সাঙ্কু পাঞ্জাকে শুটিংয়ে এনে মান্না বলেছিলেন, ‘ও একদিন মেইন ভিলেন হবে’
Published: 30th, May 2025 GMT
খল অভিনেতা সাঙ্কু পাঞ্জা মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঢালিউডের অসংখ্য সিনেমায় খল চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। এর মধ্যে খল চরিত্রে নির্মাতা মালেক আফসারীর প্রথম পছন্দ ছিলেন। এই নির্মাতার সিনেমা মানেই খল চরিত্রে সাঙ্কু পাঞ্জা। অভিনেতার মৃত্যুর খবর এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে শুনে বাক্রুদ্ধ হয়ে যান আফসারী। জানান দুই যুগের সম্পর্কের জানা-অজানা নানা কথা।
আরও পড়ুনখল অভিনেতা সাঙ্কু পাঞ্জা মারা গেছেন১৩ ঘণ্টা আগেমালেক আফসারীর পরিচালনায় ‘লাল বাদশাহ’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন সাঙ্কু পাঞ্জা। এরপর এই পরিচালকের ‘জেল থেকে বলছি’, ‘মরণ কামড়’, ‘ঠেকাও মাস্তান’, ‘মনের জ্বালা’, ‘অন্তর জ্বালা’, ‘পাসওয়ার্ড’–সহ ব্যবসাসফল আরও বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। মালেক আফসারী জানান, সাঙ্কু পাঞ্জাকে তাঁর কাছে নিয়ে আসেন নায়ক মান্না।
মালেক আফসারী বলেন, ‘তখন মান্নার কৃতাঞ্জলি প্রোডাকশনের “লাল বাদশাহ” সিনেমার শুটিং করছিলাম। মান্না একটা ছেলেকে নিয়ে এসে বলল, “ভাই, এই ছেলেটা কেমন? ওরে এই সিনেমায় নিতে চাই। সময় দিলে ওরে মেইন ভিলেন বানানো যাবে ভাই, ও একদিন মেইন ভিলেন হবে ভাই।” মান্না তো নাছোড়বান্দা, কিছু বলেছে মানে তা করতেই হবে। এভাবেই আমার সঙ্গে ও যুক্ত হয়। এরপর “জেল থেকে বলছি”–সহ আমার বেশির ভাগ সিনেমায় সাঙ্কু অভিনয় করেছে।’
সাঙ্কু ও মালেক আফসারীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল হৃদ্যতার। এই নির্মাতা জানান, কখনো মজুরি ও সময় নিয়ে আলাপ করতেন না সাঙ্কু। নির্মাতার কথায়, ‘তিন দিনের শিডিউল চাইলে ছয় দিন দিতো, কখনো রেমুনারেশন চেয়ে নেয়নি আমার কাছে। অনেক সম্মান করত আমায়। উৎসব-পার্বণে নিয়মিত ফোন দিত, স্বাস্থ্যের খোঁজ নিত। ওর মৃত্যুটা অনেক কষ্ট দিয়েছে আমায়।’
১৯৯৭ সালে ‘মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় সাঙ্কু পাঞ্জার। তাঁর উল্লখেযোগ্য সিনেমার মধ্যে আরও রয়েছে ‘জাদরেল সন্তান’, ‘ধর মাস্তান’, ‘ক্ষমতার গরম’।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ল ক আফস র
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।