কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের ঠেলে দেওয়া নিয়ে রাতভর চলে উত্তেজনা। ঠেলে দেওয়া ঠেকাতে প্রায় এক কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় মানব দেয়াল সৃষ্টি করে রাতভর পাহারা দেয় হাজারো স্থানীয় জনতা। 

এ সময় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি ও আনসার ভিডিপি ঠেলে দেওয়া ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নেয়। শুক্রবার (৩০ মে) রাতে কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের শোভারকুটি ও শিপেরহাট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার বিএসএফ সদস্যরা দুটি পিকাপ ভ্যানে ৫০/৬০ জন নাগরিককে বাংলাদেশর সীমান্ত লাগোয়া ভারতের ফাইসকারকুটি গ্রামের একটি স্কুলে ঠেলে দেওয়ার জন্য জড়ো করে। পরে সীমান্ত গ্রামটির সব লাইট বন্ধ করে ঠেলে দেওয়া করার চেষ্টা করে বিএসএফ। 

এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে শতশত জনতা সীমান্তে অবস্থান নিয়ে পাহারা বসায়। পরে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির কচাকাটা ও কেদার ক্যাম্পের সদস্য ও আনসার ভিডিপির কয়েকটি টিম সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেয়। অপর দিকে বিএসএফও অবস্থান নেয় ভারতীয় সীমান্তে। পরে রাত দুই টার দিকে শুন্য রেখায় অবস্থান নেয় বিএসএফ। 

এসময় বিএসএফ কয়েক দফা বিজিবির সাথে কথা বলতে চাইলে বিজিবি তা প্রত্যাক্ষান করে। পরে রাত তিনটার দিকে শুন্য রেখা থেকে সরে যায় বিএসএফ।

ওই সীমান্তের বাসিন্দা জয়নাল জানান, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের সাথে রাতভর সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিয়ে ঠেলে দেওয়া ঠেকিয়েছেন তারা।

কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ অবৈধভাবে কাউকে যেন ঠেলে দিতে না পারে সেজন্য বিজিবি, আনসার সদস্যসহ সীমান্তবাসী যৌথভাবে পাহারা দিচ্ছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।”

ঢাকা/বাদশাহ্/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ ন ন য় ব এসএফ সদস য আনস র

এছাড়াও পড়ুন:

রাত জেগে সীমান্ত পাহারা জনতার, পুশইনে ব্যর্থ বিএসএফ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের পুশইন নিয়ে রাতভর চলে উত্তেজনা। পুশইন ঠেকাতে প্রায় ১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় মানব দেয়াল সৃষ্টি করে রাতভর পাহারা দেয় হাজারো স্থানীয় জনতা। এ সময় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি ও আনসার ভিডিপি পুশইন ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নেয়।

শুক্রবার (৩১ মে) রাতে কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের শোভারকুটি ও শিপেরহাট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার বিএসএফ সদস্যরা দুটি পিকাপ ভ্যানে ৫০-৬০জন নাগরিককে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ভারতের ফাইসকারকুটি গ্রামের একটি স্কুলে পুশইন করার জন্য জড়ো করে। পরে সীমান্ত গ্রামটির সব লাইট বন্ধ করে পুশইন করার চেষ্টা করে বিএসএফ। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শত শত জনতা সীমান্তে অবস্থান নিয়ে পাহারা বসায়। পরে কুড়িগ্রাম ২২-বিজিবির কচাকাটা ও কেদার ক্যাম্পের সদস্য ও আনসার ভিডিপির কয়েকটি টিম সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেয়। অপরদিকে, বিএসএফও অবস্থান নেয় ভারতীয় সীমান্তে। পরে রাত ২টার দিকে শূন্যরেখায় অবস্থান নেয় বিএসএফ। এসময় বিএসএফ কয়েক দফা বিজিবির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বিজিবি তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে রাত ৩টার দিকে শূন্যরেখা থেকে সরে যায় বিএসএফ।

কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক জানান, সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ অবৈধভাবে কাউকে পুশইন করতে না পারে সেজন্য বিজিবি, আনসার সদস্যসহ সীমান্তবাসী যৌথভাবে পাহারা দিচ্ছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ
  • কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
  • পরশুরাম সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতের খাল খনন, বিজিবির প্রতিবাদ
  • কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত
  • বিএসএফের পুশইন ঠেকাল মানবপ্রাচীর
  • কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে আরো ৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • কুষ্টিয়া সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • রৌমারী সীমান্তে ফের ভারতীয় ড্রোন, আতঙ্কে স্থানীয়রা
  • রৌমারী সীমান্তে ফের উড়লো ভারতীয় ৫ ড্রোন, আতঙ্কে স্থানীয়রা
  • রাত জেগে সীমান্ত পাহারা জনতার, পুশইনে ব্যর্থ বিএসএফ