বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম‌্যান্স কোর স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ছেলে নুহায়েল সানদিদ। প্রথমবার বিসিবির তত্ত্বাবধান ও পরিচালনায় বিশেষায়িত কোনো স্কোয়াডে ডাক পেলেন সতের পেরোনো এই কিশোর।

চায়নাম‌্যান সানদিদের এরই মধ‌্যে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছে। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট একাডেমির হয়ে ৪ ম‌্যাচ ও আগের বছর গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডিমির হয়ে ১ ম‌্যাচ খেলেছেন। ৫ ম‌্যাচে পেয়েছেন ৭ উইকেট।  

এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে বয়সভিত্তিক কোনো দলে খেলেননি। তবে বিসিবির বিশেষ স্পিন ক‌্যাম্পে ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল এই ক্রিকেটার।

আরো পড়ুন:

ছন্দে ফিরে ইবাদতের মুখে হাসি, উদযাপনে স‌্যালুট

বিসিবি নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফুলের ‘আগ্রহ’

২০২৫-২৬ সেশনের এইচপির কোর স্কোয়াডের জন‌্য ২৮ ক্রিকেটারকে বেছে নিয়েছে বিসিবি। আগামীকাল ১২ জুন ক্রিকেটারদের রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। শুরুতে ১৩-১৫ জুন পর্যন্ত তাদের স্ক্রিনিং টেস্ট হবে। পরদিন তারা চট্টগ্রাম যাবেন। 

১৭ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত প্রথম পর্বের ট্রেনিং ক্যাম্প হবে চট্টগ্রামে। ১৫ জুলাই ক্রিকেটাররা রাজশাহী সফরে যাবেন। ১৬ থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহীতে চলবে দ্বিতীয় পর্বের ট্রেনিং ক‌্যাম্প। 

এইচপি কোর স্কোয়াড ২০২৪-২৬:

টপ অর্ডার: 

মাহফিজুল ইসলাম রবিন, জিসান আলম, ইফতেখার ইফতি, আশিকুর রহমান শিবলি, হাবিবুর রহমান সোহান, আইচ মোল্লা। 

মিডল অর্ডার: 

আরিফুল ইসলাম, প্রীতম কুমার ও আহরার আমিন। 

স্পিন অলরাউন্ডার:

রাকিবুল হাসান, শেখ পারভেজ জীবন, মাহফুজুর রহমান রাব্বী, আশরাফুল হাসান, ওয়াসি সিদ্দিকী। 

পেস অলরাউন্ডার: 

তোফায়েল আহমেদ, চৌধুরী রেজওয়ান, আহমেদ শরিফ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

স্পিনার:

নাঈম আহমেদ, নুহায়েল সানদিদ, স্বাধীন ইসলা, নাঈম হোসেন সাকিব। 

পেসার:

রিপন মন্ডল, মারুফ মৃধা, মেহেদী হাসান, শফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান পায়েল ও আব্দুল গাফ্ফার।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স নদ দ

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ