যুক্তরাষ্ট্রে নয়, কানাডায় যাচ্ছেন বিদায়ী পররাষ্ট্রসচিব
Published: 5th, June 2025 GMT
বিদায়ী পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনকে কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমনটা জানা গেছে। হাইকমিশনার হিসেবে তাঁর নিয়োগের প্রস্তাব কানাডার কাছে দু-এক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়ার কথা রয়েছে।
দায়িত্ব দেওয়ার আট মাসের মাথায় পররাষ্ট্রসচিব মো.
গত মঙ্গলবার সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) বৈঠকে অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্রসচিব পদে রদবদলে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পর জল্পনা ছিল, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হবেন জসীম উদ্দিন। কিন্তু সরকার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে নয়, কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুনপররাষ্ট্রসচিব হতে যাচ্ছেন জসীম উদ্দিন২০ আগস্ট ২০২৪সরকারি সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সরকার জেনেভায় জাতিসংঘের দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হচ্ছে কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহানকে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের ২৭তম পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন। দায়িত্ব পালনের আট মাসের মাথায় গত ২২ মে তিনি ছুটিতে যান।
আরও পড়ুনপররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আসাদ আলম সিয়াম২১ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রসচ ব হ য ক তর ষ ট র পরর ষ ট র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।