সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিক ও ডিজিএফআইয়ের সাইফুল আলমের সম্পদ ক্রোকের আদেশ
Published: 3rd, June 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাঁর স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাইফুল আলমের সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের (বরখাস্ত) স্ত্রী নুসরাত জাহানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলামের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বারিধারার সাততলা বাড়ি, তাঁর স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের নামে থাকা বারিধারার ফ্ল্যাট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের নামে থাকা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের জমিও ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে তা নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সাইফুল আলমের স্ত্রী লুবনা আফরোজ ও তাঁর দুই কন্যা সারাহ জুমানা ও জারিফা বিনতে আলমের নামে ৯ তলা বাড়ি, মেয়ের নামে ফ্ল্যাট ও জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরে সাইফুল আলমের নামে থাকা চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের (বরখাস্ত) স্ত্রী নুসরাত জাহানের নামে থাকা জমি ও চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুলের বাড়ি, দুটি গাড়ি ও আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজির বাড়ি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী লুবনা আফরোজের নামে থাকা তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ঢাকার আশুলিয়ায় তাদের নামে থাকা ৯ তলা বাড়ি, পল্লবীতে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও ২৩ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব স্থাবর সম্পদের মূল্য ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
দুদকের উপ-পরিচালক তাহাসীন মুনাবীল হক এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যরা ব্যাংক হিসাবের অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। একই সাথে ফ্ল্যাট এবং ৯ তলা বাড়ি দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর হেবা দলিলের মাধ্যমে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে প্রদান করে সম্পদ গোপন করার চেষ্টা করছেন।