বয়স ৩৩। খুব যে বেশি তা নয়। ফর্মও পড়েনি। তবু সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার এবং ম্যানসিটির উত্থানের অন্যতম নায়ক কেভিন ডি ব্রুইনিকে ছেড়ে দিয়েছে ক্লাবটি। দলটির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল। কেবল ইনজুরি প্রবণতার কারণে চুক্তি নবায়ন করেনি সিটিজেনরা।
ফ্রি এজেন্টে ওই কেভিন ডি ব্রুইনি ইতালির লিগ চ্যাম্পিয়ন নাপোলিতে যোগ দিয়েছেন। অ্যান্তোনি কন্তের দলের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে তার। গতকাল চুক্তিপত্রে আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর করেছে দুই পক্ষ। বৃহস্পতিবার ব্রুইনি মেডিকেল সম্পন্ন করার জন্য নেপলসে উড়ে যান।
এরপর নাপোলি তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বেলজিয়াম তারকা ডি ব্রুইনির সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। লিখেছে, ‘কেভিন নাপোলির একজন হতে পেরে গর্বিত।’ নাপোলি আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলবে। দলে অভিজ্ঞতা যোগ করতে ডি ব্রুইনিকে প্রধান লক্ষ্য ধরেছিল ক্লাবটি।
ডি ব্রুইনি ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি তাকে দলে নিতে চেয়েছিল। এছাড়া সৌদি প্রো লিগ থেকে আকর্ষণীয় প্রস্তাব ছিল তার হাতে। প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলাও চোখ রাখছিল তার ওপর। তবে ডি ব্রুইনি শেষ পর্যন্ত নাপোলির ডাকে সাড়া দিয়েছেন।
তার ইউরোপে থেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ সেরা ছন্দে থেকে বেলজিয়ামের হয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা। নাপোলিও অবশ্য প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার নিয়ে দারুণ একটা প্রজেক্ট দাঁড় করিয়েছে। ম্যানইউ-এর বাতিল স্কট ম্যাকটমিনে, সাবেক চেলসি, ম্যানইউ’র বেলজিয়াম স্ট্রাইকার লুকাকু আছেন সেখানে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ভ ন ড ব র ইন ফ টবল দলবদল ব র ইন
এছাড়াও পড়ুন:
গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন
আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!
কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।
সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।
কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা