বাজেটে আবাসন খাতে ‘কালোটাকা’ সাদা করার সুযোগ রাখাকে ‘চরম অনৈতিক’ বলেছেন এবি পার্টির নেতারা। তাঁরা বলেছেন, খেলাপি ঋণ আদায় ও অর্থ পাচার কীভাবে রোধ হবে, সে বিষয়ে বাজেটে কোনো পথনকশা নেই। বাজেটে আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে কথা আছে, কিন্তু সুস্পষ্টভাবে কী হচ্ছে, সেটা নেই। মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কীভাবে হবে, তার কোনো রোডম‍্যাপ (রূপরেখা) দেখা যাচ্ছে না। বাজেটে তিন শূন্য বাস্তবায়নের কথা বলা আছে, কিন্তু সেটা কীভাবে হবে তার কোনো নীতি কৌশল বলা হয়নি।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা এ কথাগুলো বলেন। এবি পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘অর্থ উপদেষ্টা যখন বলেন গতানুগতিক বাজেট দেওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় ছিল না, তখন আমরা আর কী বলব? রাতারাতি বিপ্লবী বাজেট দেওয়া সম্ভব নয় এটা যেমন সত‍্য, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর মতো জনতুষ্টির ফাঁকা বুলিসম্পন্ন বাজেটও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কাম‍্য নয়। কাউকে না কাউকে এই রুগ্‌ণ অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর দিকনির্দেশনা দেওয়া দরকার ছিল, অন্তর্বর্তী সরকার সেটা করতে ব‍্যর্থ হয়েছে।’

বাজেটের আকার কমানোর ‘সাহসী সিদ্ধান্তের’ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটের আকার, প্রণয়ন পদ্ধতি, আয়-ব‍্যয়ের ভারসাম্য, যুগ যুগ ধরে চলা ঋণঘাটতি–নির্ভর বাজেট, বাজেট বর্ষ, সব মিলিয়ে বাজেটের নিজস্ব ব‍্যাকরণ ও দর্শনকে পুনর্মূল্যায়নটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; অর্থ উপদেষ্টা সেদিকে কিছুটা নজর দিয়েছেন বলে মনে হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘জাতিকে দুনিয়ার বড় বড় করপোরেট মহাজনদের কাছে বর্গা দেওয়ার বাজেটের বদলে আমাদের জাতীয় সামর্থ্যের মধ্যে বাৎসরিক খরচকে নিয়ে আসার চেষ্টা করা দরকার। সে জন্য প্রয়োজনীয় সব সংস্কারকে বাস্তবায়ন করতে হবে শত বাধা সত্ত্বেও। তা না হলে বছর ঘুরে বারবার বাজেট আসবে, লুটপাট অব্যাহত থাকবে, ঋণ করে মেগা প্রকল্প করা হবে; কিন্তু জাতির প্রকৃত উন্নয়ন ও ভাগ্যের বদল হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, এ বি এম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলামসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চব্বিশ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়: ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার  আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘‘জুলাই, ২৪ নিয়ে যেন একাত্তরের মতো ‘চেতনা ব্যবসা’ না হয়। জুলাই থেকে শিখে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বো। যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বাস্তবতা অওয়ামী লীগের মতো হবে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আতহার উদ্দীন মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। 

আমার বাংলাদেশ পার্টির পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক  প্রফেসর ড. এএসএম ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনার ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাসীর। আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই জুলাই আন্দোলনের প্রদর্শিত চিত্র ঘুরে দেখেন।

ইমরান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ