দেশে ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ এই অ্যালার্জিতে ভোগেন, আপনি এড়াবেন কীভাবে
Published: 2nd, June 2025 GMT
সুনির্দিষ্ট কোনো বস্তুর সংস্পর্শে আসার কারণে দেহে সংঘটিত অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই হলো অ্যালার্জি। অ্যালার্জির কারণে নাকের প্রদাহ হলে তাকে বলে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মৌসুমি ধরনকে ‘হে ফিভার’ বলা হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশে ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ অ্যালার্জিক রাইনাইটিসে ভোগেন।
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস যেকোনো বয়সে হতে পারে। আগে বলা হতো দুই বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত হয় না। কিন্তু এখন দেখা যায় কম বয়সেও নাকে প্রদাহ হতে পারে হয়। গর্ভাবস্থায় অ্যালার্জি–সর্দির মাত্রা বেড়ে যায়।
লক্ষণ
নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
বারবার হাঁচি হওয়া।
নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়া।
চোখের চারপাশে ফোলাভাব।
নাকের ভেতরে চুলকানি।
কারণ
জিনগত ও পরিবেশগত কারণে অ্যালার্জি হয়। নানা কিছুর সংস্পর্শেই হতে পারে অ্যালার্জি। ধুলাবালু, ফুলের রেণু, তুলার আঁশ, প্রাণীর লোম, পাখির পালকের আঁশ, ঘাস, খড় প্রভৃতি অ্যালার্জির সাধারণ কিছু কারণ। এ ছাড়া চিংড়ি মাছ ও ইলিশ মাছের মতো কিছু খাবার খেলে বা সুগন্ধি ও প্রসাধনী ব্যবহারেও হতে পারে। এসব থেকে নাক, চোখ, গলায় প্রদাহ ও চুলকানি হয়।
আরও পড়ুনযাঁদের প্রায় সব খাবারেই অ্যালার্জি, তাঁরা কী করবেন?১৭ মে ২০২৩যা করবেন
যেসব বস্তুর সংস্পর্শে এলে দেহে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হয়, তা এড়িয়ে চলা।
বাড়িতে পোষা প্রাণী ও কার্পেট না রাখা।
ঘর শুষ্ক রাখা, বালিশ ও গদির মতো গৃহস্থালি জিনিসপত্রে নির্দিষ্ট অ্যালার্জি– প্রতিরোধী কভার ব্যবহার করা।
শিশুরা যাতে ধূমপানের সংস্পর্শে না আসে তা খেয়াল রাখা।
চিকিৎসা
অ্যালার্জিজনিত রোগ কখনো সম্পূর্ণ সারে না। তবে চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। রোগী নিজেই বুঝতে চেষ্টা করবেন কিসে তাঁর অ্যালার্জি হয় এবং যতটা সম্ভব সেটি এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবেন। জীবনযাত্রার পরিবর্তনই এ রোগ নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিহিস্টামিন, নাকের ডিকনজেস্ট্যান্ট, লিউকেট্রিন রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্ট ও নাকের স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনবিরক্তিকর অ্যালার্জি থেকে মুক্তির উপায়০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০অ্যান্টিহিস্টামিন নাকে ও মুখে নেওয়া যেতে পারে। মৌসুমি নাকের অ্যালার্জির ক্ষেত্রে যেসব স্থানে গেলে সমস্যা হয়, সেসব স্থানে যাওয়ার আগে অ্যান্টিহিস্টামিন নেওয়া ভালো। স্টেরয়েড স্প্রে নাকে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু অ্যান্টিহিস্টামিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তন্দ্রাচ্ছন্নতা। সে ক্ষেত্রে স্টেরয়েড, মন্টেলুকাস্ট, অ্যালার্জেন ইমউনোথেরাপি করা যেতে পারে।
নাকে লবণাক্ত পানি দিয়ে পরিষ্কার (ওয়াশ) করা।
নাকের অ্যালার্জির যথাযথ চিকিৎসা না নিলে বা অবহেলা করলে শতকরা ২৫ ভাগের অ্যাজমা হয়ে যেতে পারে। তাই এ রোগের সঠিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
ডা.
এম আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক, নাক কান গলা বিভাগ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স স পর শ করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক উল্টে একের পর এক বিস্ফোরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খানাখন্দে ভরা মহাসড়কে গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক উল্টে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।
বুধবার (৪ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শহরতলীর বিরাসার বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক বছর ধরে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়কের কাজ চলছে। এতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কিছু অংশে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিরাসার এলাকায় মাঝে মধ্যেই যানবাহন উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আজ ভোরে কুমিল্লা অভিমুখী একটি ট্রাক গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই করে যাচ্ছিল। বিরাসার নির্মাণাধীন ফোরলেন সড়কের খানাখন্দে ট্রাকটি উল্টে পড়লে তাতে আগুন ধরে যায়। এরপর প্রচণ্ড শব্দে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে থাকে।
আরো পড়ুন:
ম্যানহোলের গ্যাস বিস্ফোরণে আহত ৩
বাঁশ কাটতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণ, বাংলাদেশি আহত
বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কয়েকটি ভবনের জানালার গ্লাস ফেটে যায়। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় মহাসড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক নিউটন দাস বলেন, “বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ট্রাকটিতে অনেক গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। ট্রাকটিতে কতগুরো সিলিন্ডার ছিল তার পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, “সিলিন্ডারগুলো বিস্ফোরিত হয়ে উপরের দিকে উঠেছে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণেই ট্রাকটি উল্টে যায়। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।”
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ