ফেনীর সদর উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর জোবায়ের রাবিন (১০) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নগরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জোবায়ের চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে নগরকান্দা গ্রামের মোহাম্মদ ওমরের ছেলে। ছুটিতে যমজ ভাই জারের রামিনের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল সে। দুই ভাই একই শ্রেণিতে পড়ে।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার দুপুরে জোবায়ের বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। আজ সকালে বাড়ির পাশের একটি ডোবার পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যায় জোবায়েরের মরদেহ। পাশেই ছিল তার সাইকেল ও স্যান্ডেল। তার মুখে ফেনা ও রক্তের দাগ ছিল বলে জানিয়েছে পরিবার।

নিহত জোবায়েরের বাবা মোহাম্মদ ওমর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দুই ছেলে সাঁতার জানে। অল্প পানির ডোবায় জোবায়ের ডুবে যেতে পারে না। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার চাই।’

খবর পেয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, এটি হত্যা, না দুর্ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। সাইকেল চালানোর সময় পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে তিনি জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তদন ত মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকৌ গতকাল রোববার নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্রেটিকদলীয় মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও হোকৌ তাঁকে ‘নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার বিষয়ে মনোযোগী একজন নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক লেখায় হোকৌ জোহরানের প্রতি এ সমর্থন জানান। ফলে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী জোহরানের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো। তিনি রাজ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এই সমর্থন হাউস মাইনরিটি লিডার হেকিম জেফরিস, সিনেট মাইনরিটি লিডার চাক শুমারের মতো অন্য শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাটদের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা এখনো জোহরানকে সমর্থন জানাননি। জেফরিস ও শুমার দুজনেই ব্রুকলিনের বাসিন্দা।

গভর্নর হোকৌর এ সমর্থন দুই মাসের বেশি সময় ধরে দুজনের মধ্যে বজায় রাখা সতর্ক দূরত্বের অবসান ঘটাল। গত জুনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে (দলীয় বাছাইপর্বে) জোহরান সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দেন। হোকৌ প্রথমে জোহরানকে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

হোকৌ লিখেছেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমি তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু আমাদের আলোচনায় আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি আমার মতোই এমন একটি নিউইয়র্ক গড়তে চান, যেখানে শিশুরা তাদের এলাকায় নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারবে এবং প্রতিটি পরিবারের জন্য সুযোগ হাতের নাগালে থাকবে। আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তাঁর এ লক্ষ্যকে আমি আন্তরিকভাবে সমর্থন করি।’

জোহরানের নির্বাচনী প্রচারের মূল ভিত্তি ছিল জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং প্রগতিশীল বিভিন্ন এজেন্ডা, যেমন বিনা মূল্যে সিটি বাস, সরকারি গ্রোসারি এবং শহরের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দাদের ওপর কর আরোপ।

জোহরান মামদানি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ