গানের শুটিংয়ে গিয়ে নিখোঁজ মডেল, খালে মিলল মরদেহ
Published: 16th, June 2025 GMT
মিউজিক ভিডিওর শুটিং করতে গিয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর শীতল নামে এক মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার ভারতের হরিয়ানার সোনিপাতের খরখোদা এলাকায় একটি খাল থেকে ২৩ বছর বয়সী এই মডেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর ভারতের হরিয়ানার এই মডেল সিম্মি চৌধুরী নামেও পরিচিত ছিলেন। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গলা কাটা ছিল। তাই প্রাথমিক তদন্তে এটি খুনের ঘটনা বলেই ধারণা করছে পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজের একদিন পর শীতলের বোন নেহা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি জানান, ২৩ বছরের মডেল মিউজিক ভিডিওর শুটিং করতে ১৪ জুন আহার গ্রামে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করেননি।
বোনের লাশ উদ্ধারের পর শীতলের প্রাক্তন বন্ধু সুনীল এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন বলে দাবি করেছেন নেহা।
মডেল শীতলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য এক সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে তারা। খুনের পেছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পেশায় মডেল হরিয়ানার গানের জগতের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মাত্র ছ’মাস আগেই গানের জগতে সফর শুরু করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই কমল কৌর নামে এক ইনফ্লুয়েন্সরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পঞ্জাবের গাড়ির পার্কিং এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তার দেহ। পরপর এমন ঘটনা ঘটায় ফের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?