সোনারগাঁয়ে অবৈধ মেলা বসাতে মরিয়া বিএনপি নেতারা
Published: 1st, June 2025 GMT
সোনারগাঁয়ের বারদীতে হিন্দু সম্প্রাদায়ের আধ্যাত্মিক সাধক শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৫তম তীরোধান উৎসবকে কেন্দ্র করে অবৈধ মেলা বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় বিএনপির।
এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অবৈধ মেলা অপসারণ ও লোকনাথ ভক্ত ও জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসী গণ স্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্বারকলিপি দিয়েছেন।
আগামী ৩রা জুন লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরোধান উৎসব পালিত হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকনাথ ভক্তরা বারদীতে আসতে শুরু করেছেন।
রকলিপিতে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রাদায়ের আধ্যাত্মিক সাধক শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরোধান উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত। মাঠ দখল, সরকারী রাস্তাঘাট দখল নিয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটিসহ সামাজিক বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করছেন।
যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংঙ্কায় সাধারণ মানুষ আতংঙ্কিত হয়ে পেড়েছেন। বিগত বছর গুলোতে তীরেধান উৎসবে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ এড়াতে মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে।
বর্তমানে একটি দলের উশৃঙ্খল নেতাকর্মী বিভক্ত হয়ে মেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিতে চেষ্টা করছে। এতে করে ওই এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। মেলায় লোকনাথ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের কথা বিবেচনা করে অবৈধভাবে দখল মাঠ উচ্ছেদ করে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমীর হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আলী ও আব্দুল হালিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল করিম, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার বারদী খেলার মাঠ ও আশপাশের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে মেলা বসানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, তীরোধান উৎসবে মেলা বন্ধ করে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূর্জা, অর্চনাসহ তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচলনা নির্বিঘ্নে করতে হবে।
বারদী ইউনিয়নের রিবর গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র সরকার বলেন, লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরেধান উৎসব নির্বিঘ্নে করতে হবে। মেলা হলে যানজট ও কোলাহল তৈরি হয়। ফলে পূর্জা, অর্চনা, রাজভোগ, বাল্যভোগসহ ধর্মীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তাই মেলা না বসলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভালোভাবে ধর্মীয় কার্যক্রম শেষ করতে পারবেন।
বারদী ইউনিয়নের নাগপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, প্রতিবছর লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তীরোধান উৎসবে দেশ বিদেশ থেকে বারদীতে লাখো মানুষের সমগম ঘটে। বারদীতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব রয়েছে। হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব পালন করার জন্য অবশ্যই মেলা বন্ধ রাখতে হবে। মেলা হলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির আশংঙ্কা থাকে।
বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশাসনের মৌখিক অনুমিতে মেলা বসছে। মেলার বিষয়ে কারো অভিযোগ নেই। প্রশাসন ম্যানেজ হয়েই মেলা বসানোর সুযোগ দিয়েছেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো.
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। ক্ষুদে বার্তা দিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন,লোকনাথ ভক্তদের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তবে মেলা বসানোর কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, সোনারগাঁয়ের বিষয়গুলো ইউএনও দেখবেন। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে মেলার অনুমতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। কেউ মেলা বসালে সেটা অবৈধ হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ন রগ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ডাইনির সাজে শাবনূর!
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে নিজের খবর জানান দেন তিনি। এবার সেই পর্দার প্রিয় নায়িকা হাজির হয়েছেন এক ভিন্ন সাজে—ডাইনির রূপে!
প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী হ্যালোইন উৎসব। পশ্চিমা বিশ্বে এটি এক জনপ্রিয় দিন, যেখানে মানুষ নানা ভুতুড়ে সাজে নিজেদের উপস্থাপন করে। যদিও অনেকেই মনে করেন এটি কেবল ভূতের সাজের উৎসব, আসলে মৃত আত্মাদের স্মরণেই হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী এ দিনটি উদযাপিত হয়।
আরো পড়ুন:
পর্দায় ‘মহল্লা’র ভালো-মন্দ
বাবা হওয়ার কোনো বয়স আছে? সত্তরে কেলসির চমক
সেই উৎসবের আমেজে এবার শামিল হয়েছেন শাবনূরও। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা গেছে, ছেলে আইজানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেজেছেন ভয়ংকর এক ডাইনির সাজে—চোখের কোণ বেয়ে নেমে আসছে লাল রক্তের রেখা, সঙ্গে এক ‘ভূতুড়ে’ চেহারার চরিত্র।
ছবির ক্যাপশনে শাবনূর লিখেছেন, “আমি সাধারণ মা নই, আমি একজন দুর্দান্ত মা—যিনি একজন ডাইনিও! হ্যালোইনের শুভেচ্ছা, বাচ্চারা!”
পোস্টের শেষে তিনি যোগ করেছেন, “এটা শুধু মজা করার জন্য।”
ভক্তরা কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন শুভেচ্ছা ও প্রশংসায়। কেউ লিখেছেন, “শাবনূর মানেই চমক,’ কেউ আবার জানিয়েছেন, ‘হ্যালোইনেও আপনি আমাদের শাবনূরই—ভালোবাসা রইল।”
ঢাকা/রাহাত/লিপি