নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের স্লোগান, ‘দাবি মোদের একটাই মেয়র ছাড়া অফিস নাই’
Published: 2nd, June 2025 GMT
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে আজ সোমবারও নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে বেলা সাড়ে ১১টায় এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ কর্মসূচিতে ইশরাকের সমর্থকদের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরাও রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা–কর্মীরা। নগর ভবনের সব ফটকে এখনো তালা ঝুলছে। কিছুক্ষণ পরপর ইশরাক হোসেনকে মেয়র করার দাবির পাশাপাশি যুবদল, শ্রমিক দলের দলীয় স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে মানতে হবে’, ‘দাবি মোদের একটাই মেয়র ছাড়া অফিস নাই’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘শ্রমিক দলের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগান দেন।
জানতে চাইলে ওয়ারী থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় দেওয়ার পরও শপথ নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে। কতিপয় উপদেষ্টার কারণে নগরবাসীর ভোগান্তি হচ্ছে। রাজনীতির নোংরা খেলা চলছে। আমরা ১৭ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছি, শপথ পড়ানো না হলে আমরা নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধেও লড়াই করে যাব।’
ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৪ মে থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মচারী, ইশরাকের সমর্থকসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মাঝে ৪৮ ঘণ্টার বিরতির পর আবার কর্মসূচি চলছে। টানা ২০ দিন ধরে আন্দোলনে নগর ভবনের সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র করার দাবিতে আজ সোমবার নগর ভবনে বিক্ষোভ করেন তাঁর সমর্থকেরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নগর ভবন অ য কশন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের বড় চক্ষু হাসপাতাল এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক–কর্মকর্তা–কর্মচারী ও চিকিৎসাধীন জুলাই অভ্যুত্থানের আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে বিশ্বাস করতে পারছে না। আহত ব্যক্তিরা চাইছেন হাসপাতাল চালু হোক। চিকিৎসক–কর্মকর্তা–কর্মচারীরা বলছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তাঁরা কাজে যোগ দিতে চাইছেন না। এমন অবস্থায় আজ বুধবার হাসপাতালের শুধু জরুরি বিভাগ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি চোখের এই বিশেষায়িত হাসপাতাল এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ। গত বুধবার থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে সব ধরনের সেবা বন্ধ আছে। হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক, নার্স বা অন্য কর্মকর্তা–কর্মচারী যাচ্ছেন না। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখার জন্যও কোনো চিকিৎসক সেখানে নেই। অন্যদিকে প্রতিদিন শত শত রোগী সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফরসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা করেন। প্রায় তিন ঘণ্টার আলোচনা শেষে আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, জরুরি বিভাগ ও সীমিত আকারে অন্য সেবা চালু করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করবে।
আরও পড়ুনসেবা বন্ধ ৫ দিন, রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন ০১ জুন ২০২৫হাসপাতাল বন্ধ থাকায় ফটকের সামনে বসে অপেক্ষা করেন এই নারী। ঢাকা, ৩ জুন ২০২৫