন। এসময় কর্ণাটকের বাসিন্দা দত্ত যাদবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তবে কয়েক মাস আগে ওই তরুণী আবার বাংলাদেশে চলে যায়। প্রেমিকের অনুরোধ রাখতে আবার ভারতে আসেন। তবে তার সঙ্গে পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল না। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অনুপ্রবেশে সহায়তা করায় তার প্রেমিক দত্ত যাদবকেও গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ আরও জানায়, তারা ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এসময় বিএসএফ তাদের আটক করে। 

অভিযুক্তদের ভারতীয় পাসপোর্ট আইন এবং ১৪ ফরেনারস অ্যাক্ট ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীন বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। 

ত্রিপুরা রাজ্যের পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ওই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে অনুপ্রবেশে কোনো দালাল সহযোগিতা করেছে কি না তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। সেটি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ