গাইবান্ধায় ২৪ ঘণ্টায় সড়কে ঝরল ৮ প্রাণ
Published: 6th, June 2025 GMT
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা। আনোয়ার হোসেন ও শারমিন খাতুন দম্পতি মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম যাচ্ছিলেন। পথে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের চাঁপড়ীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। এ সময় পেছনে থাকা দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাদেরকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ফাঁসিতলা থেকে চাঁপড়ীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার অংশের অপরিকল্পিত রাবারের ওই রোড ডিভাইডার তুলে নেওয়ার দাবিতে স্থানীয়রা ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিভাইডার অপসারণ করার আশ্বাস দিলে যান-চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহতদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারি উপজেলার কাটবির গ্রামে। তারা দু’জন পেশায় গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন।
পরদিন শুক্রবার ৬ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চারমাথা এলাকায় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রইচ উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও দুইজন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। রইচ উদ্দিন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় গাড়ির চেইন মাস্টার ছিলেন।
একইদিন দুপুর ৩টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগদা কলোনী এলাকায় ট্রাক চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন।। নিহতদের একজন শিশু। এ ঘটনায় শিশুর বাবা-মাসহ অন্তত চারজন আহত হন। তাদের নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি।
একদিনে ৫ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় এ পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছে। সর্বশেষ ট্রাক চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ এক শিশু মারা গেছে। প্রতিটি ঘটনায় গাড়ি আটকসহ মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী রিতু পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজারের পশ্চিমে দোকানঘর নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন ইজিবাইক যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় দু'জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল গ্রামের নাছির উদ্দীনের ছেলে অটো চালক গনি মিয়া (৪০), সাজ্জাদ মিয়ার ছেলে লিয়াকত (১৮) ও ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ইবনুল (১৮)।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি স্থানীয়রা আটক করে আমাদের হেফাজতে দিয়েছেন। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন গ ব ন দগঞ জ উপজ ল র এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের মনোহরগঞ্জ উপজেলার ̄খিলা দক্ষিণ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর বাস রেখে চালক পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও অটোরিকশা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাকসাম হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদেল আকবর জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরো পড়ুন:
নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে সড়ক সংস্কার, দুদকের অভিযান
আখাউড়ায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ২
প্রতক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খিলা বাজার এলাকায় মালবাহী ট্রাক ডানদিকে ইউটার্ন নিচ্ছিল। এ সময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেপরোয়া গতির নীলাচল পরিবহণের যাত্রীবাহী বাস পিছন থেকে ওভারটেক করার সময় খিলা অভিমুখে যাওয়া অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। বাসের ধাক্কায় চালকসহ অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে যাত্রী শাহ আলম (৬৫) মারা যায়। তিনি খিলা ইউনিয়নের উল্লাপাড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অটোরিকশা চালক বাদলকে (১৫) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আরেক যাত্রী অটোরিকশাচালক বাদলের বাবা গুরুতর আহত শফিকুর রহমানকে (৬২) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা/রুবেল/বকুল