হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেপ্তার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে ৮ দিন এবং মোল্লা মাসুদসহ ৩ জনকে ছয় দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার বিকেলে এ আদেশ দেন।

এর আগে সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ ও ফরিদ আহমেদ বাবু ওরফে এক্সেল বাবু, সহযোগী শুটার আরাফাত এবং শরীফকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ।

শুনানি নিয়ে আদালত সুব্রত বাইনকে ৮ দিন, অপর ৩ জনের ৬ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

আরও পড়ুনতৎপর শীর্ষ সন্ত্রাসীরা, আধিপত্য বিস্তারে খুনোখুনি৮ ঘণ্টা আগে

এর আগে কুষ্টিয়া থেকে সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করে।

পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার হন সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফ।

অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতেন বলে জানিয়েছে অভিযানসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানান, সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার পর কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুনকে এই সুব্রত বাইন, কীভাবে জড়ালেন অপরাধজগতে২০ ঘণ্টা আগে

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার চারজনের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা রয়েছে। সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ ‘সেভেন স্টার’ সন্ত্রাসী দলের নেতা এবং তালিকাভুক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অন্যতম।

আরও পড়ুনসুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের তথ্যে হাতিরঝিলে গ্রেপ্তার ‘শুটার’ আরাফাত ও শরিফ২০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ত সহয গ

এছাড়াও পড়ুন:

নন্দকুঁজা নদীকে দখল-দূষণমুক্ত করার দাবি

দখল-দূষণ থেকে নন্দকুঁজা নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। বৃহস্পতিবার গুরুদাসপুর উপজেলা সদর চাঁচকৈড় গরুর হাট এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে কৃষক, মৎস্যজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে তারা নদী রক্ষার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। 
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির উপজেলা শাখার সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সমাজসেবক রাশিদুল ইসলাম, চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আলী আক্কাস প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার উপজেলা সহসভাপতি কে.এম. রাকিবুল ইসলাম। 
বক্তারা বলেন, ‘নন্দকুঁজা নদী শুধু একটি জলপ্রবাহ নয়, এটি আমাদের এলাকার জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। নদীর দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। অবিলম্বে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে নদী দখলমুক্ত করতে হবে।’ 
ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ জানান, নদী ঘিরে থাকা অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছে। শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে। পৌরসভার বর্জ্য অন্যত্র ফেলা এবং অপরিচ্ছন্ন স্থানগুলো পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ