ভোঁদড়, কানিবক, হরিণ, বানরের চঞ্চলতায় খুশি দর্শনার্থীরা
Published: 9th, June 2025 GMT
মূল ফটক দিয়ে ঢুকে বাঁ পাশে দেখা যায় হরিণের আবাস। সেখানে লাউ, শসার মতো খাবার খাচ্ছিল গোটা ত্রিশেক হরিণ। দর্শনার্থীদের কেউ কেউ পপকর্ন দিচ্ছিলেন, তা–ও খাচ্ছিল হরিণেরা। মাঝেমধ্যে ভয়ে দু–একটি হরিণ দৌড়ও দিচ্ছিল।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঢুকেই এমন দৃশ্য চোখে পড়ল। ঈদের ছুটিতে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী সমাগম আজ আরও বেড়েছে। চিড়িয়াখানার পশুপাখির স্বভাবসুলভ চঞ্চলতা দর্শনার্থী, বিশেষ করে শিশুরা উপভোগ করেছে। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য পশুপাখি বিরক্তও হয়েছে।
চিড়িয়াখানর ভেতরে খুব কাছ থেকে বহু মানুষ হরিণ দেখছিলেন। বাচ্চাদের কেউ কেউ সুর তুলে ‘হরিণ হরিণ’ বলছিল। হরিণ দেখছিলেন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মো.
হরিণ দেখতে গিয়ে বাচ্চাদের কেউ কেউ সরতে চাইছিল না। একজন নারী দর্শনার্থী তাঁর সন্তানকে বলছিলেন, ‘আরও আছে, আরও আছে। সামনে সাপ আছে।’ এই বলে বাচ্চাকে সামনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
সামনে আরও এগিয়ে গেলে বানরের খাঁচা। সেখানে কয়েকটি ছোট–বড় বানর। এর মধ্যে একটি বানর লোহার জাল ধরে ক্ষণিকের জন্য ফ্লোরে বসে ছিল। এর আড়াই থেকে তিন হাত দূরে প্রাথমিক বেষ্টনী। সেখানে থাকা একজন দর্শনার্থী সেই বানরের উদ্দেশে একটি বাদাম ছুড়ে মারেন। সেটি বানরের কোলে গিয়ে পড়ে। তবে বানরের বাদামের প্রতি আগ্রহ নেই। তারপর আরও দুটি বাদাম ছুড়ে মারেন সেই দর্শনার্থী। বাদামের দিকে মন না দিয়ে অন্যদিকে চলে যায় সেই বানর। এ সময় সেই ব্যক্তি বলছিলেন, ‘বানরের ক্ষুধা নেই, তাই বাদাম খায় না।’
সেই ব্যক্তি যখন বাদাম দিচ্ছিলেন তখন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মাইকে একাধিকবার ঘোষণা করছিল প্রাণীদের বিরক্ত না করার জন্য। এ ছাড়া এক শিশুকে দেখা যায়, বানরের প্রাথমিক বেষ্টনী পেরিয়ে ভেতরে চলে যেতে।
জিরাফ দেখতে সব বয়সী মানুষের ভিড়। জাতীয় চিড়িয়াখানা, ঢাকা, ৮ জুন, ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত