বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের তালিকায় যুক্ত হল আরেকটি নতুন নাম কিউবা মিচেল। ইংল্যান্ডে বসবাসকারী এই তরুণ ফুটবলার রোববার পেয়েছেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট। কিউবার এজেন্ট সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চার দিন আগে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন সান্ডারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের এই মিডফিল্ডার। রোববার তা অনুমোদন হয় এবং এরই মধ্যে সফট কপি পৌঁছে গেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও সান্ডারল্যান্ড ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে।
এখন অপেক্ষা দুই পক্ষের ছাড়পত্র পাওয়ার। তা পেলেই ফিফার কাছে অনাপত্তিপত্রের আবেদন করা হবে। ফিফার ছাড় মিললে আর কোনো বাধা থাকবে না কিউবা মিচেলের বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার ক্ষেত্রে।
কিউবার মা বাংলাদেশি এবং বাবা জ্যামাইকান। সেই সুবাদেই তার বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিউবা মূলত একজন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। ড্রিবলিং, শর্ট পাস ও দ্রুত পাল্টা আক্রমণে পারদর্শী এই ফুটবলার দলীয় প্রয়োজনে অ্যাটাকিং পজিশনেও খেলতে পারেন।
আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচকে সামনে রেখে কিউবাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তবে শেষ সিদ্ধান্ত কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ওপর নির্ভর করছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।