অবিলম্বে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে, নইলে আরও আন্দোলন: ইশরাক হোসেন
Published: 29th, May 2025 GMT
সর্বোচ্চ আদালতের যে রায় হয়েছে অবিলম্বে কার্যকর করে স্থানীয় সরকারকে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। নইলে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে বলেন তিনি।
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তির পর এ কথা বলেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে নগর ভবনে এসে সেখানে অবস্থানরত নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ইশরাক।
সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে সরকারের উদ্দেশে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই রায়ের পর অবিলম্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আমার শপথ গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনারা শপথ নিয়ে যে টালবাহানা করেছেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে টানা দুই সপ্তাহ নগর ভবনের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এটি করার কোনো এখতিয়ার আপনাদের নাই।’
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষণার পরপর আপনাদের উচিত ছিল শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা। যেহেতু আগে এটা করেন নাই, এখন সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশনাটা আপনাদের ওপর এমনিতেই বর্তায়। যত দ্রুত সম্ভব শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননা শামিলের অভিযোগ চলে আসবে।’
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু আপনারা দেখেছেন বর্তমান সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং এর সঙ্গে জড়িত কিছু প্রশাসনের কর্মকর্তা আমাদের প্রতি বৈষম্য মূলক আচরণ করেছে। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী ছিলাম বলে আমার প্রতি এই বৈষম্য করা হয়েছিল। আজকের রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা হলো।’
আরও পড়ুননগর ভবনে চলছে অবস্থান কর্মসূচি, অংশ নেবেন ইশরাক৩ ঘণ্টা আগেসরকার একজন মেয়রকে শপথ পড়াতে ব্যর্থ হয়েছে বলেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে ৩০০ জন এমপিকে শপথ পড়াতে কীভাবে তারা কার্যকর উদ্যোগ নেবে। এটা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকার নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ইশরাকের সমর্থকেরা। ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে বৃষ্টির মধ্যেও কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে কর্মসূচিতে ইশরাকের সমর্থকদের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের বড় একটি অংশ যুক্ত আছেন।
অবিলম্বে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে শপথের উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ইশরাক। তিনি বলেন, ‘আপনারা শপথ নিয়ে যে টালবাহানা করেছেন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে টানা দুই সপ্তাহ নগর ভবনের সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এটার কোনো এখতিয়ার আপনাদের নাই। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দেওয়ার পর আপনাদের উচিত ছিল, শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান শেষ করা। যেহেতু আগে এটা করেন নাই, এখন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাটা আপনাদের ওপর এমনিতেই বর্তায়। যত দ্রুত সম্ভব শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননার অভিযোগ চলে আসবে।’
অবস্থান কর্মসূচিতে পৌঁছালে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন সমর্থকেরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে, ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শপথ গ রহণ র ইশর ক হ স ন র আপন দ র নগর ভবন অন ষ ঠ ন অবস থ ন ন ইশর ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদায় অনুষ্ঠানে মাস্ককে বড় সোনার চাবি উপহার দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান হিসেবে সদ্য অব্যাহতি নিয়েছেন ইলন মাস্ক। শুক্রবার ওভাল অফিসে মাস্কের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইলন মাস্ককে বড় একটি সোনার চাবি উপহার দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড। খবর এএফপি, বিবিসির
এদিন ট্রাম্প একটি কাঠের বাক্সে রাখা বড়সড় সোনার চাবি ইলন মাস্কের হাতে তুলে দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এ ধরনের উপহার আমি কেবল ‘বিশেষ মানুষদের’ই দেই।’ দেশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদস্বরূপ মাস্ককে এ উপহার দেওয়া হলো বলে জানান ট্রাম্প।
ওভাল অফিসে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা সরকারি দক্ষতা বিভাগের শেষ নয়, বরং সত্যিকার অর্থে সূচনাপর্ব।’
সম্প্রতি ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এ বিভাগে তার দায়িত্ব ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি খরচ কমানো। বিশেষ সরকারি উপদেষ্টা হিসেবে তার মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে ছিল।
গত চার মাসে মাস্কের নেতৃত্বাধীন সরকারি দক্ষতা বিভাগ হাজার হাজার চাকরি কমিয়েছে, একাধিক সরকারি সংস্থা বন্ধ করেছে, এমনকি বৈদেশিক সহায়তায়ও কাটছাঁট করেছে। ২৬ মে পর্যন্ত সরকারি দক্ষতা বিভাগ প্রকল্পের মাধ্যমে আনুমানিক ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বিবিসির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র এক-চতুর্থাংশের নথিপত্র বা প্রমাণ আছে।
সংবাদ সম্মেলনে মাস্ককে প্রশ্ন করা হয়, সরকারি দক্ষতা বিভাগের সঙ্গে তার ভবিষ্যতের ভূমিকা কেমন হবে? জবাবে তিনি বলেন, তিনি আশা করছেন প্রেসিডেন্ট যখনই চাইবেন, তখনই তিনি পরামর্শ দিতে থাকবেন।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওভাল অফিসে রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান ইলন মাস্কের প্রশংসা করেন। ট্রাম্পের মতে, মাস্ক যেসব সরকারি সংস্কার কর্মসূচি চালিয়েছেন, তা কয়েক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, মাস্ক আসলে ‘সত্যিকার অর্থে বিদায় নিচ্ছেন না’।
মাস্ক যাওয়া-আসার মধ্যে থাকবেন বলে বিশ্বাস তার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত ইলন মাস্ক শুক্রবার ওভাল অফিসে হাজির হয়েছিলেন কালো টি-শার্ট পরে। সেখানে সাদা অক্ষরে লেখা ছিল ‘ডিওজিই ফাদার’। মাস্কের মাথায় ছিল কালো রঙের ক্যাপ। তিনি বলেন, তার ঘোষিত ১ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের একটা বড় অংশের ফল পেতে সময় লাগবে।
মাস্ক বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের বন্ধু ও উপদেষ্টা হিসেবে পাশে থাকতে চাই।’
তবে মাস্কের এই ঘোষণার চেয়ে তার ডান চোখের চারপাশে থাকা ঘন কালো কালশিটে দাগটি নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়।
শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের কারণে ওই কালশিটে দাগ নিয়ে জল্পনা বেড়ে যায়। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে মাস্ক এত বেশি পরিমাণে কেটামিন নামের মাদক ব্যবহার করেছিলেন যে তার মূত্রাশয়ে সমস্যা দেখা দেয়।
তবে স্পেসএক্স ও টেসলা প্রধান দাবি করেছেন, তারই ছোট ছেলের কারণেই ওই কালশিটে দাগ হয়েছে।