আড়াইহাজারে জামায়াতে ইসলামীর পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫
Published: 14th, June 2025 GMT
আড়াইহাজারে জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ ও পথসভা কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তাৎক্ষনিক একজনের নাম মাহাবুব বলে জানা গেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে আড়াইহাজারের মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদি বাদশার বাড়ি এলাকায় পথসভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিকাল ৩ টার দিকে গহরদী এলাকায় গণসংযোগ কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জামায়াতের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। প্রথমে তর্ক বিতর্ক পরে হামলার ঘটনা ঘটে।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মোতাহার হোসেন জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহজাহান শিকারী ও ইউসুফ শিকারীর নেতৃত্বে এ হামলা হয়।হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আড়াইহাজারে নির্বাচনী আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ইলিয়াস মোল্লা জানান, বিনা উস্কানিতে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিচার হতে হবে।
এ ব্যাপারে জানতে শাহজাহান শিকারীর মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন ত কর ম র ইসল ম র য় ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি