Samakal:
2025-06-06@08:53:20 GMT

বাজেট অনুমোদন হবে ২২ জুন

Published: 4th, June 2025 GMT

বাজেট অনুমোদন হবে ২২ জুন

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত মতামত দেওয়া যাবে। আগামী ২২ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন হবে। 

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মতামত দেওয়া শুরু  হয়েছে। ঈদের পর ১৯ জুন পর্যন্ত বাজেটের ওপর মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এর পর ২২ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন হবে।

গত ২ জুন আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়। অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন। 

এবার জাতীয় সংসদে আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ না থাকায় প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মতামতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে। চূড়ান্ত বাজেট উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে তা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র মানুষের জন্য সুখবর আছে কিনা– জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সুখবর আছে। বাজেটের কোথায় কোথায় পরিবর্তন হয়েছে, তা দেখুন।’ এ বাজেট সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফেরাবে বলেও মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা।

টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটিতে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে কিনা– জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, স্থবির হওয়ার সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীরা তাদের মতো ব্যবসা করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলে দিয়েছে, কোন দিন কোন স্থানে ব্যাংক খোলা থাকবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও বেশি ছুটি থাকে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বড়দিনে ২০ থেকে ২৫ দিন ছুটি থাকে। নেপালে দুর্গাপূজার সময় ছুটি থাকে ৩০ দিন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব জ ট ২০২৫ ২৬ প রস ত ব ত ব জ ট ত ব জ ট র ওপর মত মত

এছাড়াও পড়ুন:

লেনদেন কর বাদ দেওয়া প্রয়োজন: এমসিসিআই

লাভ হোক, লোকসান হোক—কোম্পানির লেনদেনের ওপর কর বা টার্নওভার কর দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করায় এবং কার্যকরী করহার কমানোর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই)। তারা বলেছে, প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম কর (মিনিমাম ট্যাক্স) করনীতির পরিপন্থী। তাই এটি বাদ দেওয়া প্রয়োজন। ব্যবসায়ে লাভ হলেই শুধু করযোগ্য আয়ের ওপর কর প্রযোজ্য হবে।

আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রভাবশালী এই চেম্বার। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো লিখিত বাজেট প্রতিক্রিয়া মেট্রো চেম্বার ৫৪তম জাতীয় বাজেট উত্থাপনের জন্য অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে অভিনন্দন জানিয়েছে। চেম্বারটি মনে করে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, মন্থর বিনিয়োগ, ঋণের উচ্চ সুদহার, বিশ্বব্যাপী চলমান যুদ্ধাবস্থা—এমন সময়ে বাজেট প্রণয়ন অর্থ উপদেষ্টার জন্য একটি দুঃসাহসিক কাজ ছিল।

বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে এমসিসিআই চিন্তিত। তারা বলেছে, বিনিয়োগ গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিনিয়োগ স্থবিরতায় কর্মসংস্থান কমে গেছে। বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। বিনিয়োগ পরিবেশের অবনতি অর্থনীতির সংকটকে বাড়িয়ে দিয়েছে।

এমসিসিআই বলেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশে করব্যবস্থার চলমান সংস্কারের শর্তাবলির কারণে চূড়ান্ত বাজেটে ঘাটতি বাড়তে পারে। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী কর-জিডিপির অনুপাত বাড়াতে গিয়ে করদাতাদের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সরকারি প্রকল্পের অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যয় সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছে এমসিসিআই।

প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী অর্থবছরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকার ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ব্যাংক থেকে সরকার এই বিপুল পরিমাণ ঋণ নিলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে, যে চাপ শেষ পর্যন্ত বহন করতে হয় ভোক্তা বা জনগণকে। এই দুটি বিষয়ের মধ্যে যথাযথ সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে এমসিসিআই বলেছে, ব্যাংক খাতের পুনর্গঠনের জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন।

এমসিসিআই মনে করে, আগামী অর্থবছরের বাজেটে গরিবমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর বেশি নজর দেওয়া উচিত। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জন্য সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো উচিত। প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় ১৯ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা কম।

এমসিসিআই বলেছে, অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থা ও অবকাঠামো, জ্বালানির অসম বণ্টন এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রধান অন্তরায়। এ ছাড়া দুর্বল রাজস্ব আদায়ব্যবস্থা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ আমদানি প্রবণতা ও বর্তমান বৈশ্বিক বিপর্যয় অবস্থা বিবেচনা করে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশে বর্তমানে ১ কোটি ১৪ লাখ ইটিআইএনধারীর মধ্যে ৪৫ লাখ আয়কর রিটার্ন জমা দেন। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ শূন্য কর রিটার্ন জমা দেন। অন্যদিকে রাজস্ব আহরণের ৮৪ শতাংশ শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেই আসে। এ সম্পর্কে এমসিসিআই আরও বলেছে, সুষ্ঠু কর ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক কর নীতিমালার মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের আওতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রান্তিক করদাতাদের ন্যূনতম কর ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হলে প্রান্তিক করদাতাদের ওপর করের বোঝা বাড়বে।

এমসিসিআই বলেছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষের জন্য ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো গেলে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী উপকৃত হতো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১১ মাসে ২৮ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয়
  • জুনের প্রথম ৩ দিনে দেশে এসেছে ৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স
  • ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপ বাড়বে: আইসিএবি
  • নতুন বিনিয়োগ চিন্তা পরের কথা, বিদ্যমান ব্যবসা নিয়েই দুশ্চিন্তা
  • সব করদাতার অনলাইনে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক হচ্ছে
  • ১১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের পরিকল্পনা
  • বাজেট কিছুটা গতানুগতিকই হয়েছে
  • অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দিকনির্দেশনা নেই বাজেটে
  • লেনদেন কর বাদ দেওয়া প্রয়োজন: এমসিসিআই