দীর্ঘ সময় পর আবারও পর্যটকে মুখর হয়ে উঠতে শুরু করেছে বান্দরবানের রুমা উপজেলার বগালেক। ৬ জুন বগালেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। এরপর রোববার থেকে বগালেকে পর্যটক সমাগম শুরু হয়েছে। এতে বেশ খুশি পর্যটন–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

গতকাল সোমবার বগালেকে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন শতাধিক পর্যটক। তাঁদের বেশির ভাগই এসেছেন মোটরসাইকেল নিয়ে এবং বয়সে তরুণ। কয়েকজনকে দেখা গেল, তাঁরা রাতযাপনের জন্য কটেজ খুঁজছেন। কথা হয় সিলেট থেকে আসা মো.

তুষার নামের এক তরুণের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁরা চারজনের একটি দল বান্দরবান ঘুরতে আসার পর জানতে পারেন, বগালেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বগালেকের পাশেই রাত কাটাতে চান। চট্টগ্রাম নগর থেকে আসা আকরাম হোসেন নামের আরেক পর্যটক বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর আমরাই প্রথম দল, যারা বগালেকে রাতযাপন করেছি। শুরুতে আসার কারণে আপ্যায়ন বেশি পাচ্ছি।’

সরেজমিনে দেখা যায়, বগালেকে বমদের প্রায় ৩০টি কটেজ ও অবকাশযাপনকেন্দ্রের চার থেকে পাঁচটি ছাড়া সব কটি থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোনোটাতে বেড়া, কোনোটাতে খুঁটি ভেঙে গেছে। বিছানাপত্র, আসবাবও নষ্ট। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ভেতর থেকে। একটি কটেজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যস্ত দেখা যায় লালখিম বম নামের একজনকে। তিনি বলেন, তাঁর তিনটি কটেজ রয়েছে। সব কটি কটেজ থাকার উপযোগী করতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে। অনেকে ফোন করে কটেজ বুকিং দিতে চাচ্ছেন, তবে তিনি এসব পর্যটককে এক সপ্তাহ পর আসার জন্য বলেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বগালেকে বমদের প্রায় ৩০টি কটেজ ও অবকাশযাপনকেন্দ্রের চার থেকে পাঁচটি ছাড়া সব কটি থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোনোটাতে বেড়া, কোনোটাতে খুঁটি ভেঙে গেছে। বিছানাপত্র, আসবাবও নষ্ট। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ভেতর থেকে।

বগালেক এলাকায় একটি দোকান রয়েছে জিংমুন বমের। তিনি বলেন, হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তাঁরা সবাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েছেন। কটেজ-অবকাশ যাপনকেন্দ্র নষ্ট হওয়ায় তিনি ছয়জন পর্যটককে নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন। বাড়িতে থাকা মুরগি দিয়ে পর্যটকদের আপ্যায়ন করেছেন।

বগালেক এলাকায় আটটি কটেজ ও রিসোর্ট রয়েছে সিয়াম বমের। তিনি বলেন, তাঁর একটি কটেজ ছাড়া বাকিগুলো থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে এসব কটেজ সংস্কার করবেন কি না, তা নিয়ে ভাবছেন। কারণ, ধারদেনা করে মেরামতের পর আবার যদি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আসে, সে ক্ষেত্রে তাঁকে বেকায়দায় পড়তে হবে।

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কেওক্রাডাং পাহাড়ের ১ হাজার ৭৩ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বগালেক। রুমা উপজেলার সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দুরে মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লেকে বছরজুড়েই লেগে থাকত পর্যটকদের ভিড়। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় তিন বছর ধরে অনেকটা নিষ্প্রাণ ছিল বগালেক।

মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে আসা কয়েকজন পর্যটক। গতকাল সোমবার

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ