জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার গাজা যুদ্ধ নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোট দেবে। ওই প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার পর এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। 

রয়টার্স জানায়, ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদে এই খসড়া প্রস্তাব বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গৃহীত হবে বলে আশা করছেন কূটনীতিকরা। যদিও ইসরায়েল এই প্রস্তাবকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ফলপ্রসূহীন প্রহসন’ বলে আখ্যা দিয়ে দেশগুলোকে এতে অংশ না নিতে চাপ দিয়ে আসছে।

সাধারণ পরিষদে ভোটের জন্য উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বাধাহীন ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘নাগরিকদের ক্ষুধার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবং মানবিক সহায়তার অবৈধ বাধা প্রদান ও তাদের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য জিনিস থেকে বঞ্চিত করা, যার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সাহায্য সরবরাহ ও প্রবেশে বাধা দেওয়া অন্তর্ভুক্ত– এই কাজগুলোকে কঠোরভাবে নিন্দা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২ জন নিহত হয়েছে। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চিকিৎসকদের বরাতে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নিহতদের মধ্যে ২৬ জন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) কর্তৃক বিতরণ করা খাদ্য ও  অনান্য প্রয়োজনীয় জিনিস আনার জন্য অপেক্ষা করার সময় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় মারা গেছেন।

রয়টার্স জানায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিরোধীদের একটি উদ্যোগকে ঠেকিয়ে দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য এমন একটি বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, যা পাস হলে ইসরায়েলে আগাম নির্বাচনের পথ খুলে যেতে পারত। ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের ১২০ সদস্যের মধ্যে ৬১ জন বিলের বিপক্ষে ভোট দেন এবং ৫৩ জন পক্ষে ভোট দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল প রস ত ব ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ