‘এত প্রশ্ন করলে মানুষ বোকা ভাববে’—শিক্ষকের একটি কথাই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল শাওনের। ছোটবেলায় প্রচুর প্রশ্ন করতেন তিনি। ডুব দিতে চাইতেন প্রকৃতির ঘটনাচক্রে। কেন নর্থ স্টার বা ধ্রুবতারা আকাশের একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে, চাঁদ কেন নিজ অক্ষে ঘুরতে থাকলেও আমরা এর উল্টো দিকটা দেখতে পাই না? একটা ‘কেন’র উত্তর খুঁজতে গিয়ে অসংখ্য ‘কেন’ দাঁড়িয়ে যেত। রীতিমতো বিরক্ত হতেন অনেকে। ফলে কৌতূহলী এই অভিযানে কাউকেই পাশে পাননি শাওন মাহমুদ।
শুধু কৌতূহল নয়, জীবনের প্রয়োজনেও যে প্রশ্ন করা দরকার, শাওন তা বুঝতে পারেন নবম শ্রেণিতে পা রেখে। হাতে প্রথমবার বিজ্ঞানের বই আসে সে সময়। ক্লাসভর্তি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। সবার মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে জিপিএর দুশ্চিন্তা। বিজ্ঞান বইগুলোর একটা ক্ষুদ্র অংশই ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে বারবার পরীক্ষায় আসে। ভালো ফলের জন্য এর বাইরে কোনো কিছু জানার দরকার হয় না। ফলে বিজ্ঞানের বেশির ভাগ চমৎকার বিষয়গুলো অজানাই থেকে যায়। বিদ্যুৎচুম্বক, ক্যালকুলাস, জৈব যৌগের মতো মুগ্ধকর বিষয়গুলোর ‘রিয়েল লাইফ’ প্রয়োগ শিক্ষকদের কাছে পরিষ্কার না থাকায় শিক্ষার্থীদের সামনে তা ভয়ংকর রূপে এসে দাঁড়ায়।

ছোটবেলা থেকেই একটা সংগঠন গড়ে তোলার কথা ভাবতেন শাওন মাহমুদ। যেখানে যে কেউ যেকোনো প্রশ্ন করতে পারবে। কোনো প্রশ্নকেই ‘অবান্তর’ ট্যাগ দেওয়া হবে না। বিজ্ঞানকে বুঝতে কৌতূহল মেটানো জরুরি। আর ‘গ্লোবাল কোলাবোরেশন’ এবং বিশ্বে টিকে থাকার জন্য বিজ্ঞানকে বোঝা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’ নামে একটি সংগঠনের যাত্রা শুরু করেন শাওন। তৈরি করেন ছোট একটা দল, যেখানে সবাই শাওনের মতোই শিখতে ও শেখাতে ভালোবাসেন। বন্ধুদের জানান, মনের কোণে লুকিয়ে থাকা যেকোনো কৌতূহল যেন তারা এখানে জানায়। একেকটি প্রশ্ন দলের কাছে যেন নতুন কিছু নিয়ে পড়াশোনা করার একেকটি সুযোগ।

গবেষণাপত্র পড়ে ও শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রশ্নগুলো নিয়ে অনলাইন গ্রুপে আলোচনা করতেন তাঁরা। অল্প সময়েই বড় হয়ে ওঠে গ্রুপটি। বড় হয় দল। বাড়তে থাকে জনপ্রিয়তা। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ১০ লাখ মানুষ অনলাইনে যুক্ত হয় বিজ্ঞানপ্রিয় এই সংগঠনে। পর্যায়ক্রমে বাংলা ভাষার বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞানের নেটওয়ার্ক হয়ে ওঠে ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’।

পাশাপাশি দেশ–বিদেশের বিজ্ঞানের গবেষণাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটা ডিজিটাল ক্রিয়েটিভ স্টুডিও তৈরি করেন শাওন মাহমুদ। ১টি ‘কেন’র উত্তর দিলে যে ১০টি ‘কেন’ জন্ম নেবে, সেগুলো অজানা নয় তাঁর। সবকিছু মাথায় রেখে নিখুঁত একেকটি কনটেন্ট তৈরি করে তাঁর দল। এখানেও জনপ্রিয়তা পায় বিজ্ঞানপ্রিয়। ছয় লাখ ফলোয়ার যুক্ত হয় তাঁর ফেসবুক পেজে। বাড়তে থাকে আগ্রহ। বাড়তে থাকে সচেতনতা।

বিজ্ঞানপ্রিয়র অফলাইন ও অনলাইন কার্যক্রমের একটা বড় অংশ গুজব ও অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে। সচেতন মানুষেরা এমন একটি সংগঠনের গুরুত্ব বুঝতে পারেন কোভিডের সময়। কোভিডকে ঘিরে হাজারো গুজব ও অপচর্চা ছিল ভিন্ন আরেক মহামারির মতো, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল। সে সময় গুজব ও অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে যুক্তি খণ্ডন করে প্রতিবাদমূলক প্রচারণা চালান শাওনরা। অল্প সময়েই অনলাইন জগতে এক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি পায় বিজ্ঞানপ্রিয়।
জনপ্রিয়তা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলায় একটা শ্রেণির ক্রোধের শিকার হয়ে ওঠে বিজ্ঞানপ্রিয়। ২০২১ সালের ২১ জুলাই মধ্যরাতে ভয়াবহ সাইবার হামলার শিকার হয় সংগঠনটি। ফেসবুক পেজ হ্যাক করে প্রকাশ করা হয় অশালীন ছবি। নিষ্ক্রিয় করা হয় ফেসবুক গ্রুপ এবং ভেঙে ফেলা হয় ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা।

সাত দিনের আপ্রাণ চেষ্টায় পেজটি ফিরিয়ে আনা হলেও ‘অশালীন’ কনটেন্ট শেয়ার করায়, পরদিনই তা নিষ্ক্রিয় করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে বিজ্ঞানপ্রিয়। তবে ভেঙে পড়েননি শাওন মাহমুদ। এক মাস সময় নেন তিনি। আবার গঠন করেন দল। শূন্য থেকে শুরু হয় সবকিছু। কিছুদিনের মাথায় দ্বিতীয়বার সাইবার হামলার শিকার হয় বিজ্ঞানপ্রিয়। দ্বিতীয়বার শূন্য থেকে শুরু করেন শাওন।
২০২২ সালে স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে ‘প্রজেক্ট প্রাচি’র পরিকল্পনা করেন শাওন। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসায় দক্ষ করে তোলাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় ইতিমধ্যে ২ শতাধিক শিক্ষার্থীকে ১৮ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেয় বিজ্ঞানপ্রিয়। প্রশিক্ষণ শেষে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা হয় মূল্যায়ন।

ডিজিটাল বিজ্ঞানশিক্ষায় অবদানের জন্য গত বছর আন্তর্জাতিক প্রিন্সেস ডায়ানা সম্মাননা পান শাওন মাহমুদ। ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী প্রিন্সেস ডায়ানার স্মরণে ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়। তা ছাড়া বিজ্ঞানভিত্তিক ক্রিয়েটিভ স্টুডিওর জন্য ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট থেকে ‘ব্রাইটস্কিল ইমার্জিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’সহ একটি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন শাওন।
জটিল বিষয়কে খুব সহজে তুলে ধরার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে শাওনের। তারই আরেকটি উদাহরণ এবারের বইমেলায় প্রকাশিত ‘থার্টি সেকেন্ড কোয়ান্টাম থিওরি’। ব্রিটিশ লেখক ব্রায়ান ক্লেগ সম্পাদিত এই বই সহজ বাংলায় অনুবাদ করেছেন শাওন মাহমুদ। বইটি প্রকাশিত হয়েছে অন্বেষা প্রকাশন থেকে। কোয়ান্টাম তত্ত্বকে বেশ সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বইটিতে।

একটা রাষ্ট্র বাইরের আক্রমণ থেকে কতটুকু নিরাপদ থাকবে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে তার কতটুকু কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকবে, তা নির্ভর করে দেশটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে কতটুকু শিক্ষিত, তার ওপর। এ জন্য প্রয়োজন যথাযথ বিজ্ঞানশিক্ষার। এ ক্ষেত্রে শাওন মাহমুদের মতো বিজ্ঞানপ্রেমী ও সচেতন মানুষদের ভূমিকা অনন্য। তিনি শুধু একজন শিক্ষকই নন, বরং একজন অনুপ্রেরণাদাতা, যিনি বিজ্ঞানকে বইয়ের পাতা থেকে টেনে এনে বাস্তব জীবনের প্রয়োজন ও কৌতূহলের সঙ্গে যুক্ত করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ন কর প রক শ র জন য ক র হয় ক ত হল ফ সব ক স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে রাবি, হল বন্ধ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

আসন্ন ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে টানা ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)।

আগামীকাল শুক্রবার (৩০ মে) থেকে শুরু হয়ে এ ছুটি চলবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত। তবে এ ছুটি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ৫ মে থেকে ১৩ মে নয়দিন বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আকতার হোসেন মজুমদার ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরো পড়ুন:

হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সড়ক দুর্ঘটনায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহত

তিনি বলেন, “ঈদ ও গরমের ছুটি একসঙ্গে ১৭ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম আগামী ১৬ জুন থেকে পুনরায় শুরু হবে। হলগুলো ১৪ জুন, অফিস ১৫ জুন এবং ১৬ জুন থেকে ক্লাস শুরু হবে।”

এদিকে, ছুটিতে স্বায়ত্ত্বশাসিত অন্য তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খোলা থাকলেও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে রাবি প্রশাসন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, আগামী সোমবার (৫ জুন) থেকে মঙ্গলবার (১৩ জুন) পর্যন্ত আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ছুটিতে বাড়ি ফেরা সবসময় সম্ভব হয় না। বিশেষ করে যারা চাকরিসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বা খণ্ডকালিন চাকরি করেন, তাদের জন্য হল বন্ধ থাকা বেশ ভোগান্তির কারণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেইসবুক গ্ৰুপগুলোর এক জরিপে দেখা গেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৭৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৭ শতাংশই ঈদের ছুটিতে হল বন্ধ রাখার বিপক্ষে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “গত ঈদে রাবির হল খোলা রাখা নিয়ে এত আলাপ ওঠালাম, যারা হলে থাকবে তাদের তালিকা করলাম, খোলা রাখার হাজারটা যৌক্তিকতা দেখালাম- প্রশাসন সেসবের তোয়াক্কাই করেনি। প্রশাসনের এই আচরণগুলোকে ফ্যাসিজম বললে কাল আবার আমাদের নামে তদন্ত কমিটি গঠন হবে। প্রশাসন আর কিছুর রোডম্যাপ দিক আর না দিক, তারা পূর্ণাঙ্গ ফ্যাসিস্ট হয়ে যাওয়ার রোডম্যাপ দিয়ে দিচ্ছে। এদের মাথায় এখন নিয়োগ ছাড়া আর কিছুই কাজ করছে না।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঈদুল ফিতরের আগে হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়। তখন কিছু শিক্ষার্থী প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিলে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার মহোদয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মতো এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।”

তিনি আরো বলেন, “মুসলিম সম্প্রদায় ঈদ উদযাপন করলেও অন্যান্য সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা, এমনকি মুসলিম সম্প্রদায়েরও কিছু শিক্ষার্থী চাকরির প্রস্তুতি ও অন্যান্য কারণে হলে অবস্থান করতে চায়। হল খোলা রাখার এমন অনেক প্রাসঙ্গিক কারণ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে আহ্বান থাকবে-আপনারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় নিয়ে ছুটির দিনগুলোতে হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে প্রত্যাশা করছি।” 

শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, “জীবনযুদ্ধে একজন শিক্ষার্থী যখন খুব খারাপ সময় মোকাবিলা করে, তখনই মূলত তিনি পরিবার, আত্মীয় স্বজন ব্যতিরেকে একাকী ঈদ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময়টা তাদের জন্য কতটুকু উপভোগ্য করা যায়- সে বিষয়ে হল প্রশাসনের পেরেশানি থাকা দরকার ছিল। কিন্তু উল্টা মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও কেড়ে নিচ্ছে। এটা শুধু একজন শিক্ষার্থীর অধিকার ক্ষুণ্নই নয়, বরং অমানবিক আচরণ। আমরা হল প্রশাসনকে গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাই।”

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী ঈদের ছুটিতে আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকবে। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা একান্তই থাকতে চায়, তাদের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই সপ্তাহে ইউটিউবে কী দেখছেন দর্শক
  • মানুষ কার কাছে আশ্রয় চাইবে
  • আফগানিস্তানে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করছে পাকিস্তান
  • দারিদ্র্য জয় করে জাতীয় দলে সোনালী, খেলবেন জর্ডানে!
  • একজন ব্যক্তি ডিসেম্বরে নির্বাচন চান না: মির্জা আব্বাস
  • মাস্ক ট্রাম্পের প্রশাসন ছাড়ছেন আজ, যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন ট্রাম্প
  • সাইফ, এই সিনেমা আপনি কেন করলেন
  • গড়ে ৩৭ বছর বয়সে মারা যাচ্ছেন প্রবাসী কর্মীরা: রামরুর সংলাপ
  • ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে রাবি, হল বন্ধ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ