স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণকে টেকসই করতে হলে সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘লোকাল লেভেল স্টেকহোল্ডারস কনসালটেশন অন ইনক্লুসিভ স্মুথ অ্যান্ড সাসটেইনেবল এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক কর্মশালাটি আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প (এসএসজিপি)। এতে সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তোরণের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় স্থানীয় কৃষি খাত আরও রপ্তানিমুখী করতে হব।

কর্মশালায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, মুন্সীগঞ্জে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো বিকাশের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড.

আনিসুজ্জামান চৌধুরী, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকি। স্বাগত বক্তব্য দেন ইআরডি অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম জাহাঙ্গীর। আরও বক্তব্য দেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুন নাহার, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদুর রহমান খন্দকার।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এলড স স শ সন উপদ ষ ট এলড স

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন

চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণছাড়ে পাল্লা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া। অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থাটি দিয়েছে ৩২ কোটি ২২ লাখ ডলার।

এরপরেই আছে রাশিয়া। দেশটি ওই তিন মাসে ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার দিয়েছে। রাশিয়া মূলত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। তবে চীন গত তিন মাসে কোনো অর্থ দেয়নি।

গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এবার দেখা যাক, তিন মাসে কারা কত দিল। বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়ার পরে তৃতীয় স্থানে আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি ছাড় করেছে ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এ ছাড়া জাপান ও ভারত দিয়েছে যথাক্রমে ৪ কোটি ডলার ও ৬ কোটি ডলার।

ইআরডির হিসাব অনুসারে, ঋণ শোধ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ। অন্যদিকে একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ প্রায় ১২৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

এদিকে ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বরে পরিশোধিত ঋণের মধ্যে ৮২ কোটি ডলার আসল এবং ৪৬ কোটি ডলারের বেশি সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ সরকারকে প্রায় ১১২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলারের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন