গাজীপুরের শ্রীপুরে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথের ভেতরে পোশাক কারখানা শ্রমিক এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামি লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ওই বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল বারিক। 

তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই লিটনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন সময় স্থান পরিবর্তন করছিলেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শ্রীপুরের আনসার রোড এলাকা থেকে তাকে গতকাল সোমবার (১৬ জুন) গ্রেপ্তার করা হয়। আজ লিটনকে আদালতে তোলা হবে।

আসামি মো.

লিটন ময়মনসিংহের পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আবদুল আউয়ালের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামে একটি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ওই এটিএম বুথে দায়িত্বে ছিলেন।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, টাকা উত্তোলনের সূত্র ধরে শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকার তালহা স্পিনিং মিলের সামনে অবস্থিত এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মী লিটনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। স্থানীয় একটি কারখানায় মাসিক ছয় হাজার টাকা বেতনে কাজ করত ওই কিশোরী। লিটন তাকে দ্বিগুণ অর্থাৎ বারো হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।

রোববার (১৫ জুন) সকাল ৬টায় মেয়েটিকে তার বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে বুথে ডেকে নেয় লিটন। পরে ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসবেন’ বলে ভেতরের একটি কক্ষে বসিয়ে রাখে। এর মাঝে ভুক্তভোগীর বাবা মেয়ের চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

প্রায় চার ঘণ্টা পর, সকাল ১০টার দিকে কক্ষে একা পেয়ে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে লিটন। পরে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে সে রাস্তাতেই বাবাকে ঘটনা জানায়। পরে মামলা দায়ের করা হয়।

ঢাকা/রফিক/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ