অ্যাশেজ শুরু হতে বাকি এখনও ৫ মাস। নভেম্বরে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ অ্যাশেজ। সেই সিরিজের টিকিট বিক্রিতে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

প্রাক-বিক্রয়ের প্রথম দিনেই ২, ২০,০০০ এরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে, যা ২০১৭-১৮ গ্রীষ্মকালীন প্রাক-বিক্রয় সময়ের ১, ১১,৭৪১ টিকিটের আগের রেকর্ডের প্রায় দ্বিগুণ। অ্যাশেজ নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা, উল্লাস, আগ্রহ নতুন কিছু নয়। পরবর্তী আসরের টিকিটি বিক্রিতেই বোঝা যাচ্ছে, পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে প্রতিটি টেস্টে, প্রতিটি দিনে গ্যালারি থাকবে হাউসফুল।

প্রায়োরিটি প্রি-সেল উইন্ডো খোলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টিকিট বিক্রির রেকর্ড ভেঙে যায়। মূলত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) বক্সিং ডে ম্যাচ এবং গাব্বায় দিবা-রাত্রির অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম দুই দিনের বাড়তি চাহিদার কারণেই এই রেকর্ডটি ভেঙে যায়।

নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় বিক্রি শুরু হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক মৌসুমের জন্য ১২০,০০০ এরও বেশি টিকিট কেনা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই অ্যাশেজ টেস্টের জন্য। গাব্বায় দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রথম দুই দিনের জন্য কেবলমাত্র একক টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে বক্সিং ডে ইভেন্টের জন্য ৫৫,০০০ এরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ বলেছেন, ‘‘টিকিটের রেকর্ড চাহিদা দেখে বোঝা যাচ্ছে আসন্ন দুর্দান্ত আন্তর্জাতিক মৌসুম নিয়ে ভক্তরা কতটা উৎসাহী। নিউ সাউথ ওয়েলস ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার আগেই আমাদের আগের টিকিট বিক্রির রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়া একটি অসাধারণ অর্জন এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় খেলা হিসেবে আমাদের অবস্থানকে পুনরায় নিশ্চিত করে। যারা এখনও টিকিট কিনেননি তাদের আমি অনুরোধ করব এখনই টিকিট কিনে ফেলুন কারণ আমরা আশা করছি কিছু দিনের জন্য বরাদ্দ শেষ হয়ে যাবে। আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একটি অবিস্মরণীয় সামারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’’

আগামী ১২ জুন পর্যন্ত প্রি সেল চলবে। পরদিন অবশিষ্ট কোনো টিকিট থাকলে তা বিক্রি করা হবে।

২১ নভেম্বর শুরু হবে অ্যাশেজ। পার্থে খেলবে দুই দল। পরের ম্যাচ ব্রিসবেনে গাব্বাতে। এরপর অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনিতে দুই দল পরের তিন টেস্ট খেলবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র র কর ড র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত