পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপেরে ৩টি কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমে বিশেষ নজরদারির অংশ হিসেবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া আরো দুইটি কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম তদন্ত করবে বিএসইসি। এসব কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী ঋণে জর্জরিত।

এ লক্ষ্যে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্তের নির্দেশ দেওয়া কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো, শাইনপুকুর সিরামিকস, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম) ও নিউ লাইন ক্লোথিংস। এর মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ও শাইনপুকুর সিরামিকস বেক্সিমকো শিল্পগোষ্ঠীর কোম্পানি।

আরো পড়ুন:

সূচক ডিএসইতে কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা ২৪ জুন

সম্প্রতি বিএসইসির ইনসপেকশন, ইনকোয়ারি অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে এ সংক্রান্ত আদেশগুলো জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো.

মেহেদী হাসান রনি ও সহকারী পরিচালক মো. আবু হেনা মোস্তফা।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া কোম্পানিগুলোর কারখানা, অফিস, আর্থিক হিসাব এবং ব্যবসায়িক অন্যান্য কার্যক্রম তদন্ত করা হবে। এছাড়া সঠিক নথির মাধ্যমে কমিশনের বিধান অনুসারে আয় ও ব্যয় নিশ্চিত করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি কোম্পানিগুরোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ারধারন, আর্থিক প্রতিবেদন, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম), অভ্যন্তরীণ লেনদেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন ও এসব বিষয়ে অন্য কোন প্রাসঙ্গিক সমস্যা থাকলে তা যাচাই করবে গঠিত তদন্ত কমিটি।

বিগত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে অসঙ্গতি খুঁজে বের করতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “বেক্সিমকো গ্রুপের ৩টি কোম্পানিসহ আরো ২টির সার্বিক কার্যক্রম তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে, সে অনুযায়ী প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্লেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের নজরদারি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। তবে একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা ও সতর্কতাও বাড়বে, যাতে তারা গুজব নয়, বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়।

বিএসইসির তদন্তের আদেশ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ মর্মে অভিমত দেয় যে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে ৫টি ইস্যুয়ার কোম্পানির সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি-বিধানের অধীনে রেগুলেটরি কমপ্লাইয়েন্স সংক্রান্ত বিষয়াদি পরিপালন নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চারজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করা হলো। অনুসন্ধান কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান সম্পন্ন করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এদিকে, সর্বশেষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার ৩০.১৩ শতাংশ, বেক্সিমকোর ৩৩.১৩ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকসের ৫০ শতাংশ, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের ২৯.৯৩ শতাংশ ও নিউলাইন ক্লোথিংসের ৩০.৬১ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে। এর মধ্যে রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে সম্মিলিতভাবে নূন্যতম সীমা ৩০ শতাংশের কম শেয়ারধারন রয়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মা: বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যার বড় অংশই এখন মন্দ ঋণে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির বেক্সিমকো ফার্মার ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭৫ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ফলে কোম্পানির স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে মোট ঋণের পরিমাণ ৬০২ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

বেক্সিমকো: ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১০৯ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৪০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ফলে কোম্পানির স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে মোট ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার ৪৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।

শাইনপুকুর সিরামিকস: ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ফলে কোম্পানির স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে মোট ঋণের পরিমাণ ৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস: ‘জেড’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৮ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। ফলে কোম্পানির স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে মোট ঋণের পরিমাণ ১৯৩ কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের পর প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক কোনো তথ্য নেই।

নিউলাইন ক্লোথিংস: ‘জেড’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ফলে কোম্পানির স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে মোট ঋণের পরিমাণ ৯১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের পর প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক কোনো তথ্য নেই।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম প ন র স বল প ও দ র ঘ ম য ল খ ২০ হ জ র ট ক ২০২১ স ল র ব এসইস র আর থ ক ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সদস্য মনোনয়নে বিএসইসির কমিটি

পুঁজিবাজারে নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল (এসএসি) গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এ লক্ষ্যে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সদস্য মনোনয়নের জন্য ১০ সদস্যের একটি মনোনয়ন (নমিনেশন) কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কাউন্সিলের জন্য সম্ভাব্য সদস্যদের একটি নামের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

এর ফলে, আগের ৯ সদস্যের শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল বাতিল হতে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:

মামুন এগ্রোর ইজিএম: নাম বদলসহ মূল বোর্ডে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত

এপিএসসিএল নন-কনভার্টেবল বন্ডের কুপন রেট ঘোষণা

গত ৪ জুন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশিদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

গঠিত মনোনয়ন কমিটির আহ্বায়ক হলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন: বিএসইসির কমিশনার (আইন); উপাচার্য, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রফেসর বা সমকক্ষ পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া কর্তৃক শাইখুল হাদীস বা প্রধান মুফতি বা সমকক্ষ পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; চেয়ারম্যান, ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রফেসর বা সমকক্ষ পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; মহাপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালক পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; ডিন, থিওলোজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া কর্তৃক প্রফেসর বা সমকক্ষ পদমর্যাদার মনোনীত প্রতিনিধি; খতিব, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি; চেয়ারম্যান, সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ বা তার মনোনীত প্রতিনিধি এবং আহ্বায়ক, শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট, বিএসইসি (সদস্য সচিব)।

বিএসইসির আদেশ

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল) রুলস, ২০২২’-এর বিধি ৩ অনুযায়ী শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্যে বিধি ৪ ও ৫-এ বর্ণিত শরিয়াহ স্কলার এবং এক্সপার্ট সদস্যদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার শর্ত বিবেচনা করে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের (এসএসি) সদস্য নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি মনোনয়ন কমিটি গঠন করা হলো।

গঠিত কমিটি আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের সম্ভাব্য সদস্যদের একটি নামের তালিকা কমিশনের কাছে পেশ করবে। কমিশন, কমিটির প্রস্তাব বিবেচনা করে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “একটি নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। কাউন্সিল সদস্য নির্বাচনে তাদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা বিবেচনা করার জন্য ১০ সদস্যের একটি নমিনেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকা যাচাই বাছাই করে নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন করবে বিএসইসি।”

এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ মে বিএসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেন। দেশের পুঁজিবাজারে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক বিভিন্ন প্রকার সিকিউরিটিজ ইস্যু আনা, ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শরিয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করেছিল বিএসইসি। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল) বিধিমালা, ২০২২ নামে গেজেটটি প্রকাশ করা হয়।

শরিয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের কাজ হলো বিএসইসির চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন ইস্যুতে পরামর্শ দেওয়া, শরিয়াহ-সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন, ইসলামী শরিয়াহসম্মত সিকিউরিটিজের মান প্রণয়ন, কোনো সিকিউরিটিজ শরিয়াহসম্মত কি না, সে বিষয়ে মতামত দেওয়া।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বে পুনর্গঠিত বিএসইসি পুঁজিবাজারের জন্য ইতিপূর্ব গঠিত শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনে ২০২৩ সালের ২৮ মে জারি করা আদেশ বাতিল করেছে।

ঢাকা/এনটি/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্জিন ঋণ-নেগেটিভ ইক্যুইটি-প্রভিশনের তথ্য চায় বিএসইসি
  • শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানি
  • শেয়ার বিক্রি করবেন এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা
  • বিএসইসি ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডস-ফেলোশিপ আহ্বান
  • পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে ৬০ কোম্পানির পরিকল্পনা চেয়েছে বিএসইসি
  • শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল সদস্য মনোনয়নে বিএসইসির কমিটি
  • এখনো নজরদারি ও অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে: আর্টিকেল নাইনটিন
  • ৯ ব্রোকার-মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রম তদন্তে বিএসইসির কমিটি
  • পুঁজিবাজার অংশীজনদের সঙ্গে বিএসইসির ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়