ইউএনও’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা
Published: 1st, June 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের উপর বহিরাগতরা হামলা করেছে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নারী নেত্রীসহ অন্তত চারজনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
রবিবার (১ জুন) বিকেলে বাউফল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে হামলা করা হয়।
গত ১৯ মে দৈনিক কালেরকণ্ঠের পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমরান হাসান সাহেলের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও জেলে ভরার হুমকি দেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। এ ঘটনায় তার অপসারণের দাবিতে আজ রবিবার (১ জুন) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ইউএনও অফিসের পিয়ন শ্যামল চন্দ্র প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। সম্মেলন শুরুর ২০ মিনিট পর কয়েকজন বহিরাগত যুবক এসে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন ও অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর আবারও হামলা চালিয়ে লিখিত বক্তব্য ছিনিয়ে নেয় তারা।
আরো পড়ুন:
জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা
এফডিসিতে রামদা নিয়ে এক ব্যক্তির হামলা, ২৪টি গ্লাস ভাঙচুর
পরে ইউএনওর নিরাপত্তায় থাকা ২০-২৫ জন আনসার সদস্য ও ২০-২৫ জন গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের গেটের বাইরে চলে যেতে বলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী শাহনাজ, আয়শাতুন্নেছা বর্ষা, সিয়াম আহমেদ ও শুভ চন্দ্রশীলকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
বাউফল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুভ চন্দ্রশীল বলেন, ‘‘সম্প্রতি ইউএনও একজন সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। তার অপসারণ দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংবাদ সম্মেলন করছিলাম। অথচ ইউএনওর ইন্ধনে বহিরাগতরা আমাদের ওপর হামলা করে এবং সংবাদ সম্মেলন পণ্ড করে দেয়।’’
এ বিষয়ে জানতে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘এ রকম কিছু ঘটেওনি, এ রকম কিছু জানাও নেই।’’
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
ঢাকা/ইমরান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়ায় নিম্নচাপে ১২৫টি ঘরসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নিম্নচাপের প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ফসল বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশা ১২৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (৩১ মে) হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিম্নচাপের প্রভাবে টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ, হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর, তদরদ্দি, চরকিং, সোনাদিয়া ইউনিয়নসহ ৯টি ইউনিয়নে ১২৫টি ঘরের ক্ষতিসাধন হয়েছে।
এ ছাড়া গবাদি ও গৃহপালিত ৭০টি পশু, মাটির রাস্তা ৫৭ কিলোমিটার, পাকা সড়ক ৬ কিলোমিটার, কালভার্ট ৬টি, পুকুর ৭৩টি, দোকান ৭০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
ইউএনও মো. আলাউদ্দিন জানান, ক্ষয়ক্ষতির আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/সুজন/টিপু