মুশফিকের সামনে নিজের রেকর্ড ভাঙার হাতছানি
Published: 17th, June 2025 GMT
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ জুটির চারটিতেই জুড়ে আছে মুশফিকুর রহিমের নাম। গল টেস্টে প্রথম দিন এবার নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে গড়েন অপরাজিত ২৪৭ রানের জুটি। ৪৪৩ বলে মুশফিক-শান্ত এই রান যোগ করেন।
৪৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দুজনের পথচলা শুরু হয়। দিন শেষে মুশফিক ১০৫ ও শান্ত ১৩৬ রানে অপরাজিত আছেন। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২ রান।
চতুর্থ উইকেটে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথমটিতেও আছে মুশফিকের নাম। মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছেন ২৬৬ রান। মুশফিক নিজের রেকর্ড জুটি ভাঙার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন দিন শেষে।
আরো পড়ুন:
শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে গলে বাংলাদেশের হাসি
তিন-তিনটি সুপার ওভারের এক বিরল ও শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ
গলে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে মোহাম্মদ আশরাফুলকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ২৬৭ রান। শান্ত-মুশফিকের জুটি থেকে মাত্র ২১ রান এলেই ভেঙে যাবে মুশফিক-আশরাফুলের জুটি।
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি এসেছে মুশফিক-সাকিব আল হসানের ব্যাট থেকে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে দুজনে পঞ্চম উইকেটে ৩৫৯ রান যোগ করেন। সাকিব ২১৭ ও মুশফিক ১৫৯ রান করেছিলেন।
সর্বোচ্চ এই রানের জুটি থেকে মুশফিক-শান্ত ১১২ রান দূরে আছেন। দুজনে যেভাবে ব্যাট করছেন সেটি পার করাও অসম্ভব কিছু নয়। হবে কি না বলে দেবে সময়।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছর কারাদণ্ড
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার রাতে এ অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা নিলে এতে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানা বা নেওয়া আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। এর আগে গত ১৫ মে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
অধ্যাদেশের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা যে কোনো শ্রেণির আহত জুলাইযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করে বা বিভ্রান্তিকর কাগজাদি দাখিল করে নিজেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাইযোদ্ধা দাবি করে কোনো চিকিৎসা সুবিধা বা আর্থিক সহায়তা বা পুনর্বাসন সুবিধা দাবি করেন বা গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা নেওয়া সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে।’
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণ, পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের মর্ম ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এটি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে– আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে, তাই সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন।’
পুনর্বাসনের বিষয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শহীদ হয়েছেন এমন ব্যক্তির পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য এবং আহত জুলাইযোদ্ধাদের অনুকূলে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক উপার্জনমুখী কাজের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ বা এমন সুবিধাদি প্রদান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদান।
এরই মধ্যে গঠন করা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ এ অধ্যাদেশের অধীনে আনা হয়েছে। জুলাই শহীদ ও আহতদের তালিকাও এই অধ্যাদেশের অধীনে প্রকাশ করা হয়েছে বলে ধরা হবে। অধ্যাদেশে আহতদের তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাইযোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।