সর্বোচ্চ আদালতের যে রায় হয়েছে অবিলম্বে কার্যকর করে স্থানীয় সরকারকে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। নইলে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে বলেন তিনি।

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তির পর এ কথা বলেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে নগর ভবনে এসে সেখানে অবস্থানরত নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ইশরাক।

সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে সরকারের উদ্দেশে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই রায়ের পর অবিলম্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আমার শপথ গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনারা শপথ নিয়ে যে টালবাহানা করেছেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে টানা দুই সপ্তাহ নগর ভবনের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এটি করার কোনো এখতিয়ার আপনাদের নাই।’

ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষণার পরপর আপনাদের উচিত ছিল শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা। যেহেতু আগে এটা করেন নাই, এখন সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশনাটা আপনাদের ওপর এমনিতেই বর্তায়। যত দ্রুত সম্ভব শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননা শামিলের অভিযোগ চলে আসবে।’

ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু আপনারা দেখেছেন বর্তমান সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং এর সঙ্গে জড়িত কিছু প্রশাসনের কর্মকর্তা আমাদের প্রতি বৈষম্য মূলক আচরণ করেছে। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী ছিলাম বলে আমার প্রতি এই বৈষম্য করা হয়েছিল। আজকের রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা হলো।’

আরও পড়ুননগর ভবনে চলছে অবস্থান কর্মসূচি, অংশ নেবেন ইশরাক৩ ঘণ্টা আগে

সরকার একজন মেয়রকে শপথ পড়াতে ব্যর্থ হয়েছে বলেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে ৩০০ জন এমপিকে শপথ পড়াতে কীভাবে তারা কার্যকর উদ্যোগ নেবে। এটা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে।’

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকার নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ইশরাকের সমর্থকেরা। ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে বৃষ্টির মধ্যেও কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে কর্মসূচিতে ইশরাকের সমর্থকদের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের বড় একটি অংশ যুক্ত আছেন।

অবিলম্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে শপথের উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ইশরাক। তিনি বলেন, ‘আপনারা শপথ নিয়ে যে টালবাহানা করেছেন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে টানা দুই সপ্তাহ নগর ভবনের সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এটার কোনো এখতিয়ার আপনাদের নাই। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দেওয়ার পর আপনাদের উচিত ছিল, শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান শেষ করা। যেহেতু আগে এটা করেন নাই, এখন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাটা আপনাদের ওপর এমনিতেই বর্তায়। যত দ্রুত সম্ভব শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননার অভিযোগ চলে আসবে।’

অবস্থান কর্মসূচিতে পৌঁছালে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন সমর্থকেরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে, ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শপথ গ রহণ র ইশর ক হ স ন র আপন দ র নগর ভবন অন ষ ঠ ন অবস থ ন ন ইশর ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদার দাবিতে পিটিয়ে হত্যা, দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোমিনুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাপ্পু (৪০) ও তার ভাই শুক্কুর (৩৭)। তারা উভয় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।

আরো পড়ুন:

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন

ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘‘সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের তদারকি করতেন সিরাজুল ইসলাম। সে সময় শুক্কুর ও তার ভাই পাপ্পুসহ কয়েকজন সিরাজুলের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ