স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণকে টেকসই করতে হলে সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘লোকাল লেভেল স্টেকহোল্ডারস কনসালটেশন অন ইনক্লুসিভ স্মুথ অ্যান্ড সাসটেইনেবল এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক কর্মশালাটি আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প (এসএসজিপি)। এতে সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তোরণের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় স্থানীয় কৃষি খাত আরও রপ্তানিমুখী করতে হব।

কর্মশালায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, মুন্সীগঞ্জে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো বিকাশের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড.

আনিসুজ্জামান চৌধুরী, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকি। স্বাগত বক্তব্য দেন ইআরডি অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম জাহাঙ্গীর। আরও বক্তব্য দেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুন নাহার, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদুর রহমান খন্দকার।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এলড স স শ সন উপদ ষ ট এলড স

এছাড়াও পড়ুন:

‘স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণকে টেকসই করতে হলে সুশাসনের বিকল্প নেই’

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় স্থানীয় কৃষি খাতকে আরো রপ্তানিমুখী করতে হবে।” 

তিনি বলেন, “স্বল্পোন্নত দেশ হতে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণে কৃষি, শিল্প এবং সুশাসনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণকে টেকসই করতে হলে সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই।”

শনিবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে ‘লোকাল লেভেল স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন অন ইনক্লুসিভ স্মুথ অ্যান্ড সাস্টেইনেবল এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক কর্মাশালায় তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

রোগ প্রতিরোধে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

বিএনপিকে যমুনায় ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ তথা ইআরডির সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প (এসএসজিপি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ তথা ইআরডি সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী। 

কর্মশালায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “মুন্সীগঞ্জে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসমূহ বিকাশের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।” 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার উন্নয়ন অভিজ্ঞতার ওপর আলোকপাত করে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি শক্তিশালীকরণে গুরুত্ব আরোপ করেন।  

উত্তরণের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের সক্রিয় উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তব্য দেন  ইআরডি সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী। তিনি বলেন, “মুন্সীগঞ্জ জেলায় একটি বায়োটেকনোলজি ভিলেজ স্থাপনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।”    

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এএইচএম জাহাঙ্গীর।

কর্মশালায় ‘এন ওভারভিউ অব এলডিসি গ্রাজুয়েশন প্রসেস অ্যান্ড ইটস ইমপ্লিকেশন’-বিষয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন সরকারের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট ম্যানেজার ড. মো. রেজাউল বাসার সিদ্দিকী। 

‘স্ট্যাটাটিজ ফর স্মুথ অ্যান্ড সাস্টেইনেবল গ্রাজুয়েশন অ্যান্ড দ্যা রুল অব লোকাল লেভেল স্টেকহোল্ডার’-শীর্ষক অপর আরেকটি উপস্থাপনা প্রদান করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ও এসএসজিপি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট ম্যানেজার ড. মোস্তাফা আবিদ খান। 

কর্মশালায় প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সরকারের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপার্ট নেছার আহমেদ, সরকারি হরগঙ্গা কলেজের  অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহমুদুর রহমান খন্দকার, ইউনুছ খান মেমোরিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদুর রহমান খান, ইউনুস গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস, শিল্পপতি মোশারফ হোসেন পুস্তি, মুন্সীগঞ্জ ফাইভার নেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঈনউদ্দিন মাসুদ।

কর্মশালায় আলোচকরা উল্লেখ করেন- মুন্সীগঞ্জে কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও পর্যটন শিল্প বিকাশের অপরিসীম সুযোগ রয়েছে।  সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, কলকারখানাসমূহে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ সুনিশ্চিতকরণ এবং স্থানীয় মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তারা।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণকে টেকসই করতে হলে সুশাসনের বিকল্প নেই’